ঢাকা, রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

তিনদিনের অন্দোলন শেষে গোপালগঞ্জ বশেমুরবিপ্রবি’র সর্বশেষ অবস্থা

  গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৬:৫৩

বশেমুরবিপ্রবি’র সর্বশেষ অবস্থা

গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্বাবিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো আন্দোলন চলছে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। শনিবার সকাল ১০টার মধ্যে সকল শিক্ষার্থীকে হল ত্যাগেরও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এদিকে আন্দোলনের মুখে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মো: হুমায়ূন কবীর পদত্যাগ করেন। ক্যাম্পাস উত্তাল থাকায় বিভিন্নস্থানে পুলিশ মোনায়েন করা হয়েছে। গোপালগঞ্জ-টুঙ্গিপাড়া সড়কে যান চলাচলে ধীরগতি লক্ষ্য করা যায়।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ভিসি প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। টানা তৃতীয়দিন আন্দোলনের মুখে পুরো ক্যাম্পাস উত্তাল হয়ে ওঠে। প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থানে নিয়ে ভিসির পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন শ্লোগান দিলে উত্তাল হয়ে ওঠে পুরো ক্যাম্পাস।

এসময় ক্যাম্পাসের বাইরে থাকা শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস ও গোপালগঞ্জ শহর অভিমুখে যেতে চাইলে বিভিন্ন স্থানে বাধা দেয় পুলিশ। এসময় ক্যাম্পাসের বাইরে বিভিন্ন স্থানে বহিরাগতদের হামলায় অন্তত ২০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। তাদেরকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এদিকে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত রাখতে বিবাদমান গ্রুপসমূহের মধ্যকার মতানৈক্য নিরসনে এবং সম্ভাব্য অপ্রত্যাশিত ঘটনা এড়াতে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মো: নুরউদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্ভুত জরুরি পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত রাখতে বিবাদমান গ্রুপসমূহের মধ্যকার মতানৈক্য নিরসনে এবং সম্ভাব্য অপ্রত্যাশিত ঘটনা এড়াতে রিজেন্ট বোর্ডের সম্মানিত সদস্যগণের মৌখিক অনুমতির প্রেক্ষিতে আসন্ন পূজার নির্ধারিত ছুটির সাথে ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর তারিখ পর্যন্ত বর্ধিত করা হল। শিক্ষার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলসমূহের শিক্ষার্থীদের সকাল ১০টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হল।

শিক্ষার্থীরা জানান, তারা এখনো আদেশের চিঠিটি পাননি। তবে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ও হল ত্যাগের নির্দেশের বিষয়টি তারা শুনেছেন।

কয়েকজন শিক্ষার্থীরা জানান, আমাদের একমাত্র দাবি ভিসির পদত্যাগ। ভিসি পদত্যাগ করলেই আন্দোলন থেকে সরে যাবো। না হলে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

কৃষি বিজ্ঞান বিভাগ প্রভাষক গোলাম ফেরদৌস বলেন, শিক্ষার্থীদের যে সুষ্ঠু দাবি ছিলো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তা মেনে নিয়েছে। তারপরেও তারা অযৌতিক আন্দোলন করছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মো: নুরউদ্দিন আহমেদ ছুটি ও হল ত্যাগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, উদ্ভুত পরিস্থিতি সামাল দিয়ে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ও শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছি।

প্রসঙ্গত, গত ১১ সেপ্টেম্বর আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ও ক্যাম্পাস সাংবাদিক ফাতেমা-তুজ-জিনিয়াকে সাময়িক বহিষ্কার করলে শিক্ষার্থীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। পরে জিনিয়ার বহিষ্কারাদেশ তুলে নিলেও ভিসির পদত্যাগের দাবিতে অন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা।

বাংলাদেশ জার্নাল/এইচকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত