রামগঞ্জে মজুমদার পরিবারের মাদক সাম্রাজ্য
লক্ষ্মীপুর, রামগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৪ আগস্ট ২০২০, ১৩:১৩
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলায় মাদক সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন মজুমদার পরিবার। স্থানীয় কাউন্সিলর ইব্রাহীম মজুমদার ও তার ছেলে ছাত্তার মজুমদার এই সাম্রাজ্যের মূল হোতা। মাদক ব্যবসাকে পুঁজি করে গড়ে তুলেছেন নামে বেনামে অবৈধ সম্পদের পাহাড়। এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্রব্যবসা, চোরাচালান, ধর্ষণসহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রামগঞ্জ পৌর করমদিয়া গ্রামের মজুমদার বাড়ির ইব্রাহীম মজুমদার বিগত ১৯৯৪ সাল থেকে স্থানীয় এক প্রভাবশালী বিএনপি নেতার ছত্রছায়ায় মাদক ব্যবসা শুরু করে। পরবর্তীতে তার সন্তান ছাত্তার মজুমদার ও সুমন মজুমদার সন্ত্রাসী বাহিনী পড়ে তোলেন। সেই বাহিনীতে যোগ দেন করপাড়া গাজীপুরের মিন্টু, নন্দনপুরের কবির, লামচরের টিপু। কয়েকমাস আগে রামগঞ্জের গাজীপুর থেকে তারা মাদকসহ গ্রেপ্তার হয়। এছাড়া খোরশেদ একাধিকবার রাজধানীর সূত্রাপুর এবং রামগঞ্জে ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার হন।
রামগঞ্জের বিভিন্ন স্পটে মজুদমার বহিনীর সোর্স রয়েছে। তারা আইন শৃংখলা রক্ষাকারীবাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে মাদক চোরাচালান এবং ব্যবসা চালিয়ে আসছে।
মজুমদার পরিবারের সদস্য সুমন মজুমদারের বিরুদ্ধে ২০০৫ সালের ২০ মার্চ মধুপুর গ্রামের এক নারীকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ ওঠে। সেই মামলা এখনো চলমান রয়েছে। এছাড়া অস্ত্র ব্যবসা করতে গিয়ে চট্টগ্রামে গ্রেপ্তারও হন সুমন মজুমদার। ২০১৭ সালের ১১ এপ্রিল রামগঞ্জ থানা পুলিশ ছাত্তার মজুমদারের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ঘরের সামনে মাটির নিচ থেকে ৪ কেজি ওজনের কষ্ঠি পাথরের মূর্তি উদ্ধার করে সেই মূর্তি বর্তমানে জাতীয় যাদুঘরে সংরক্ষিত আছে।
স্থানীয় আব্দুল মান্নান, কবির, দেলোয়ারসহ বেশ কয়েকজন জানান, এলাকায় এমন কোন অপরাধ নেই যেটা মজুমদার পরিবার করেনা।
এছাড়াও রামগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র বেলাল আহমেদ বিগত দিনে কয়েকটি সমাবেশের বক্তব্যে মজুমদার পরিবারের মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলেও কোন প্রতিকার হয়নি।
এ ব্যাপারে রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, রামগঞ্জে যোগদানের পর থেকেই মজুমদার পরিবারের মাদক সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি শুনে আসছি। তাদের পিতা-পূত্রের বিরুদ্ধে বিগত দিনে কয়েকটি মামলা থাকলেও সবগুলোই জামিনে রয়েছে।
বাংলাদেশ জার্নাল/ওয়াইএ