ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

সপ্তাহব্যাপী অচলাবস্থা বশেমুরবিপ্রবি

  সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০৫:২৫  
আপডেট :
 ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০৫:৩৬

সপ্তাহব্যাপী অচলাবস্থা বশেমুরবিপ্রবি

টানা এক সপ্তাহ ধরে আন্দোলন আর বিক্ষোভে অচল হয়ে পড়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি)। সম্পূর্ণভাবে বিভাগ অনুমোদনের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি নিয়ে টানা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুক্তভোগী ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি রাত থেকে চলমান এ আন্দোলন এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ছাড়িয়ে আজ অষ্টম দিন অবধি অব্যাহত রয়েছে।

এদিকে, গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থীরা সন্ধ্যা ৭টায় মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে তাদের আন্দোলনকে আরও বেগবান করে তোলে। এছাড়াও, টানা ৭দিন প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে নানা প্রতিবাদী স্লোগানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গন উত্তপ্ত করে রাখে তারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন, একাডেমিক ভবনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভবনে তালা দেওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্ধ হয়ে গেছে সমস্ত শিক্ষা কার্যক্রম। এমতাবস্থায়, পুরোপুরিই অচলাবস্থা ও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে। এমন পরিস্থিতি নিয়ে সেশনজটের আশঙ্কায় পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরাও।

অপরদিকে, পর্যাপ্ত শিক্ষক, প্রয়োজনীয় ল্যাব সুবিধা ও প্রয়োজনসাপেক্ষ ক্লাসরুম সুবিধা নিশ্চিতকরণের লক্ষে ৭ দফা দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।

শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউটের আন্দোলন প্রসঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ শাহজাহান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিন কোনোরকম সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত না করেই শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউটের কার্যক্রম শুরু করেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) কর্তৃক অবকাঠামো সুবিধাসহ সকল সুবিধা নিশ্চিত হওয়ার পরই এই ইনস্টিটিউটের কার্যক্রম পরিচালনার কথা বলা হলেও সাবেক উপাচার্যের গাফিলতিতে আগেভাগেই তা শুরু করা হয়। এসময় শিক্ষক সংকট, নিজস্ব ক্লাসরুম না থাকায় পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধার অভাবে চলতি শিক্ষাবর্ষে শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউটে ভর্তি কার্যক্রমও বন্ধ করা হয় বলে জানান তিনি।

ওই ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা নানান অভিযোগ করে বলেন, পর্যাপ্ত শিক্ষক সংকটের দরুণ প্রতি সেমিস্টার ৬ মাসে শেষ করার কথা থাকলেও প্রতি সেমিস্টার শেষ করতে তাদের ১০ মাস মতো সময় লেগে যাচ্ছে, যাতে করে বারবারই সেশনজটের সম্মুখীন হচ্ছে তারা। এতে করে নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা আর হতাশায় পড়েছে তারা। একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করে তা তাদের জন্য খুবই লজ্জাজনক এবং হতাশাব্যঞ্জক উল্লেখ করে তারা তাদের নিজস্ব অভিমত ব্যক্ত করে।

বাংলাদেশ জার্নাল/আর

  • সর্বশেষ
  • পঠিত