ঢাকা, রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

শেষ হলো কুয়াকাটায় গঙ্গাস্নান

  পটুয়াখালী প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৩ নভেম্বর ২০১৯, ০৬:০৬

শেষ হলো কুয়াকাটায় গঙ্গাস্নান

পূর্নিমা তিথীতে সূর্য ওঠার সাথে সাথে কুয়াকাটার সৈকতে গঙ্গাস্নান শেষ করেছেন সনাতন ধর্মালবলম্বী নর-নারীরা। মঙ্গলবার সকালে স্নানের আগে পুণ্যের আশায় মোমবাতি ও আগরবাতি জ্বালিয়ে হাতে বেল পাতা, ফুল, ধান, দূর্বা, হরিতকী, ডাব, কলা, তেল, সিঁদুর সাগরের জলে অর্পণ করেছে। এ সময় সনাতন ধর্মালবলম্বী নারীদের উলুর ধ্বনিতে মুখরতি হয়ে ওঠে পুরো সৈকত। আবার কেউ কেউ মাথার চুল ন্যাড়া করা, প্রায়শ্চিত্ত ও পিন্ডদান করেন। এছাড়া সাধু সন্নাসির স্নানের আগ মুহুর্তে গীতা ও মন্ত্র পাঠ করেছেন। তবে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল’র কারণে ঐতিহ্যবাহী গঙ্গাস্নানের ছিল না তেমন কোন অনুষ্ঠানিকতা।

স্থানীয়দের মতে এবছর সবচেয়ে কম সংখ্যক পুণ্যার্থীদের আগমন ঘটেছে এ উৎসবে। প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও স্নান শেষে ওইসব পূনার্থীরা কলাপাড়া পৌর শহরের শ্রী শ্রী মদন মোহন সোবাশ্রম আঙ্গীনায় রাস মেলা অংশ নেয়। এ উৎসবকে কেন্দ্র করে জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে হাজারো মানুষের মহামিলন মেলায় পরিণত হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এ বছর পুণ্যার্থী ও দর্শনার্থীদের ভীড় কম হওয়ায় তেমন বেচাকেনা হয়নি। আবাসিক হোটেল মোটেল গুলোতে কোন চাপ ছিল না। আগত দর্শনার্থী ও পূণ্যার্থীর জন্য নিরাপদ পানি, মেডিকেল টিম, স্যানিটেশনসহ স্নান শেষে পোশাক পরিবর্তনের ব্যবস্থা করেছেন আয়োজক কমিটি। এছাড়া আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে স্থানীয় প্রশাসনসহ র‌্যাব, পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা, আনসার, স্বেচ্ছাসেবক একত্রে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করেছেন।

গঙ্গাস্নানে আশা রমনি মিত্র জানান, রাতভর নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠান উপলব্ধি করে সকালে গঙ্গা স্নান করেছি। পাথরঘাটা থেকে নাতী মেয়ে নিয়ে সোমবার বিকেল ৫ টায় এসেছেন কুয়াকাটায়। স্নান শেষে তারা নিজ গন্তব্যে ফিরবেন। তবে এবছর ঘূর্ণিঝড় বুলবুল কারণে এখানে লোকজন আসেনি বলে তিনি জানিয়েছেন।

কলাপাড়া রাস মেলা উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক হীরা হাওলাদার স্বপন জানান, কুয়াকাটায় পুণ্যস্নান শেষে পুণ্যার্থীরা পৌর শহরের শ্রী শ্রী মদনমোহন সেবাশ্রম প্রাঙ্গনে এসে রাঁধা কৃষ্ণের যুগল প্রতিমা দর্শণ করবেন। সেমাবার পূর্নিমা শুরুর সাথে সাথে ১৭ জোড়া রাধা কৃষ্ণের যুগল প্রতিমা প্রতিষ্ঠাসহ অধিবাসের কার্যক্রম সম্পান্ন করা হয়েছে। এর মধ্যদিয়ে শুরু হয়েছে পাঁচ দিন ব্যাপী রাস মেলা। এ উপলক্ষে দুর-দূরান্ত থেকে আসা ভাসমান ব্যসায়ীরা নানা পন্যের পশরা সাজিয়ে বসেছে।

কুয়াকাটায় রাস পুজা উৎযাপন কমিটির সভাপতি কাজল বরণ দাস বলেন, নানা প্রতিকুলতা উপেক্ষা করেও পুণ্যার্থীরা রাস উৎসবে এসে যোগ দিয়েছেন। তবে ঘুর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে এবছর অনুষ্ঠান সুচী সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

এহিপুর থানার ওসি মো.সোহেল আহম্মেদ জানান, আগত পুণ্যার্থী, দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার জন্য উপজেলা ও জেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে সকল ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল।

বাংলাদেশ জার্নাল/কেআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত