ঢাকা, রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩০ মিনিট আগে
শিরোনাম

ঠাকুরগাঁওয়ে ২ কোটি টাকা মূল্যের কষ্টি পাথরের মূর্তি উদ্ধার

  ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৩ মে ২০১৯, ১৩:১৭  
আপডেট :
 ২৩ মে ২০১৯, ১৩:২৩

ঠাকুরগাঁওয়ে ২ কোটি টাকা মূল্যের কষ্টি পাথরের মূর্তি উদ্ধার

ঠাকুরগাঁওয়ে গুচ্ছ গ্রামের পুকুর হতে মাটি কাটার সময় একটি কষ্টি পাথরের মূর্তি পাওয়া গেছে। এদিকে মূর্তিটি ভারতে পাচার করে ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হওয়ার জন্য দুই সহদোর এখন লাপাত্তা। পুলিশ কয়েক দফা অভিযান চালিয়েও তাদের ধরতে ব্যর্থ হয়েছে। এ নিয়ে কর্মরত শ্রমিকদের মাঝে তীব্র অসন্তোষ বিরাজ করছে।

জানা যায়, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ২০নং রুহিয়া পশ্চিম ইউনিয়নের কশালগাঁও গ্রামের ছবিলালের ২ ছেলে পরশুরাম ও জতিন কাকাত ভাই ধীরেনের মাহিন্দ্র গাড়ি নিয়ে গত মঙ্গলবার আখানগর ইউনিয়নের ভেলারহাট গুচ্ছ গ্রামের পুকুরে মাটি কাটতে যান।

৫/৬ ট্রিপ মাটি কাটার সময় দুপুর ১টার দিকে তাদের কোদালে একটি কালো রঙের পাথর সদৃশ বস্তু লাগলে তারা তৎক্ষনাৎ মাটি কাটা বাদ দিয়ে পাথরের মূর্তি নিয়ে সটকে পড়ার চেষ্টা করেন। ভেলাহাট গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা আমিরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী আছিয়া বেগম সেটিকে মূল্যবান বস্তু দাবি করে নিতে চাইলে পরশুরাম ও তার ভাই পূজা করার কথা বলে সেটি নিয়ে বাড়িতে চলে আসেন এবং গাড়ির মালিক কাকাত ভাই ধীরেনের বাড়িতে চলে আসেন।

বাড়ির লোকজন সেটি পানিতে পরিষ্কার করেন। এসময় তারা এটিকে কষ্টি পাথরের মূর্তি বুঝতে পেরে পরশুরাম ও তার ভাই জতিন নিজ হেফাজতে নিয়ে নেন। গাড়ির আরেক শ্রমিক সেটি নিতে চাইলে, না পেয়ে মোবাইল ফোনে ছবি তুলে নেন এবং বিভিন্ন জনকে দেখালে সেটি কষ্টি পাথরের মূর্তি বলে সবাই চিহ্নিত করেন। এদিকে খবর পেয়ে রুহিয়া থানা পুলিশ মঙ্গলবার রাতে পরশুরাম গং এবং গাড়ির মালিক ধীরেনের বাড়িতে অভিযান চালালে পরশুরাম ভ্রাতাদ্বয় মূর্তি নিয়ে গা ঢাকা দেন।

গাড়ির চালক ইসমাইল হোসেন জানান, কালো রঙের মুর্তিটি তিনি মাটি লাগানো অবস্থায় দেখেছেন। সেটির ওজন প্রায় ৫/৭ কেজি হবে।

প্রত্যক্ষদর্শী আমিরুল ইসলাম জানান, উদ্ধারকৃত মূর্তিটির দাম প্রায় ২ কোটি টাকা। ওই মূর্তিটি পাওয়ার সময় তিনিও ছিলেন তাই সেটি পাওয়ার জন্য তিনি বুধবার সকালে পরশুরামকে খোঁজার জন্য তাদের বাড়িতে গিয়ে তাকে পাননি।

পরে পরশুরামকে পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারী উপজেলার বালিয়া সীমান্ত এলাকায় খুঁজে পেয়ে তাকে ধরে নিয়ে আসলেও সে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়ার কথা বলে পুনরায় গা ঢাকা দেয়।

গতকাল বুধবার সকালে পরশুরামের বাড়িতে গিয়ে তাদের দুই ভাইকে পাওয়া যায় নি। তার পিতা ছবিলাল বর্মন, তাদের মা এবং পরশুরামের স্ত্রী জানায়, মঙ্গলবার রাতে তারা দুই ভাই বাড়িতে ফিরেনি। এ নিয়ে প্রত্যক্ষদর্শী ,মাহিন্দ্র গাড়ির মালিক ধীরেন ও শ্রমিক সহ স্থানীয় জনমনে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।

স্থানীয়দের দাবি উদ্ধারকৃত কষ্টি পাথরের মূর্তিটি পরশুরাম ভ্রাতাদ্বয় ভারতে পাচার করতে পারে। তাই এলাকাবাসী চান, সেটি উদ্ধার করে সরকারি কোষাগারে জমা করা হোক।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল হোসেন বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, পরশুরামের সঙ্গে আমার ফোনে একাধিকবার কথা হয়েছে। সে মূর্তিটি পাওয়ার কথা স্বীকার করেছে। তবে সে বর্তমানে তার মামা বাড়ি বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার লাহিড়ী এলাকায় আত্নগোপন করে আছে বলে আমার বিশ্বাস।

এ ব্যাপারে রুহিয়া থানার ওসি তদন্ত বাবুল কুমার রায় বলেন ,কষ্টি পাথরের মূর্তিটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/টিপিবি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত