ফাঁস হওয়া প্রশ্নেই চলছে প্রাথমিকের মডেল টেস্ট
নজরুল ইসলাম লিখন, রূপগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৮ জুলাই ২০১৮, ১৮:০৩
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীর মডেল টেস্ট পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস হয়েছে। পরীক্ষার আগেই কোমলমতি শিক্ষার্থীদের হাতে হাতে পৌঁছে গেছে প্রশ্নের কপি। উপজেলার ১১৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শতাধিক বিন্ডারগর্টেনের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার পূর্বেই বেশ কিছু শিক্ষার্থীর হাতে চলে আসে ফাঁস হওয়া পরীক্ষার প্রশ্নের কপি।
রূপগঞ্জ উপজেলার সব মডেল টেস্ট পরীক্ষা কেন্দ্রে অভিন্ন প্রশ্ন হওয়ার কারণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সহজেই তা ছড়িয়ে পড়েছে। মূর্হুতের মধ্যেই গ্রামে গ্রামে ছাত্রছাত্রীদের হাতে পৌঁছে যায় প্রশ্নের কপি।
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জায়েদা আক্তার নির্বিকার। জেলা শিক্ষা অফিস বলছে, প্রশ্নফাঁসের দায় প্রধান শিক্ষকদের।
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক প্রধান শিক্ষক বলেন, প্রশ্ন প্রণয়ন, কম্পিউটার কম্পোজ, প্রশ্ন দেয়া, প্রশ্ন ছাপা, বিতরণ ও সংরক্ষণের সময় কোনও ত্রুটি হলেই প্রশ্ন ফাঁস হয়।
তিনি আরো জানান, প্রধান শিক্ষকদের কাছ থেকে প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার সুযোগ নেই। কারণ তাদেরও দায়বদ্ধতা আছে। প্রশ্ন ছাপা ও সংরক্ষণে দায়বদ্ধতা থাকলে ফাঁস হওয়ার সম্ভবনা কমে আসবে।
সরকারি চাকরিজীবী ছাড়া কোনও স্কুলের মালিক বা কিন্ডারগার্টেন সমিতির কোনো কর্মকর্তাকে এ জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেয়া উচিৎ নয় বলে শিক্ষকরা মনে করেন।
বুধবার বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। যা ইতোমধ্যেই ফাঁস হয়েছে। এর আগে, গত ১৬ জুলাই ইংরেজি পরীক্ষা এবং ১৭ জুলাই বাংলা পরীক্ষার ফাঁস হওয়া প্রশ্নের সাথে হুবহু মিল পাওয়া গেছে।
গত ১৫ জুলাই উপজেলা শিক্ষা অফিস মডেল টেস্ট পরীক্ষা কেন্দ্রের নির্ধারিত প্রধান শিক্ষকদের নিকট প্রশ্ন হস্তান্তর করেন। কিন্তু এর আগেই ১২ জুলাই রাতেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে প্রশ্ন।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জায়েদা আক্তার বলেন, এমন অভিযোগ এর আগে তার কাছে কেউ করেনি। তদন্ত সাপেক্ষে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল ফাতেহ মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। যদি এমন হয়ে থাকে তাহলে খুবই দুঃখজনক। আমি নিজে বিষয়টি দেখব।
ডিপি/