ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

ডাকসু নির্বাচনে যাচ্ছে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৩ জানুয়ারি ২০১৯, ১৫:০০

ডাকসু নির্বাচনে যাচ্ছে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ব্যানারে স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা।

সংগঠনটির একাধিক নেতা এ তথ্য জানিয়েছেন। ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের কারও কারও মতে, ডাকসু নির্বাচনে আন্দোলনকারীরা অংশ নিলে রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর জন্য অন্যতম চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

ডাকসুর সাবেক ভিপি অধ্যাপক মাহফুজা খানম বলেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলন আর ডাকসু নির্বাচন পুরোপুরি ভিন্ন বিষয়। কোটা সংস্কার আন্দোলনে তাদের পেছনে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ছিল এবং তারা সফলও হয়েছে এটা সত্য। কিন্তু ডাকসু নির্বাচনে অনেক রাজনৈতিক বিষয় কাজ করে। সে ক্ষেত্রে তারা কতটা সফল হতে পারবে, তা সময়ই বলে দেবে।’

বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ আহ্বায়ক হাসান আল মামুন বলেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলন ছিল সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি। আমরা তাদের দাবি নিয়ে আন্দোলন করে সফল হয়েছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে আমরা আন্দোলন করেছি, সেখানেও আমরা সফল হয়েছি। এবার বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা ২৫ জন শিক্ষার্থীকে ভর্তিতে আর্থিকভাবে সহায়তা করেছি। এক কথায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি আদায় করার জন্য এবং তাদের সব সমস্যায় পাশে থাকার জন্য আমরা কেন্দ্রীয় ও হল সংসদের নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

সংগঠনটির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আহ্বায়ক হাসান আল মামুন গত বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ থেকে মাস্টার্স শেষ করেছেন। তার শিক্ষাবর্ষটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নির্বাচনের আওতায় না রাখলে যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক (ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র), রাশেদ খান (ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনস্যুরেন্স বিভাগের এমবিএর ছাত্র) এবং ফারুক হাসান (ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের মাস্টার্সের ছাত্র)—এই তিনজনের যেকোনো দুজনকে সামনে রেখে প্যানেল গঠনের পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।

সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসান বলেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্তই আমরা প্রাথমিকভাবে নিয়েছি। তবে পরিবেশ–পরিস্থিতি বিবেচনা করে জোটবদ্ধও হতে পারি আমরা। স্বাধীনতাবিরোধী যেসব ছাত্রসংগঠন রয়েছে, তারা বাদে যে কারও সঙ্গে আমাদের জোট হতে পারে।’

যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান বলেন, কোটা বন্ধের সিদ্ধান্ত হওয়ার পরও তাদের বিভিন্নভাবে হুমকি–ধমকি দেওয়া হচ্ছে। তারা কোনো অনুষ্ঠান করতে চাইলে মারধর করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতি চললে নির্বাচনে অংশ নেওয়াটাই কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। তাই সবকিছু নির্ভর করেছ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পদক্ষেপের ওপর। তারা যদি বিশ্ববিদ্যালয়ে সহাবস্থান নিশ্চিত করতে পারে, তবেই তারা নির্বাচনে সুষ্ঠুভাবে অংশ নিতে পারবেন।

এ ক্ষেত্রে প্রশাসনের অসহযোগিতার অভিযোগ এনে তিনি বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের সঙ্গে দেখা করতে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় গিয়েছিলেন তারা। তিনি তাদের বেলা একটায় যেতে বলেন। একটায় গিয়ে তাকে কার্যালয়ে পাওয়া যায়নি। ফোন দিলেও তিনি ধরেননি।

এবিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘ডাকসু নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে প্রক্টরের সঙ্গে সাক্ষাতে আলোচনা করার কোনো প্রয়োজন নেই। যারা ডাকসুর ভোটার, তারাই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে। নির্বাচনের বিষয়ে যদি তারা কোনো মতামত দিতে চায়, সে ক্ষেত্রে লিখিতভাবে তারা তাদের মতামত জানাতে পারে।’

বাংলাদেশ জার্নাল/জেডআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত