ঢাকা, মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

নতুন আইনে প্রাথমিকে যে বিষয় বাধ্যতামূলক

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১০:৪৩  
আপডেট :
 ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১০:৫৭

নতুন আইনে প্রাথমিকে যে বিষয় বাধ্যতামূলক

৫৮টি বিধান রেখে নতুন শিক্ষা আইন-২০২০ এর খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। খুব শিগগিরই এটি অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভায় পাঠানো হবে। বর্তমানে সম্মিলিত কোনো শিক্ষা আইন নেই।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বৃহস্পতিবার রাজধানীতে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে বলেন, শিক্ষা আইন-২০২০ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। শিগগিরই এটি মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হবে। সরকার একটি যুগোপযোগী শিক্ষানীতি প্রণয়ন করছে এবং তা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে।

এ ব্যাপারে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, শিক্ষা আইনের খসড়া তৈরির কাজে বেশ অগ্রগতি হয়েছে। আশা করছি সপ্তাহ খানেকের মধ্যে তা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো যাবে।

খসড়া আইনে বলা হয়েছে, সব শিশুর জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক এবং শিশুর মৌলিক অধিকার হিসেবে এতে বিধান যুক্ত করা হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষার সব ধরনের প্রতিষ্ঠানে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার স্তর থাকতে হবে।

এতে আরও বলা হয়, অন্য আইনে যা উল্লেখ আছে তাতে শিক্ষা আইনে বর্ণিত বিধান সংযোজিত বা প্রতিস্থাপন না হওয়া পর্যন্ত উক্ত আইন, বিধি বা প্রবিধি এ আইনের অধীন বা দ্বারা সংশোধিত বলে গণ্য হবে। একই কথা উল্লেখ আছে চতুর্থ অধ্যায়ে মাধ্যমিক শিক্ষা স্তরের ক্ষেত্রে। মাধ্যমিক শিক্ষার ধারা হবে তিনটি- সাধারণ শিক্ষা, মাদ্রাসা এবং কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা। প্রাথমিক স্তরের ক্ষেত্রে কোনো ধারা উল্লেখ নেই। এতে বিদ্যমান প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও অষ্টম শ্রেণিতে চলমান পরীক্ষা সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি।

অপরদিকে কোচিং সংক্রান্ত বিধানে উল্লেখ আছে, কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট-টিউশনের মাধ্যমে পাঠদান করতে পারবেন না। কোনো শিক্ষক নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীকে অর্থের বিনিময়ে ইলেকট্রনিক বা অনলাইন পদ্ধতিতেও প্রাইভেট টিউশন বা কোচিংয়ের মাধ্যমে পাঠদান করতে পারবেন না। করলে তা অসদাচরণ বলে গণ্য ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ হবে। তবে পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের শনাক্ত করে সংশ্লিষ্ট অভিভাবকদের লিখিত সম্মতি সাপেক্ষে স্কুল সময়ের পরে বা আগে সরকার কর্তৃক প্রণীত বিধি বা নীতিমালা অথবা জারিকৃত পরিপত্র বা নির্বাহী আদেশ অনুসরণপূর্বক অতিরিক্ত ক্লাসের ব্যবস্থা করতে পারবেন।

আর প্রাইভেট টিউশন সম্পর্কে বলা হয়, কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্তৃক অর্থের বিনিময়ে মূল শিক্ষা কার্যক্রমের বাইরে নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীকে যে কোনো স্থানে শিক্ষা প্রদান করতে পারবে।

আরএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত