ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

নিবন্ধনধারীদের বড় সুখবর দিলো এনটিআরসিএ

নিবন্ধনধারীদের বড় সুখবর দিলো এনটিআরসিএ

জানুয়ারি মাসেই শূন্য আসনে বিভিন্ন স্তরের নিবন্ধিত প্রায় ৩০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এজন্য কিছু দিনের মধ্যেই সারাদেশের স্কুল-কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শূন্য আসনের তালিকা সংগ্রহ শুরু হচ্ছে।

আরো পড়ুন: শিক্ষক নিয়োগে বড় সুখবর পেলো ৩৫ চাই প্রার্থীরা!

এনটিআরসিএ সূত্র মতে, প্রার্থীদের মেধাতালিকা অনুযায়ী শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়েছে। ইতিমধ্যে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে অনলাইনে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। সারাদেশে আগামী সপ্তাহজুড়ে চলবে শূন্য আসনের তালিকা সংগ্রহ। তালিকা যাচাই-বাছাইয়ের পর গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে নিবন্ধিত প্রার্থীদের কাছে নিয়োগের জন্য অনলাইনে আবেদন আহ্বান করা হবে। আবেদনকারীদের মধ্যে মেধাতালিকা অনুযায়ী শূন্য আসনের বিপরীতে নিয়োগ দিতে সুপারিশ করবে এনটিআরসিএ।

আরো পড়ুন: চলতি মাসে নিয়োগ পাচ্ছে ৩০ হাজার শিক্ষক

জানা গেছে, প্রতিটি আবেদনের বিপরীতে ১৮০ টাকা ফি নির্ধারণ করা হবে। একজন প্রার্থী একাধিক প্রতিষ্ঠানে আবেদনের সুযোগ পাবেন। প্রাপ্ত সব আবেদন জাতীয় মেধারভিত্তিতে বাছাইপূর্বক বিধি মোতাবেক প্রতিটি পদের বিপরীতে চূড়ান্তভাবে একজনকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ পাঠাবে এনটিআরসিএ। এরপর নির্বাচিতদের মোবাইল ফোনে মেসেজের মাধ্যমে সেই তথ্য জানিয়ে দেয়া হবে। তবে যেসব প্রার্থীর বয়স ৩৫ অতিক্রম করেনি তারাই এ নিয়োগের জন্য বিবেচিত হবেন। এনটিআরসিএর ১-১৫তম নিবন্ধিত প্রার্থীরা আবেদন করার সুযোগ পাবেন।

এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান এসএম আশফাক হুসেন বলেন, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে নিয়োগ-সংক্রান্ত গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে নিবন্ধিত প্রার্থীদের কাছে অনলাইনে আবেদন চাওয়া হবে। ইতিমধ্যে কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এক হাজার ১৯৯ শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

আরো পড়ুন: ১৬তম নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশের তারিখ ঘোষণা

আশফাক হুসেন বলেন, নিয়োগের জন্য তালিকা প্রকাশের পর ৩০ দিনের মধ্যে যোগ্য প্রার্থীকে যোগদান করতে বলা হবে। যদি কেউ এ সময়ের মধ্যে যোগদান না করেন তবে পরবর্তী মেধাতালিকায় যোগ্য প্রার্থীকে যোগ্য বলে বিবেচনা করে তাকে যোগদানের সুযোগ দেয়া হবে।

অন্যদিকে দেশের ৬০৪ কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এক হাজার ১৯৯ পদে শিক্ষক নিয়োগ দিতে বুধবার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। এই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ১৫তম নিবন্ধনের উত্তীর্ণ প্রার্থীরাও আবেদন করতে পারবেন।

জানা গেছে, সাধারণ শিক্ষায় বৃত্তিমূলক কোর্স চালুর অংশ হিসেবে এসব শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। জনবল কাঠামো সংশোধন করে এসব পদের শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত করা হবে। ইতিমধ্যে এসব পদে নিয়োগে সম্মতি জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। প্রাথমিকভাবে সেসিপ প্রকল্পের আওতায় ৬০৪ স্কুল ও মাদরাসায় এক হাজার ১৯৯ শিক্ষক পদে নিয়োগ দেয়া হবে।

প্রসঙ্গত, এনটিআরসিএর ১-১৪তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে প্রায় সাত লাখ প্রার্থী পাস করেন। তাদের মধ্যে অনেকেই বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত। এমপিওভুক্ত শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা অনুযায়ী গত বছর থেকে ৩৫ বছরের নিচে প্রার্থীরা নিয়োগের জন্য আবেদন করার সুযোগ পাচ্ছেন। চলতি মাসে ১৫তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হবে।

আরো পড়ুন: এনটিআরসিএ’র গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

এদিকে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধনের দুই পরীক্ষার ফল যথাক্রমে জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশ হবে। এর মধ্যে ১৫তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল ২০ জানুয়ারির মধ্যে প্রকাশ করার কথা রয়েছে। আর ১৬তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষার ফল ফেব্রুয়ারি মাসে প্রকাশ করা হবে।

এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান এস এম আশফাক হুসেন বলেন, ‘১৫তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার মৌখিক পরীক্ষা শেষে চূড়ান্ত ফল প্রস্তুত করা হচ্ছে। ২০ জানুয়ারির মধ্যে আমরা ফল প্রকাশের চেষ্টা করছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘১৫তম নিবন্ধনের ফল প্রকাশের পর ১৬তম নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষার ফলও প্রকাশ করা হবে। ফেব্রুয়ারিতে লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হলে চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে মৌখিক পরীক্ষা আয়োজন করা সম্ভব হবে। এমনটা করা গেলে এ বছরের মধ্যেই ১৬তম শিক্ষক নিবন্ধনের চূড়ান্ত ফলও দেওয়া যাবে।’

২০১৯ সালের ১৫ নভেম্বর থেকে শুরু হয় ১৫তম শিক্ষক নিবন্ধনের মৌখিক পরীক্ষা। যেখানে স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে ১৩ হাজার ৩৪৫ জন পরীক্ষার্থী ছিলেন। এর মধ্যে স্কুল পর্যায়ে ১০ হাজার ৯৬৮ জন, স্কুল-২ পর্যায়ে ৭৭০ জন এবং কলেজ পর্যায়ে ১ হাজার ৬০৭ জন প্রার্থী অংশ নেন। একই বছরের ২৬ ও ২৭ জুলাই লিখিত পরীক্ষা ও ১৯ এপ্রিল ১৫তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

আরো পড়ুন: ব্র্যাক স্কুলের চেয়েও দক্ষতা কম প্রাথমিক শিক্ষকদের!

এদিকে ১৬তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা খাতা যাচাই করে পরীক্ষকরা নম্বর জমা দিয়েছেন বলে এনটিআরসিএ সূত্রে জানা গেছে। তবে নম্বর তালিকা তৈরি করার পুরো প্রক্রিয়াটি শেষ করতে পুরো জানুয়ারি মাস সময় লাগবে।

এ ব্যাপারে এনটিআরসিএ’র চেয়ারম্যান এস এম আশফাক হুসেন বলেন, ‘চলতি মাসে ১৫তম নিবন্ধনের চূড়ান্ত ফল প্রকাশের কাজ থাকায় লিখিত পরীক্ষার ফল ধীর গতিতে প্রস্তুত করা হচ্ছে। তবে এভাবে কাজ করেও ফেব্রুয়ারিতেই ১৬তম নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা সম্ভব।’

১৬তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমানারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয় ২০১৮ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর। যেখানে স্কুল পর্যায়ে ৮৪ হাজার ৬৯৬ জন, স্কুল-২ পর্যায়ে ১১ হাজার ৫৪৭ জন এবং কলেজ পর্যায়ে ১ লাখ ৩২ হাজার ২৯৯ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হন। ৯ লাখ ৫৯ হাজার ১৮৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করা পরীক্ষার্থীর মোট সংখ্যা ছিল ২ লাখ ২৮ হাজার ৪৪২ জন।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত