ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

সরকারি হলো ৪ মাধ্যমিক বিদ্যালয়

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৬:২১  
আপডেট :
 ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৬:২৫

সরকারি হলো ৪ মাধ্যমিক বিদ্যালয়

শিক্ষা মন্ত্রণালয় দেশের চার জেলার আরও চারটি মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সরকারিকরণ করেছে। রোববার এসব প্রতিষ্ঠানকে সরকারি করে আদেশ জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার রেবতী রমন দ্বিপাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয়, লক্ষ্মীপুরের রায়পুর মার্চেন্টস একাডেমী, চুয়াডাঙ্গার জীবননগর থানা পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় এবং দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার রাণীগঞ্জ ২য় দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজ।

১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এসব প্রতিষ্ঠান সরকারি ধরে আদেশে বলা হয়েছে, এসকল প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে কর্মরত কোনো শিক্ষক অন্যত্র বদলি হতে পারবেন না।

এদিকে ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি-৪) বাস্তবায়নে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় দুটি বিষয়কে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছে। একটি হলো দক্ষ শিক্ষক নিয়োগ ও শিক্ষকদের যথাযথ প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করা। অন্যটি হলো প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আধুনিক অবকাঠামো নিশ্চিত করা। সে অনুযায়ী মন্ত্রণালয় ২০২১ সালের মধ্যে আরো ১৩ হাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ ও মাদরাসায় নতুন ভবন নির্মাণ করার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে।

এ ছাড়া দেড় হাজার কলেজে মেয়েদের জন্য হোস্টেল নির্মাণের লক্ষ্যে প্রকল্প যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে।

গত বছরের অক্টোবরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন ও অগ্রগতি সম্পর্কিত সর্বশেষ এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের মধ্যে উন্নয়ন খাতে নির্মিত হবে প্রায় আট হাজার ৮২৩টি নতুন ভবন। আর এ সময়ের মধ্যে প্রতিবছর প্রায় এক হাজার ৫০০ ভবন নির্মিত হবে রাজস্ব খাতের আওতায়। এসব ভবন নির্মাণের দায়িত্বে রয়েছে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর (ইইডি)।

জানা যায়, উন্নয়ন খাতে নির্বাচিত বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে তিন হাজার ভবন নির্মিত হবে। তিন হাজার ২৫০টি বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভবন ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ করা হবে। এক হাজার ৮০০ মাদরাসার উন্নয়নে নতুন ভবন নির্মিত হবে। বিদ্যমান ২০০টি সরকারি কলেজে বিজ্ঞান শিক্ষার প্রসারে ভবন নির্মাণ করা হবে। এ ছাড়া চারটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, ১০০টি উপজেলায় একটি করে টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ, নতুন করে ২৩টি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, চারটি সার্ভে ইনস্টিটিউট ও চারটি মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট হবে। এ বিদ্যমান ৪৯টি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে অবকাঠামো উন্নয়ন এবং ৩৮৯টি উপজেলায় একটি করে টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ স্থাপন করা হবে।

এদিকে গত ১০ বছরে ২৩ হাজার ৯৭৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। এর মধ্যে ১১ হাজার ৩০৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে। অবশিষ্ট ১২ হাজার ৬৭৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণ ২০২১ সালের মধ্যে শেষ হবে। এগুলোর মধ্যে ৩২৩টি সরকারি স্কুল, ঢাকা মহানগরীর কাছাকাছি ১০টি সরকারি স্কুল নির্মাণ, জেলা পর্যায়ে ৭০টি স্নাতকোত্তর সরকারি কলেজের ভবন নির্মাণ উল্লেখযোগ্য।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, মাধ্যমিক পর্যায়ে ছেলে-মেয়ের জেন্ডার সমতা নিশ্চিত হলেও উচ্চ মাধ্যমিকে গিয়ে তা সম্ভব হচ্ছে না। এর প্রধান কারণ দূরদূরান্তে কলেজগুলোর অবস্থান। নিজ বাড়ি থেকে কলেজের অবস্থান দূরে হওয়ায় অনেক ছাত্রীই ভর্তি হয় না। আবার অনেকে উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি হয়েও পড়ালেখা শেষ করে না।

জানা যায়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতে দৃষ্টিনন্দন ভবন নির্মাণ করা হয়, সেই ব্যাপারে নির্দেশনা রয়েছে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। এ জন্য প্রতিটি ভবনে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য পৃথক টয়লেট, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য র‌্যাম্প, টানা বারান্দা, পর্যাপ্ত আলো-বাতাসের ব্যবস্থা রাখা, ছাদে লাল টালি দিয়ে ভবন নির্মাণের ব্যবস্থা করেছে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর।

শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী দেওয়ান মোহাম্মদ হানজালা বলেন, ‘২০২১ সালের মধ্যে এমন কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নেই, যেখানে সুন্দর ও দৃষ্টিনন্দন ভবন নির্মিত হবে না। এর মধ্যে জাতীয়করণ হওয়া স্কুল ও কলেজও রয়েছে।’

  • সর্বশেষ
  • পঠিত