ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১১ মিনিট আগে
শিরোনাম

ছুটিসহ অন্যান্য বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের জরুরি বিজ্ঞপ্তি

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের জরুরি বিজ্ঞপ্তি

সরকারি ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চলতি বছরের ছুটির তালিকা, শিক্ষাপঞ্জি ও ক্লাস রুটিনে কিছু সংশোধন এনেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। ছুটিতে কোনো পরিবর্তন আনা না হলেও তালিকায় উল্লেখিত সময়সূচিতে শুধুমাত্র বৃহস্পতিবার দিনের দুই শিফটের বিদ্যালয়ের পাঠদানের সময় ৩০ মিনিট কমানো হয়েছে। তবে সংশোধিত রুটিনেও এক শিফটের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদানের সময় ৯টা হতে ৩টা ১৫ মিনিট এবং ২ শিফটের বিদ্যালয়ের পাঠদানের সময় ৯টা হতে ৪টা পর্যন্ত বহাল আছে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে রোববার সংশোধিত ছুটির তালিকা ও ক্লাস রুটিন মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়। সংশোধিত তালিকাতেও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২০২০ খ্রিষ্টাব্দে ৮৫ দিন ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

তাই ছুটির তালিকা সংশোধন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষকরা। শিক্ষকদের মতে, পাঠদানের সময় নিয়ে ওঠা বৈষম্যের অভিযোগের বিষয়টি রুটিন সংশোধনের সময় আমলে নেয়নি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদিত সরকারি ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২০২০ সালের ছুটির তালিকা, পরীক্ষার সময়সূচী ও ক্লাস রুটিন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখের (৩৮.০১.০০০০.১৪০.০০৭.০০৩.২০১৭-৩৩৯/৬৪৪৫১) নং স্মারকে মাঠ পর্যায়ে ইতোপূর্বে প্রেরণ করা হয়েছিল৷

উক্ত ছুটির তালিকা ও ক্লাস রুটিন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক আংশিক সংশোধন করা হয়েছে।

সংশোধিত ছুটির তালিকা ও ক্লাস রুটিন প্রয়োজনীয় কার্যার্থে এতদসঙ্গে প্রেরণ করা হলো।

গত ২৬ ডিসেম্বর ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছুটির তালিকা ও পাঠদানের সময়সূচি অনুমোদন দেয়া হয়। প্রকাশিত তালিকায় বিদ্যালয়ের ছুটি আগের চেয়ে ১০ দিন বাড়িয়ে ৮৫ দিন করা হয়েছে। একইসাথে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদানের সময় নির্ধারণ করা হয়। ছুটির তালিকায় এক শিফটের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদানের সময় ৯টা হতে ৩টা ১৫ মিনিট এবং ২ শিফটের বিদ্যালয়ের পাঠদানের ৯টা হতে ৪টা পর্যন্ত করা হয়েছে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুই রকম পাঠদানের সময় নির্ধারণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেন শিক্ষকরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও পাঠদানের সময় দুই রকম করার বিষয়টি সমালোচিত হয়েছে। একইসাথে সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদানের সময় সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা করার দাবি তুলেন শিক্ষকরা।

এনএইচ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত