ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

চালকের মুখে পোড়া মবিল

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ২০ নভেম্বর ২০১৯, ১৬:১০  
আপডেট :
 ২০ নভেম্বর ২০১৯, ১৬:৪০

চালকের মুখে পোড়া মবিল
ছবি: সংগৃহীত

নতুন সড়ক পরিবহন আইন সংশোধনের দাবিতে দেশের বিভিন্ন জেলায় পরিবহন ধর্মঘট চলছে। অঘোষিত এই ধর্মঘটে দূরপাল্লা ও অভ্যন্তরীণ বেশিরভাগ রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। বুধবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালন করছে বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ডভ্যান পণ্য পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।

আর এরই অংশ হিসেবে রাস্তায় বের হওয়া ট্রাক-পিকআপ ও ব্যক্তিগত গাড়ি থামিয়ে চালকদের মুখে পোড়া মবিল মাখিয়ে দিচ্ছেন ধর্মঘট ডাকা পণ্য পরিবহন শ্রমিকরা। ট্রাক চালানোর অপরাধে চালককে মারধরের ঘটনাও ঘটেছে।

ব্যক্তিগত গাড়ি চালকদের ওপরও চড়াও হচ্ছেন তারা। এসব গাড়িতেও লেপ্টে দেয়া হচ্ছে পোড়া মবিল। গণপরিবহন থামিয়ে চালকদের কাছ থেকে চাবি কেড়ে নিয়ে যাত্রীদের জোর করে নামিয়ে দিচ্ছে ধর্মঘট পালনকারীরা।

আজ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় এমন চিত্র দেখা গেছে।

পণ্য পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের ৯ দফা

সংবাদ সম্মেলনে ধর্মঘট ডাকা সংগঠন বাংলাদেশ ট্রাক কাভার্ডভ্যান পণ্য পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহবায়ক রুস্তম আলী খান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনার জন্য শুধু চালক বা শ্রমিক একা দায়ী নয়, এর পেছনে বিভিন্ন কারণ রয়েছে। তাই শুধু চালক বা শ্রমিকদের দোষারোপ করলে চলবে না।

এসময় তিনি ৯ দফা দাবি তুলে ধরেন।

এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: সড়ক পরিবহন আইন স্থগিত করে মালিক শ্রমিকদের আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ জরিমানা বিধান ও দন্ড উল্লেখ করে আইন সংশোধন করা, সড়ক সংশ্লিষ্ট যতগুলো কমিটি রয়েছে সেগুলোতে শ্রমিক প্রতিনিধিকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, সড়ক দুর্ঘটনাজনিত কোনও মামলায় চালক আসামি হলে তা অবশ্যই জামিনযোগ্য ধারায় হতে হবে, প্রকৃত দোষী নির্ণয় করতে মালিক-শ্রমিক প্রতিনিধিদের সংযুক্ত করে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিতে হবে, সড়ক দুর্ঘটনার মামলায় কোনও গাড়ির মালিককে হয়রানি করা যাবে না ইত্যাদি।

বাস ধর্মঘটে মানুষের দুর্ভোগ

গত সোমবার খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের ১৪ জেলাসহ ১৬ জেলায় বাস ধর্মঘট পালিত হয়। গতকাল মঙ্গলবারও ১০ জেলায় বাস চলেনি। পিইসি ও ইবতেদায়ী পরীক্ষা চলাকালীন এ ধর্মঘটের কারণে শিশুরা পরীক্ষা কেন্দ্রে যেতে ও ফিরতে দুর্ভোগ পোহায়।

পাশাপাশি এ সব জেলার সাধারণ মানুষদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বিশেষ করে যারা ঢাকা থেকে সেসব জেলায় গিয়েছেন, তাদের ফিরতে গিয়ে পথে পথে নাস্তানাবুদ হতে হয়। কারণ শ্রমিকরা কোন ঘোষণা না দিয়েই হুট করে গত সোমবার ধর্মঘট শুরু করে। কবে নাগাদ এই ধর্মঘট প্রত্যাহার হবে- সে বিষয়ে কেউ কিছু বলতে পারছেন না।

এ প্রসঙ্গে খুলনা বিভাগীয় শ্রমিক ফেডারশনের যুগ্ম সম্পাদক মোর্তজা হোসেন বলেন, ১০ জেলায় পরিবহন শ্রমিকরা স্বেচ্ছায় কর্মবিরতি পালন করছেন। নতুন আইনের অনেক ধারার ব্যাপারে শ্রমিকদের আপত্তি রয়েছে। সরকার সমাধানের কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় শ্রমিকরা বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে।

ধর্মঘট যৌক্তিক, বললেন বিএনপি নেতা

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, বাংলা?দেশ ট্রাক কাভার্ডভ্যান পণ্য পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আন্দোলন যৌাক্তিক। তাদের দাবি মেনে নেওয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/এইচকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত