ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

বিভাগ প্রাঙ্গণে প্রস্রাব করায় কেন্দ্রীয় নেতাকে পেটালেন ছাত্রলীগকর্মী

  ঢাবি প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১০ মার্চ ২০২১, ১৭:২৯  
আপডেট :
 ১০ মার্চ ২০২১, ১৭:৩৫

বিভাগ প্রাঙ্গণে প্রস্রাব করায় কেন্দ্রীয় নেতাকে পেটালেন ছাত্রলীগকর্মী
বামে ভুক্তভোগী, ডানে অভিযুক্ত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রাঙ্গণে প্রস্রাব করায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির এক নেতাকে পিটিয়ে আহত করেছেন একই সংগঠনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার এক কর্মী।

মঙ্গলবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শাহবাগ থানায় একটি অভিযোগপত্র দায়ের করা হয়েছে বলে জানা যায়।

হামলার শিকার পুতল ঢাকা মেডিকেল থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করে এখন বাসায় রয়েছেন। তবে শারিরীক অবস্থা এখনো পুরোপুরি ভালো হয়নি বলে জানান তিনি। হামলার সময় অভিযুক্তের সাথে আরো তিন বন্ধু ছিল বলেন জানায় পুতুল।

মারধরে অভিযুক্ত ওই ছাত্রলীগ কর্মীর নাম জামান সামি। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র এবং স্যার এ এফ রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।

পুতুল চন্দ্র রায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় স্কুল ও ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (২০১০-১১) সেশন ও জগন্নাথ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার মধ্যরাতে পুতুল চন্দ্র রায় ও তার সাথে থাকা আরেকজন আইন অনুষদের ভেতরে (মোতাহার হোসেন ভবন) একটি জায়গায় প্রস্রাব করছিলেন। এ সময় পাশেই জামান সামি ও তার কয়েকজন বন্ধু অবস্থান করছিলো। সামি এসে তাদের বাধা দেন এবং একজনের কলার ধরে ফেলেন। পুতুল তার পরিচয় দিলে উভয়পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে সামি পুতুলের কপালে ঘুসি মারলে তার চোখের ভ্রুর কাছে ফেটে যায়। পরে তিনি ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নিয়েছেন।

পুতুলের অভিযোগ, সামিসহ দুইজন অতর্কিত আমার ওপর হামলা চালিয়েছে। পরে প্রক্টরিয়াল টিম আসার পরে তারা হাতেনাতে ধরা পড়লে সঙ্গে সঙ্গে মারার বিষয়টিও অস্বীকার করে। এ বিষয়ে সাংগঠনিক ব্যবস্থার নেয়ার জন্য শীর্ষ নেতাদের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

আহত পুতুলকে হাসপাতালে দোখতে যায় ছাত্রলীগের উপ-প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক মেশকাত হোসেন। তিনি বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, হামলার বিষয় যখন আমরা শুনি, তখন আমরা তাকে হাসপাতালে দেখতে যাই। তাকে ব্যান্ডেজ দেয় হয়। পরিপূর্ণভাবে সেরে উঠতে আরো বিশ্রামের প্রয়োজন।

তবে অভিযুক্ত সামির বক্তব্য জানতে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে সামির এক বন্ধু জানায়, 'সে (সামি) এর আগেও গেস্টরুমে ১ম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ওপর অনেক নির্যাতন করতো।'

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে যাতে ব্যবস্থা নেয়া হয়, সেজন্য কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের কাছে অনুরোধ করেছি।’

তবে এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও লেখক ভট্টাচার্যের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কেউ ফোন রিসিভ করেননি।

বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রাব্বানী বলেন, প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেয়ার একটি ব্যাপার থেকে ঘটনাটি ঘটেছে। কোনো পক্ষই ঠিক কাজ করেনি। ক্যাম্পাসের নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা সকলকে গভীর রাতে অপ্রয়োজনে চলাচল না করার পরামর্শ দিচ্ছি। এর জন্য প্রয়োজনে উপযুক্ত ব্যবস্থাও নেয়া হবে।

অভিযোগপত্রের বিষয়ে জানতে চাইলে শাহবাগ থানার ডিউটি অফিসার (উপ-পরিদর্শক) আবুল মোমেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত