ঢাকা, রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

ঝাড়ফুঁকে চিকিৎসা

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৬ নভেম্বর ২০১৯, ০৬:২৭  
আপডেট :
 ১৬ নভেম্বর ২০১৯, ১৩:১১

ঝাড়ফুঁকে চিকিৎসা
ফাইল ছবি

দেশের বিভিন্ন জায়গায় এখনও ঝাড়ফুঁকে বিশ্বাসীর সংখ্যা নিতান্তই কম নয়। কিন্তু এ ধরণের ঝাড়ফুঁকে আদৌ রোগ নিরাময় না বলেই চিকিৎসকদের অভিমত।

দেশের বিভিন্নস্থানে দোকান বসিয়ে নানা ধরনের শক্তিবর্ধক ওষুধ বিক্রি করেন অনেকে। আর এসব ওষুধ কিনে প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছেন মানুষ। ওষুধের নামে এসব শক্তিবর্ধকে আসলে কোনো কাজ হয় না বলে ভাষ্য ভুক্তভোগীদের।

ঢাকার ব্যস্ততম এলাকার ফুটপাথে হাঁটলেই চোখে পড়বে পসরা সাজিয়ে সর্বরোগের ওষুধ বিক্রি করছেন অনেকে। সাধারণত নিম্ন আয়ের মানুষ ক্যানভাসারের বয়ান শুনে পটে গিয়ে এসব ওষুধ কেনেন। বেশিরভাগ ওষুধই যৌনশক্তি বর্ধক। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, ফুটপাটের ওইসব ক্যানভাসারা আসলে সরল বিশ্বাসী মানুষদের সঙ্গে প্রতারণা করেন।

অন্যদিকে জিন ও ভূত তাড়ানো বা ঝাড়ফুঁক করার নাম করে কবিরাজদের কাছে ধর্ষণের শিকার হন অনেক নারী। লাজলজ্জায় অনেকে এসব ঘটনা ফাঁস না করলেও অনেক ঘটনা প্রকাশের পর সংশ্লিষ্ট কবিরাজদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

অনেক সময় নানা ধরনের সাংসারিক সমস্যার সমাধান ছাড়াও প্রিয়জনদের সঙ্গে সৃষ্টি হওয়া দূরত্ব ঘোচাতে আধ্যাতিক গুরু নামধারীদের কাছে ধর্ণা দেন অনেকে। অন্ধ বিশ্বাস থেকেই তারা এদের কাছে গিয়ে টাকা খরচ করেন। নানা কারণে হতাশ হয়ে, কেউবা আরেকটু ভালো কিছুর আশায় জ্যোতিষীর স্মরণাপন্ন হন।

বলা হয়, জ্যোতিষীরাও কারো কারো দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে ভুলভাল পরামর্শ দেন, যা আসলে কোনো কাজে আসে না। কেউ চিকিৎসা প্রচলিত ব্যবস্থায় বিশ্বাস হারিয়ে আবার কেউ কেউ অর্থ সংকটে চিকিৎসা নিতে না পেরে বিকল্প চিকিৎসা হিসেবে কবিরাজের পেছনে ছোটেন।

আর এসব কবিরাজরা সব ধরনের চিকিৎসা করে থাকেন। জটিল রোগেরও চিকিৎসা করে এরা। কিছু কিছু কবিরাজের কাছে কোনো ট্যাবলেট, ইনজেকশন না থাকলেও থাকে নানারকম গাছগাছালি। এর মধ্যে অন্যতম- কমলা গাছ, সাদা লজ্জাপতি, রক্তচন্দন, নাগমণি, পরশমণি, চা গাছ, লালমাতাল, কুড়াসমতি, শ্বেতচন্দন, শ্বেত আনন্দ, মনামণি, অর্জুন, বাহুবল ইত্যাদি।

আরও আছে পশুর চামড়া। যেমন- উটের চামড়া, ভাল্লুকের চামড়া, বাঘের চামড়া। মাছ ও পশুর হাড় -কালো ঘোড়ার হার, কটকট মাছের হাড়, তিমি মাছের হাড়সহ আরো অনেক কিছু।

এসব গাছ-গাছালি, পশুর চামড়া, হাড়গোড় একটু একটু করে তাবিজে ভরে দেওয়া হয়। আর এসব তাবিজ গলায়, হাতে বা কোমরে বেঁধে রাখতে বলা হয়।

এ ধরনের এক কবিরাজের কাছ থেকে চিকিৎসা নেওয়া আরমান বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, ‘তিনবার তাবিজ নিলাম। কোনো কাজ হয় নায়। নেওয়ার সময় বলছিলো কাজ না করলে টাকা ফেরত দিবে। কিন্তু যখনই আসি বলে আপনি ঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারেননি। তারপর আরেকটা নতুন কিছু দিয়ে দেয়। আমার এদের ওপর আর কোনো বিশ্বাস নেই।’

জানতে চাইলে এক পথচারী জানান, তিনি প্রায়ই এ ধরনের কবিরাজ দেখেন ফার্মগেট এলাকায়। তার মতে, এরা ভণ্ড-প্রতারক ছাড়া কিছুই না।

বাংলাদেশ জার্নাল/এইচকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত