ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

প্রাথমিকে চাকরি-বদলি-পদোন্নতির নামে প্রতারণার ফাঁদ

  আসিফ কাজল

প্রকাশ : ৩০ জুন ২০২২, ১৯:৩১

প্রাথমিকে চাকরি-বদলি-পদোন্নতির নামে প্রতারণার ফাঁদ

প্রাথমিকে চলছে সব চেয়ে বড় সহকারী শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম। এছাড়াও দীর্ঘ দুবছর পর একটি উপজেলায় চালু হয়েছে অনলাইন বদলি। এই সুযোগে একটি চক্র প্রতারণার ফাঁদ পেতে চাকরি প্রত্যাশী ও শিক্ষকদের থেকে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে।

জাকারিয়া রহমান নামে একজন ভুক্তভোগী বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, আমার ভাগ্নি প্রাথমিকের নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় ফেল করে। কিন্তু মিরপুরের প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তার পরিচয় দিয়ে চার লাখ টাকার বিনিময়ে তাকে মৌখিক পরীক্ষায় বসানোর ব্যবস্থা করার আশ্বাস দেন। আমরা দু লাখ টাকা ওই ব্যক্তিকে দিয়েছি; কিন্তু এরপর থেকেই তার মুঠোফোন বন্ধ পাচ্ছি।

প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের মৌখিক পরীক্ষা আগামী ৩ জুলাই শুরু হবে। এরমধ্যেই নেত্রকোনার একটি এলাকায় এক চাকরি প্রার্থীর কাছে নিয়োগপত্র পৌছে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে।

এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উর্ধতন এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এমন ঘটনা আমাদের কানে এসেছে। তবে কেউ কোনো দালিলিক প্রমাণ দিতে পারেনি।

অন্যদিকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের নাম ও পদবী ব্যবহার করে অর্থ বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে অর্থ দাবি করার ঘটনাও ঘটছে। এর আগে গতবছর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রশাসন বিভাগের কর্মকর্তা আব্দুল আলীমের নাম ব্যবহার করে বদলি-পদোন্নতি ও নানা প্রকার তদবির করতে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষকদের থেকে অর্থ দাবি করা হয়। এই ঘটনায় ২০২১ সালে মিরপুর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন তিনি।

এদিকে হঠাৎ করেই এ বিষয়ে প্রতারকরা আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।

আব্দুল আলীমের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে এই বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলার অনুরোধ করেন।

এদিকে প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকতে নির্দেশনা দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। গত ২৬ জুন অধিদপ্তরের পরিচালক প্রশাসন মো. হামিদুল হক প্রতারক চক্র থেকে সতর্ক থাকতে বিভাগীয় উপ-পরিচালক, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা কর্মকর্তাদেরকে চিঠি দিয়েছেন।

এমন একটি চিঠি বাংলাদেশ জার্নালের হাতে এসেছে। চিঠি সূত্রে জানা যায়, ইদানিং প্রতারক চক্রটি আবারও সক্রিয় হয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে অর্থ দাবি করছে। এমন অবস্থায় কোনো জেলা উপজেলায় এমন ঘটনা ঘটলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ ও প্রতারণা থেকে সাবধান হওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়।

এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ডিজি মো. মুহিবুর রহমান বলেন, নিয়োগের বিষয়ে সতর্ক করে আমরা অধিদপ্তর থেকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছি। অর্থ লেনদেনের বিষয়ে সতর্কবার্তা প্রচারণাও করা হয়েছে। এখনো অবৈধ লেনদেনে সবাইকে সোচ্চার হতেও অনুরোধ করছি।

বাংলাদেশ জার্নাল/একে/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত