ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

প্রাথমিকে অনন্য কীর্তি, পেছনে ভারত-পাকিস্তান

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৪ অক্টোবর ২০২০, ২০:০৭

প্রাথমিকে ভারত-পাকিস্তানকে পেছনে ফেলেছে বাংলাদেশ
প্রতীকী ছবি

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন বলেছেন, প্রাথমিক শিক্ষায় আমরা ইতোমধ্যে পাকিস্তানকে পেছনে ফেলেছি, ভারতকে পেছনে ফেলেছি। দক্ষিণ এশিয়ায় আমাদের আগে শুধুমাত্র শ্রীলংকা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নের্তৃত্বে আমরা খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে শ্রীলংকার কাছাকাছি পৌঁছে যাবো।

বুধবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটে এডুকেশন রিপোটার্স অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

আকরাম-আল-হোসেন বলেন, ‘দেশের অনেক গ্রাম আগে প্রাথমিক বিদ্যালয় শূন্য ছিলো। কিন্তু এখন দেশের এমন কোনো গ্রাম নেই যেখানে প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই। সারা বাংলাদেশে এখন ৬৫ হাজার ৬২০টি বিদ্যালয় রয়েছে। দেশের আয়তনে বিশ্বের অন্য কোথাও এত বেশি বিদ্যালয় নেই।’

সিনিয়র সচিব বলেন, ‘গত ১০ বছরে দেশে প্রাথমিক শিক্ষায় বিপ্লব ঘটেছে। আগে আমাদের শিক্ষক ছাত্র অনুপাত ছিলো ৫২: ১ এখন তা ৩৫: ১ এ নেমে এসেছে। আরও প্রায় ৩০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ হতে যাচ্ছে। আমরা আশা করছি ২০৩০ সালের আগেই ৩০ জন শিক্ষার্থীর জন্য একজন শিক্ষক থাকবে।’

সচিব আরও বলেন, ‘২০০৮ সালে প্রথম শ্রেণিতে ১০০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হলে প্রাথমিক পাস করতে পারতো মাত্র ৫২ জন ছাত্র-ছাত্রী। কিন্তু এখন ৮২ জনেরও বেশি। আগে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো থেকে ৪৯ ভাগ শিক্ষার্থী অর্থাৎ প্রায় অর্ধেক শিক্ষার্থী ঝড়ে পড়তো। কিন্তু এখন তা মাত্র ১৭তে নেমে এসেছে। এছাড়াও আগে একটি শিক্ষার্থীকে ক্লাস ৫ পাস করতে ৮.৬ বছর লাগতো এখন তা ৬.০৫ মানে আমরা এই হিসেবে আড়াই বছর কমিয়ে ফেলেছি। এটা একটি বিরাট অর্জন।’

তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষার যে বিপ্লব হয়েছে এজন্য এখন আমরা কোয়ালিটি এডুকেশনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। আগে প্রি-প্রাইমারী এক বছরের ছিলো আগামী বছর থেকে পাইলট প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা দুবছরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। প্রতিটি উপজেলায় একটি বিদ্যালয়কে পাইলটিং করে এ প্রকল্প চালানো হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে এই প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে।’

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে প্রায় দুবছর দায়িত্ব পালন করেছেন আকরাম-আল হোসেন। চলতি মাসের ২০ অক্টোবর তিনি অবসরে যাবেন।

এ দুই বছরের অর্জন তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘ক্ষুধার্ত রেখে কোন বাচ্চাকে আসলে মানসম্মত শিক্ষা দেয়া যায়না। এ জন্য আমরা স্কুল ফিডিং পলিসি পাস করেছি। এখন ১০৪টি উপজেলাতে আমরা স্কুলের বাচ্চাদের বিস্কিট দিয়ে থাকি। এছাড়াও ১৬টি উপজেলার স্কুলে আমরা দুপুরে গরম খাবার দিচ্ছি। এর ফলে খুব দ্রুতই কাঙ্খিত লক্ষ্যের দিকে আমরা এগিয়ে যাবো।’

বাংলাদেশ জার্নাল/একে/কেআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত