ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২০ মিনিট আগে
শিরোনাম

গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুর, তিন তদন্ত কমিটি

  গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৮ অক্টোবর ২০১৯, ২১:৩২

গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুর, তিন তদন্ত কমিটি

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ঘোনাপাড়ায় নির্মিত ওষুধ প্রস্তুতকারী রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান অ্যাসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডে (ইডিসিএল) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনা তদন্তে কোম্পানির ব্যবস্থাপক (অ্যাডমিন) শাহাবুদ্দিনকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের ১০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কর্মচারী ইউনিয়নের নেতারা অবরুদ্ধ করে রাখে কর্মকর্তাদের। পরে পুলিশ গিয়ে কর্মকর্তাদের উদ্ধার করে।

এদিকে বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুরের বিষয়ে কর্মচারী ইউনিয়ন ও কর্মকর্তারা পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দিয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে অ্যাসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানির এক কর্মকর্তা জানান, অ্যাসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানির এ কারখানায় কর্মচারী ইউনিয়নের কোনো কমিটি নেই। কাজী ইউসুফ নিজেকে স্বঘোষিত সভাপতি ও আজিজ চৌধুরী সাধারণ সম্পাদক দাবি করে প্লান্টের মূল ভবনের সেন্ট্রাল অয়্যার রুম দখল করে কর্মচারী ইউনিয়নের কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। এ প্লান্টটিতে প্রকল্পের কাজ এখনও সমাপ্ত হয়নি। প্রকল্পের কাজ কোম্পানির কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। তাই এখানে সিবিএ বা ইউনিয়নের কার্যক্রমের কোনো বৈধতা নেই।

দুদক এই কারখানা পরিদর্শন করে মূল ভবন থেকে সিবিএ কার্যালয় সরিয়ে নিতে বলেছিল জানিয়ে এই কর্মকর্তা আরো বলেন, তাদেরকে (সিবিএ) প্লান্টের মূল ভবনের রুম ছেড়ে দিতে দু’ মাস আগেই জানানো হয়। কিন্তু তারা রুম ছাড়েনি। তাই কোম্পানির এমডির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওই রুমে প্লান্টের মেশিনসহ মালামাল ঢোকানো হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কর্মচারী ইউনিয়নের লোকজন সন্ধ্যার দিকে ওই রুমের পেছনের দিকে গ্লাসবিহীন জানালা দিয়ে কোনো কিছুর সাহায্যে ধাক্কা দিয়ে দেয়ালে টানানো বঙ্গবন্ধুর ছবি ফ্লোরে ফেলে ভাংচুর করে। পরে তারা উল্টো কর্মকর্তাদের অভিযুক্ত করে অবরুদ্ধ করে রাখে।

অন্যদিকে কাজী ইউসুফ এ ঘটনার জন্য কর্মকর্তাদের দায়ী করে বলেন, তারা আমাদের ফাঁসাতে ওই রুমে বঙ্গবন্ধুর ছবি ভেঙ্গেছে। ঘটনার সময় ওই রুমের সামনে কর্মকর্তাদের পাহারাদার কর্মরত ছিলেন। রুমে তালা দেয়ার প্রতিবাদে আমরা গেট বন্ধ করে প্রতিবাদ করেছি। পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে আমরা সেখান থেকে চলে আসি।

গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ দিতে বলেছি। অভিযোগ পেলেই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত