ঢাকা, রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের ননএমপিও শিক্ষকদের কপাল খুলছে

এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের ননএমপিও শিক্ষকদের কপাল খুলছে

এমপিওভুক্ত মাদ্রাসার এমপিওভুক্তি থেকে বাদ পড়া শিক্ষকদের জন্য সুখবর আসছে। এসব এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের নন-এমপিও পাঁচ শতাধিক শিক্ষকের তথ্য চেয়েছে সরকার। তথ্য পাওয়ার পর তাদের এমপিওভুক্ত করা হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাদ্রাসা ও কারিগরি বিভাগের সহকারী সচিব আব্দুল খালেকের সই করা একটি আদেশে বাদ পড়া এসব শিক্ষকের তথ্য চাওয়া হয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাদ্রাসা ও কারিগরি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (মাদ্রাসা) রওনক মাহমুদ বলেন, ‘মাদ্রাসাগুলোর গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের অনেক শিক্ষককে নানা কারণে এমপিওভুক্ত করা সম্ভব হয়নি। যারা বাদ পড়েছেন তাদের সবাইকে এবার এমপিও দেওয়া হবে। এ জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের তথ্য চেয়েছি।’

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এর আগে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (কম্পিউটার), বিজ্ঞানের সহকারী শিক্ষক (বিজ্ঞান), আলিম স্তরের প্রভাষক বিজ্ঞান ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ের এক হাজার ২৮ জন শিক্ষকের এমপিও দিতে মন্ত্রণালয় সম্মতি জানায়। কিন্তু ওই সময় অনেক প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক এমপিও সুপারিশ বঞ্চিত হন। এছাড়া সম্মতি দেওয়া এক হাজার ২৮ জনের মধ্যেও আবার অনেক শিক্ষক বাদ পড়েন। সব মিলিয়ে এসব শিক্ষকের সংখ্যা পাঁচ শতাধিক।

সূত্রমতে, ২০১১ সালের ১৩ নভেম্বরের আগে ও পরে নিয়োগ পাওয়া অনেক শিক্ষক এমপিও থেকে বাদ পড়েন। যারা এমপিও পাওয়ার যোগ্য, নানা কারণেই তারা এমপিওভুক্ত হতে পারেননি। তাদেরও এক হাজার ২৮ জনের মধ্যে বাদ পড়া শিক্ষকদের সঙ্গে তাদেরও একযোগে এমপিও দেওয়া হবে। আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে সব নন-এমপিও শিক্ষকের নির্ধারিত ছকে তথ্য পাঠাতে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেওয়া হয়।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী দেশে স্বতন্ত্র এবতেদায়ি মাদ্রাসার (প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি) সংখ্যা তিন হাজার ৪৩৩টি। এর মধ্যে এমপিওভুক্ত মাদ্রাসার সংখ্যা এক হাজার ৫১৯টি। এমপিওভুক্ত এসব মাদ্রাসায় শিক্ষক রয়েছেন চার হাজার ৪৩১ জন।

সমমান দাখিল মাদ্রাসার (ষষ্ট থেকে দশম শ্রেণি) সংখ্যা ছয় হাজার ৫৯৩টি। এর মধ্যে এমপিওভুক্ত মাদ্রাসা পাঁচ হাজার ৩৭১টি। এসব মাদ্রসায় এমপিওভুক্ত শিক্ষক রয়েছেন ৭০ হাজার ৯৮২ জন। আলিম মাদ্রাসার (একাদশ ও দ্বাদশ শেণি) সংখ্যা এক হাজার ৫৫৮টি। এর মধ্যে এমপিওভুক্ত মাদ্রাসার সংখ্যা ৯৮২টি। এসব মাদ্রাসায় এমপিওভুক্ত শিক্ষক রয়েছেন ২০ হাজার ৮১ জন।

কামিল মাদ্রাসার (মাস্টার্স/স্নাতকোত্তর) সংখ্যা ২১৯টি। এর মধ্যে এমপিভুক্ত প্রতিষ্ঠান ১৪৫টি। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমপিওভুক্ত শিক্ষক রয়েছেন পাঁচ হাজার ৭৯ জন। এছাড়া বর্তমানে এমপিবিহীন সব স্তরের মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে এক হাজার ৭৩০টি।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত