প্রাক-প্রাথমিকের ক্লাস নিয়ে ফের যা বললেন শিক্ষামন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৫:১৩
মহামারি করোনার কারণে দেড় বছরের মতো বন্ধ থাকা প্রাক-প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের ক্লাস এখনই নেয়ার পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি।
শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে বঙ্গবন্ধু-বাপু ডিজিটাল জাদুঘর প্রদর্শনীর উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সামনে এমন কথা বলেন তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আপাতত শিক্ষার্থীরা বাড়িতেই থাকুক। তিন সপ্তাহ পার হোক, এরপর আমরা সিদ্ধান্ত নেব কি করা যায়।
দেশে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় ২০২০ সালের মার্চে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয় সরকার। সংক্রমণ কিছুটা নিম্নমুখী হলে কয়েক দফা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে উদ্যোগ নেয়া হলেও মহামারি আবার বেড়ে যাওয়ায় তা স্থগিত করা হয়। পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ক্লাসে ফিরেছে শিক্ষার্থীরা।
গতকাল দুই শর্তে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলে দেয়ার অনুমতি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় তদারক সংস্থা ইউজিসি। কিন্তু এখনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়নি।
প্রাক প্রাথমিকের বিদ্যালয়গুলো খোলার বিষয়ে করা এক প্রশ্নে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রাক-প্রাথমিকের শিশুদের আমরা এ মুহূর্তে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আনতে চাচ্ছি না। তারা আপাতত বাড়িতেই থাকুক। আমরা আবার সিদ্ধান্ত নেব। তিন সপ্তাহ পার হোক।
কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকলে ব্যবস্থা নেয়া হবে জানিয়ে দীপু মনি বলেন, কোথাও যদি আমরা মনে করি, সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়বার আশঙ্কা আছে, প্রয়োজন হলে সেগুলো আমরা বন্ধ করে দেবো। এখন পর্যন্ত কোথাও সেরকম কোনো পরিস্থিতি ঘটেনি। যদি কোথাও হয় আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেবো।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, মহামারি এখনও কিন্তু চলমান। যদিও শনাক্তের হার পাঁচের নিচে নেমে এসেছে, তারপরও কিন্তু সারা দুনিয়ায় মহামারি চলমান। কাজেই আমাদের পরিস্থিতির দিকে নজর রাখতে হবে। কেউ না কেউ অসুস্থ হতেই পারে। বাড়িতে হতে পারে, যাতায়াতের পথে হতে পারে; এমনকি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও হতে পারে। সেটি যেন না ঘটে এবং কোথাও ঘটনা ঘটলে আমরা যেন ব্যবস্থা নিতে পারি এ বিষয়ে সচেতন এবং দৃষ্টি রাখছি।
‘আমরা কোনো অভিযোগ বা খবর পেলে স্থানীয় প্রশাসন, সিভিল সার্জেন্টের অফিস ও স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা নেব।’
দীপু মনি বলেন, মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেখানে সমস্যা হয়েছে বিশেষ করে মানিকগঞ্জের একটি স্কুলের শিক্ষার্থী মারা গেছেন। আমি তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আমি গভীর সমবেদনা জানায়।
‘আমরা সেই কেসটি নিয়ে সিভিল সার্জনের সঙ্গে কথা বলেছি। সেই শিক্ষার্থী মাত্র ১ বার ১৫ তারিখে স্কুলে এসেছিলো। তার ৬/৭ দিন পর তার আক্রান্তের খবর পাওয়া যায় এবং সে মৃত্যুবরণ করে।’
দীপু মনি বলেন, আমাকে অনেক শিক্ষার্থী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানাচ্ছে এই স্কুলে এতজন আক্রান্ত, ওই স্কুলে এতজন অসুস্থ। আমি খোঁজ নিচ্ছি, অনুসন্ধান করছি কিন্তু এমন কিছুই পাচ্ছি না।
‘তবে, আমরা সজাগ দৃষ্টি রাখছি। কোন অভিযোগ পাওয়া মাত্র আমরা সঙ্গে সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছি ও প্রয়োজনে ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
বাংলাদেশ জার্নাল/ওয়াইএ
