ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

অনলাইন ক্লাসেও মিলছে না সাড়া

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৯ অক্টোবর ২০২০, ১৭:৪১  
আপডেট :
 ০৯ অক্টোবর ২০২০, ২০:০০

অনলাইন ক্লাসেও মিলছে না সাড়া
ফাইল ছবি

করোনাকালীন সময়ে সারাদেশে বন্ধ রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ফলে স্কুলে গিয়ে ক্লাস করার সুযোগ নেই শিক্ষার্থীদের। এ কারণে প্রাথমিক শিক্ষার্থীর জন্য সারা দেশের বিদ্যালয়গুলোতে অনলাইন ক্লাস আয়োজনের নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে এ বিষয়ে দেশের বিভিন্ন জেলার প্রাথমিক শিক্ষকরা জানান, অনলাইন ক্লাসে তেমন কোন সাড়া পাচ্ছেন না। তাদের মতে, প্রতি ১০০ জনের ৫-১০ ভাগ শিক্ষার্থী এ ক্লাসে উপস্থিত থাকতে পারছে।

শিক্ষাবিদরা মনে করেন, এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা হলো শিক্ষার্থীদের হাতে মোবাইল না থাকা, ইন্টারনেটের জন্য অতিরিক্ত খরচ, অনেক স্কুলে বিদ্যুৎ বা অনলাইন ক্লাস নেয়ার মতো সক্ষমতা না থাকাসহ বিষয়টি বুঝতে না পারা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের জন্য দিনে মোট ৪টা ক্লাস হয়। প্রতিটি ক্লাসের দৈর্ঘ্য ২৫ মিনিট। বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীর ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সংসদ টিভিতে ক্লাস চালু রাখা হয়। কিন্তু এরপরও ভাল ফল আসছে না।

ফলে পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থী আরো পিছিয়ে পড়ছে। এবং এর মাধ্যমে শিক্ষাক্ষেত্রে বৈষম্য বাড়ছে।

শিক্ষাবিদ যতিন সরকার এ বিষয়ে বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, শুধুমাত্র স্কুল বন্ধ রেখে আর তথাকথিত অনলাইন ক্লাস পরিচালনা করে শিক্ষা ব্যবস্থাকে এগিয়ে নেয়া সম্ভব নয়। তার মতে, এর জন্য দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা দরকার।

সংসদ টিভিসহ অন্যান্য বিকল্প ব্যবস্থাপনায় ক্লাস নেয়া হলেও অনেক শিক্ষার্থী যে সম্পৃক্ত হতে পারছে না তা স্বীকার করছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। এ বিষয়ে গণমাধ্যমে তিনি বলেন, অনলাইন ক্লাস ট্রাডিশনাল স্কুলিং এর সমতুল্য হতে পারে না।

ক্ষতি পোষানোর পরিকল্পনার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের ইয়ার রিপিটিশন করতে হবে। মানে ক্লাস সিক্সের এরা সেভেনে উঠে যাবে, কিন্তু সিক্সের পড়াটা সেভেনে আবার পড়তে হবে। চলতি বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, উইন্টার সিজনটা যাওয়ার পর পরই আমরা স্কুল-কলেজ খোলার প্রক্রিয়া শুরু করব। উইন্টার সিজনটা আমরা অপেক্ষা করব।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনএইচ/একে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত