ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

অবলীলায় ২৫ লাখ টাকা দিয়ে দেন জ্বীনের বাদশাকে

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৫ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৯:৫৬  
আপডেট :
 ০৫ ডিসেম্বর ২০১৯, ২০:২২

অবলীলায় ২৫ লাখ টাকা দিয়ে দেন জ্বীনের বাদশাকে

সরকারি চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেছেন। অবসরের পেনসনের সব টাকা জমা রেখেছিলেন ব্যাংকে। মোটা অংকের এফডিআরও জমা রেখেছিলেন কিন্তু অবলিলায় বিশ্বাস করে ২৫ লাখ টাকা দিয়ে দেন জ্বীনের বাদশাদের। টাকা খোয়ানোর পর রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় মামলা করে ভুক্তভোগী শাহিনা আক্তার। মামলার তদন্ত করতে গিয়ে সিআইডির একটি টিম ভোলা থেকে জ্বীনের বাদশার ৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সিআইডি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম বিভা‌গের এসএস মোস্তফা কামাল।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. সুমন ফকির (২০), মো. মুনসুর আহমেদ (২৫), মো. হাছনাইন ফকির (২০), মো. হাবিবুল্লাহ (৩২), মো. লোকমান ভুইয়া কাজী (২৭), মো. রিয়াজ উদ্দিন (৩৪) (বিকাশ এজেন্ট) ও মো. ফজর আলী জোমাদার বাড়ি (৩৬)।

বিশেষ পুলিশ সুপার মোস্তফা কামাল বলেন, ভুক্তভোগী শাহিনা আক্তার কোন একটি মাধ্যমে জ্বীনের বাদশার নাম্বর পান। যে নাম্বরে ফোন দিলে সব সমস্যার সমাধান করে দেয়া হবে। তিনি আগ্রহ নিয়ে ওই নাম্বরে ফোন করেন এবং ফোন করলে তাকে বলা হয় আমাদের সেবা নেয়ার আগে দুই হাজার ১০০ টাকা দিয়ে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে। শাহিনা আক্তার তাদের কথামতো রেজিস্ট্রেশন করেন। রেজিস্ট্রেশন করার পর জ্বীনের বাদশা টেলিফোনেই হাজির হন। হাজির হওয়ার পরে ভুক্তভোগীর সমস্যার কথা শোনেন এবং প্রতিটি সমস্যা সমাধানের জন্য মোটা অংকের টাকা দাবি করেন।

তিনি বলেন, টাকা দাবির পর ৭টি বিকাশ নম্বর ভুক্তভোগীকে দেয়া হয়। ৭টি নম্বরে বিকাশের মাধ্যমে ৩ মাসে ভুক্তভোগী ওই নারী ২৫ লাখ টাকা লেনদেন করেন। ২৫ লাখ টাকা দেয়ার পর আরও টাকা দেয়ার জন্য পাশের বাসার প্রতিবেশীর কাছে টাকা ধার চাইতে গেলে বিষয়টি তখন ওই নারীর ছেলে জানতে পারে। এরপর হাতিরঝিল থানায় মামলা করেন। হাতিরঝিল থানার মামলা তদন্ত করে জ্বীনের বাদশার সন্ধায় পাওয়া যায় ভোলা জেলায়। এরপর তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রাথমিকভাবে জ্বীনের বাদশা সেজে টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করেছে। এমনকি তাদের চক্রের বড় ভাইয়েরা আছে। তাদেরকেও গ্রেপ্তার করতে অভিযান চালানো হবে। আমরা বিকাশ স্ট্যাটমেন্ট নিয়ে এসেছি সেখানে দেখা যায় এই নারী ছাড়াও আরও চার পাঁচজনের টাকা নেয়ার তথ্য আমরা পেয়েছি।

যেহেতু বড় ধরনের লেনদেন হয়েছে সেহেতু বিকাশের কোনও কর্মকর্তা এর সঙ্গে জড়িত কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সিআইডি কর্মকর্তা বলেন, গ্রেপ্তার সাত জনের মধ্যে একজন বিকাশ এজেন্টের লোকও আছে। মোটা অংকের টাকা লেনদেন হওয়াতে বিকাশ তাদের দায় দায়িত্ব এড়াতে পারে না। এর বাইরেও যদি আর কেও জড়িত থাকে তাদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত