ঢাকা, রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : কিছুক্ষণ আগে
শিরোনাম

বাকৃবিতে শিক্ষার্থী পেটালো ছাত্রলীগ কর্মী, হলে ভাঙচুর

  ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৮ মে ২০১৮, ১৮:৪৭

বাকৃবিতে শিক্ষার্থী পেটালো ছাত্রলীগ কর্মী, হলে ভাঙচুর

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ছাত্রলীগের অনুষ্ঠানে না যাওয়ায় প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীকে পিটিয়েছে ছাত্রলীগের এক সিনিয়র কর্মী।

সোমবার গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক আশরাফুল হক হলে এ ঘটনা ঘটে। এতে প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা ক্ষিপ্ত হয়ে রেজাউর রহমান লিমন নামের ওই ছাত্রলীগ কর্মীকে লাঞ্চিত করলে সে হল থেকে পালিয়ে যায়। পরে ওই কর্মীর কক্ষ ও হল ভাঙচুর করে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা।

প্রত্যক্ষদর্শী ও হল সূত্রে জানা যায়, বাকৃবি শাখা ছাত্রলীগের সবুজ-রুবেল কমিটি হওয়ার পর থেকে আশরাফুল হক হল চালাচ্ছে লিমন নামের ওই কর্মী। হলের সিট বন্টন, গেস্ট রুমে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার, ডাইনিঙয়ে খাবার, টাকা নিয়ে মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের হলে তোলাসহ তার বিভিন্ন কার্যক্রমের অভিযোগে দীর্ঘদিনের ক্ষোভ ছিল হলের শিক্ষার্থীদের। পরে গতকাল প্রধানমন্ত্রী ডক্টর অফ লেটারস ডিগ্রিতে ভূষিত হওয়ায় ছাত্রলীগের আনন্দ মিছিলে প্রথম বর্ষের কোন শিক্ষার্থী না যাওয়ায় তাদের নিয়ে হলের কক্ষ নং ১১২ তে বসে লিমন। এক পর্যায়ে হল ক্যান্টিন থেকে ডিম চুরির অভিযোগে এক শিক্ষার্থীকে পেটায় লিমন। ওই রাত ১টার সময়ই অন্য এক শিক্ষার্থীর অভিভাবককে ফোন দিয়ে চুরিসহ বিভিন্ন উল্টা-পাল্টা কথা বলা হয়। এতে শিক্ষার্থীরা ক্ষিপ্ত হয়ে লিমনের উপর চড়াও হয়। পরে তাকে লাঞ্চিত করলে লিমন হল থেকে পালিয়ে যায়। এসময় বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা লিমনের রুম, হলে ফুলের টব, জানালার কাচ ভাঙচুর করে। পরে ছাত্রলীগের সভাপতি সবুজ কাজী হলে এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন। এঘটনায় হল প্রশাসনের কোন ভূমিকা ছিল না বলে অভিযোগ উঠেছে। সারা রাত ও দুপুর পর্যন্ত প্রভোস্ট হলে যায়নি।

এবিষয়ে ছাত্রলীগ কর্মী রেজাউর রহমান লিমন বলেন, হলের ক্যান্টিন থেকে ডিম চুরি করায় শিক্ষার্থীদের নিয়ে আমি আলাদা বসি। কিন্তু তারা স্বীকার না করায় এক জনকে শুধু চড় দেই। ছাত্রলীগের অনুষ্ঠানে না যাওয়া বা অভিভাবকে ফোন দেওয়ার বিষয়ে কিছু জানি না আমি।

শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সবুজ কাজীর সাথে ফোনে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি।

এবিষয়ে আশরাফুল হক হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মহির উদ্দিন বলেন, হলের মারামারি হলে কি কখনও প্রভোস্ট যায়? প্রক্টরও তো হলে আসেননি। আমি এখন ব্যস্ত আছি। পরে কথা বলব।

এঘটনায় প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আতিকুর রহমান খোকন বলেন, বিষয়টি জানতে পেরেছি। পরে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জেডআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত