বন্ধ হয়ে গেল বেকারদের উদ্যোগে গড়ে উঠা মহিলা কলেজটি

যশোরের শার্শা উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে নারী শিক্ষা প্রসারের লক্ষ্যে এলাকার বিদ্যানুরাগী এবং শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতীদের উদ্যোগে ১৯৯৫ সালে গড়ে উঠে গোড়পাড়া মহিলা কলেজ। কলেজটি সকল শর্ত পূরণ করায় শিক্ষাবোর্ড পাঠদানের অনুমতি প্রদান করেন। ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা, ফলাফল, অবকাঠামোসহ সকল শর্ত পূরণ করলেও কলেজটি পায়নি একাডেমিক স্বীকৃতি। যার কারণে বন্ধ হয়ে গেছে কলেজটির সকল কার্যক্রম।

যশোরের শার্শা উপজেলা সদর থেকে ১০ কিলোমিটার উত্তরে নিজামপুর ইউনিয়নে অবস্থিত গোড়পাড়া মহিলা কলেজ। নিয়োগ দেয়া হয় ১২ জন শিক্ষক ও ৪ জন কর্মচারী। সকল শর্ত পূরণ করায় শিক্ষাবোর্ড ২০১০ সাল থেকে পাঠদানের অনুমতি প্রদান করেন।

চুয়েট বন্ধ ৯ মে পর্যন্ত, হল ত্যাগের নির্দেশ প্রত্যাহার

ওই বছরই সরকারি ভাবে নির্মিত হয় দ্বিতল ভবন। আর এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৫৫ জন শিক্ষার্থী। শিক্ষক-কর্মচারী ও এলাকার বিদ্যানুরাগীদের সহযোগিতায় ২০১৬ সাল পর্যন্ত এ কলেজ থেকে নিয়মিত ভাবে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে আসছিল। কয়েকবার স্থানীয় সংসদ সদস্যের ডিও লেটারসহ একাডেমিক স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করলেও একাডেমিক স্বীকৃতি দেয়া হয়নি। যার কারণে ২০১৭ সাল থেকে বন্ধ রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির সকল কার্যক্রম।

প্রায় দুই যুগ আগে পরিচালনা কমিটির নিকট থেকে নিয়োগ পাওয়া প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষিকা ও কর্মচারীরা জীবিকা নির্বাহের তাগিদে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত ছেড়ে বিভিন্ন পেশায় যোগ দিয়েছেন। এলাকাবাসী অবিলম্বে নারী শিক্ষা প্রসারের লক্ষে কলেজটি চালুর দাবি জানিয়েছেন।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাসান হাফিজুর রহমান বলেন, যশোরের শার্শা উপজেলার নিজামপুর ইউনিয়নে অবস্থিত গোড়পাড়া মহিলা কলেজ। কলেজটি ২০১০ সালে পাঠদানের অনুমতি পায়। একাডেমিক স্বীকৃতি না পাওয়ায় ২০১৭ থেকে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ আছে। পুনরায় কলেজটি চালু করতে হলে বিধি অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ বরাবর আবেদন করলে কলেজটি পুনরায় চালু করা সম্ভব।

বাংলাদেশ জার্নাল/জেডআই