ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষায় রাজি ঢাবি-বুয়েট, খসড়া প্রস্তাবনায় যা বলা হয়েছে

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০৬

কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষায় রাজি ঢাবি-বুয়েট, খসড়া প্রস্তাবনায় যা বলা হয়েছে

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এ বছর থেকে একযোগে কেন্দ্রীয়ভাবে ভর্তি পরীক্ষায় নিতে সম্মতি জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও বাংলাদেশ প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। ফলে দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ থেকে একযোগে পরীক্ষা নেয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।

বুধবার ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে কমিশনে অনুষ্ঠিত এক সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, আমরা আশা করছি মার্চে প্রথম সপ্তাহ থেকে কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে পুরোদমে কাজ শুরু হবে। ইউজিসি এ কার্যক্রম এগিয়ে নিতে বিশ্ববিদ্যালয় সমূহকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের নিয়ে বিভিন্ন কমিটি গঠন করা হবে। ভর্তি পরীক্ষা ও পদ্ধতিসহ বিভিন্ন বিষয় যথাসময়ে জানানো হবে।

প্রাথমিক খসড়া প্রস্তাবনায় বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য এবং পঠন-পাঠন প্রক্রিয়ার ভিন্নতা সত্ত্বেও তাদের ভর্তি পরীক্ষাসমূহ কেবলমাত্র এইচএসসি পরীক্ষায় পঠিত বিষয়সমূহের ভিত্তিতেই গৃহীত হয়ে থাকে। বিষয়টি বিবেচনায় রেখে উচ্চ মাধ্যমিক ফল প্রকাশের পর পরই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটি কর্তৃক প্রদত্ত সময় অনুযায়ী তাদের নিজ নিজ ক্যাম্পাসে ভর্তি পরীক্ষার আয়োজন করবে। কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে ভর্তিচ্ছু ছাত্র-ছাত্রীদের একটি স্কোর করে দেয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ থেকে অভিজ্ঞ এবং সিনিয়র শিক্ষকদের নিয়ে কলা, বিজ্ঞান ও বাণিজ্য শাখার জন্য পৃথক পৃথক তিনটি কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটি গঠন করা হবে।

ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রদানের পর কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির কাজ শেষ হবে। পরবর্তীতে প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয় প্রচলিত পদ্ধতিতে তাদের নিজ নিজ প্রয়োজনীয় শর্তাবলি সংযোজন করে পৃথক পৃথক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে। নতুন করে আর পরীক্ষা না নিয়ে কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত স্কোরকে বিবেচনা করেই ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করবে। প্রত্যেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র থাকবে। ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের পছন্দ অনুযায়ী অভিন্ন প্রশ্নে পছন্দকৃত বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা দিবে। কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে যদি তাদের পরীক্ষা নেয়ার সামর্থ্যের অতিরিক্ত আবেদন পাওয়া যায়, সেক্ষেত্রে মেধাক্রমানুযায়ী নিকটতম বিশ্ববিদ্যালয়ে তার পরীক্ষা নেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একাডেমিক কাউন্সিল/ভর্তি কমিটি ভর্তির জন্য প্রয়োজনীয় শর্তারোপ করার সুযোগ পাবে।

সভায় ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম, প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আখতারুজ্জামান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুস সোবহান, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সাইফুল ইসলাম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ফারজানা ইসলাম, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হারুন-উর-রশিদ আসকারী, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ গিয়াসউদ্দীন মিয়া, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ কামাল উদ্দিন আহম্মদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মীজানুর রহমান এবং কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এমরান কবির চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যগণের সংগঠন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের স্টান্ডিং কমিটির এক সভায় ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে অনুরূপ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

বাংলাদেশ জার্নাল/এইচকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত