ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেবে যেসব সিনেমা

  নাহিদা রিনথী

প্রকাশ : ২৯ অক্টোবর ২০২০, ১৮:২৫  
আপডেট :
 ২৯ অক্টোবর ২০২০, ২১:৩৩

জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেবে যেসব সিনেমা
প্রতীকী ছবি

আমরা সবাই কম বেশী সিনেমা দেখি, দেশি-বিদেশী এসব সিনেমা আমাদেরকে নির্দিষ্ট সময়ে গল্পের মাধ্যমে বিনোদন দেয়, যাতে কল্প-কাহিনী ছাড়াও থাকে সত্য জীবনের ছোঁয়া। কিছু গল্প এমনও হয় যা থেকে আমরা সামনে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা পাই। জীবন যখন হতাশায় ডুবে যায়, সবকিছুকে যখন তুচ্ছ মনে হয়, তখনই জীবনে বিনোদনের প্রয়োজন হয়। আর বিনোদন হিসেবে যদি এমন কিছু চলচ্চিত্রকে বেছে নেয়া যায় যা আপনার অবসর সময়টুকুতে সুন্দর ভবিষ্যত গঠনের বীজ বুনে দেবে, তা হবে চমৎকার।

চলুন জেনে আসা যাক এমন কিছু মোটিভেশনাল সিনেমা সম্পর্কে যা আপনার দুঃখ ভারাক্রান্ত বা ব্যর্থ জীবনে অনুপ্রেরণার জোগাবে-

পারস্যুট অফ হ্যাপিনেস

প্রত্যেকটি সফল মানুষের সফলতার পেছনেই রয়েছে ব্যর্থতার নির্মম কোনো গল্প। সংগ্রাম না করে জীবনে কেউ কখনো বড় হতে পারেনি। পৃথিবীর সেরা ধনীদের জীবন কাহিনী ঘাঁটলেও দেখা যাবে কোনো না কোনো এক সময়ে করে আসা কঠিন জীবন সংগ্রামের গল্প। তাদের অতীতের এসব গল্প যেমন বাকিদের জন্য শিক্ষামূলক ঠিক তেমনি অনুপ্রেরণাদায়ক। পরাজয়, চ্যালেঞ্জ আর অক্লান্ত পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে যাওয়া এক সেলসম্যানের গল্প ‘দ্য পারস্যুট অব হ্যাপিনেস’। স্ত্রী ছেড়ে চলে যায় তাকে, বাড়িভাড়া পরিশোধ করতে না পারায় হারান মাথা গোঁজার ঠিকানাটিও। কিন্তু সবকিছু ছাপিয়ে তার মাথায় একটিই চিন্তা আর সেটা হলো নিজের সন্তানের জন্য একটি নিরাপদ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা। জীবনের সঙ্গে তার এই অদম্য যাত্রায় একবারও আশা ছাড়েনি, হোঁচট খেয়েছে বারংবার কিন্তু ঘুরে দাঁড়িয়েছে আবারও। সিনেমাটিতে অসাধারণ অভিনয়ের জন্য অস্কার এবং গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারের মনোনয়ন পান অভিনেতা উইল স্মিথ। উইল স্মিথের ছেলের চরিত্রে অভিনয় করেন তারই ছেলে জ্যাডেন স্মিথ।

নির্মাণ এবং চিত্রনাট্য

দ্য পারসুট অব হ্যাপিনেস মুভিটি পরিচালনা করেছেন ইটালিয়ান পরিচালক গ্যাব্রিয়েল মুচিনো। মুভিটিতে মূল চরিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজনাতেও নাম লিখিয়েছিলেন অভিনেতা উইল স্মিথ। পরিচালক অত্যন্ত সুন্দরভাবে বড় পর্দায় গার্ডনারের জীবনী ফুটিয়ে তুলতে সক্ষম হয়েছেন।

রেটিং: মুভিটি দর্শক এবং সমালোচক উভয়ের দ্বারা ব্যাপক প্রশংসিত হয় এবং মুক্তির পর থেকে এখন পর্যন্ত ৮.০ রেটিং নিয়ে আইএমডিবির শীর্ষ ১০০ মুভির তালিকায় স্থান দখল করে আছে। মুভিটির অস্কার এবং গোল্ডেন গ্লোবে মনোনয়ন মুভিটির জনপ্রিয়তাই নির্দেশ করে।

এ মুভিটি কেন দেখবেন: দ্য পারসুট অব হ্যাপিনেস জীবনযুদ্ধে জয়ী এক মানুষের গল্প। তার চেয়ে বড় কথা এটি এক বাবা এবং তার পুত্রের গল্প। মুভিটিতে নেই কোনো চাকচিক্য, নেই কোনো আকস্মিক চমক। হলিউডের গ্ল্যামারাস জগতের বাইরের এ মুভিটি সকলের ভালো লাগবে কিনা তা জানা নেই। তবে মুভিটি দেখলে আপনি কিছুটা হলেও আবেগী হয়ে উঠবেন তা হলফ করে বলা যায়।

দ্যা গডফাদার

শুধুই উপন্যাস নাকি তার চেয়েও বেশি কিছু। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয়েছে, আমেরিকার অর্থনীতির অবস্থা শোচনীয়। এর মধ্যেই মাফিয়া পরিবারগুলোর ব্যবসা চাঙ্গা হয়ে উঠছে। তেমনই একটি পরিবার হল কর্লিওনি। এই পরিবারের প্রধান হলেন ভিটো কর্লিওনি গডফাদার। আর কর্লিওনি পরিবারকে ঘিরেই গড়ে উঠেছে দ্যা গডফাদার উপন্যাসের কাহিনী। মারিও পুজো উপন্যাসটি সৃষ্টি করেছেন প্রেম ভালবাসা, বিশ্বাস-অবিশ্বাসের অপূর্ব মিশ্রণে। যারা এখনও এই উপন্যাসটি পড়েননি তারা বিশ্ব সাহিত্যের বিরাট একটি অংশ মিস্ করছেন। উপন্যাসটি যে একবার শুরু করবে, সে আর শেষ না করে ছাড়তে পারবে না। মারিও পুজোর এই উপন্যাসটি নিয়ে সিনেমাও বানানো হয়েছে। সিনেমাগুলোতে কখনো দেখার ইচ্ছে হয়নি। কারণ মারিও পুজোর বর্ণনায় চরিত্রগুলো আমি আমার মত করে কল্পনা করে নিয়েছি। চোখ বন্ধ করে গডফাদার ভিটো কর্লিওনির কথা ভাবলেই আমি তাকে দেখতে পাই। সিনেমা দেখলে, আমি আর আমার মত করে চরিত্রগুলো দেখতে পাব না। দ্যা গডফাদার – মারিও পুজোর অসামান্য একটি সৃষ্টি।

নির্মাণ এবং চিত্রনাট্য

১৯৬৭ সালের মার্চ মাসে প্যারামাউন্ট ঘোষণা দেয় যে তারা পুজোর আসন্ন কাজের জন্য তাকে সাহায্য করেছে এই গল্প নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণের আশায়। ১৯৬৯ সালে প্যারামাউন্ট ৮০,০০০ মার্কিন ডলারের বিনিময়ে এই উপন্যাস অবলম্বনে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণের ইচ্ছার কথা নিশ্চিত করে এবং ১৯৭১ সালের ক্রিসমাস ডেতে ছবিটি মুক্তির দেওয়ার ইচ্ছা পোষণ করে। ১৯৭০ সালের ২৩ মার্চ দাপ্তরিকভাবে ঘোষণা দেওয়া হয় আলবার্ট এস. রুডি ছবিটি প্রযোজনা করবে, কারণ স্টুডিও নির্বাহীরা তার সাক্ষাৎকারে মুগ্ধ হয় এবং তিনি বাজেটের মধ্যে চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য প্রসিদ্ধ ছিলেন।

রেটিং: দ্য গডফাদার সমালোচকগণ কর্তৃক সমাদৃত হয়েছে এবং ছবিটি সর্বকালের অন্যতম সেরা চলচ্চিত্রের তালিকায়, বিশেষ করে গ্যাংস্টার ঘরানার তালিকায়, শীর্ষে রয়েছে। পর্যালোচনাভিত্তিক ওয়েবসাইট রটেন টম্যাটোস -এ ৮৫টি পর্যালোচনা এবং ৯.২/১০ গড়ে ছবিটির রেটিং ৯৯%।

এ মুভিটি কেন দেখবেন: মাফিয়াজগত নিয়ে এখন পর্যন্ত সেরা ছবি বলা হয় ‘দ্য গডফাদার’কে। ইতালির সিসিলি থেকে আসাসাধারণ একজন ভিটো কার্লিয়নি ভাগ্যক্রমে হয়ে যায় আমেরিকার অন্ধকার জগতের ডন। ১৯৭২ সালে মুক্তি পাওয়া এই ছবিটি তিনটি বিভাগে অস্কার জিতে নেয়। মারিয়ো পুজোর বিখ্যাত উপন্যাস দ্য গডফাদার অবলম্বনে ছবিটি নির্মিত।

ফরেস্ট গাম্প

দৃঢ় মনোবল একটা মানুষকে কতটা শক্তি দিতে পারে তা ভালোভাবেই ফুটিয়ে তুলেছে। আর সততা জিনিসটা যে শুধু বইয়ে নয় বাস্তব জীবনেও দরকার তা সুক্ষভাবে বুঝিয়েছে। সেক্যুলার আমেরিকায় ঈশ্বরবাদ এখন একটা নেতিবাচক ফর্মে আছে অনেকদিন ধরেই কিন্তু এতগুলো মিরাকলের মাধ্যমে কি স্বয়ং ঈশ্বরকেই বোঝানো হয় নি? অতি সাধারণ এক মানুষ ফরেস্ট গাম্প। তার আইকিউ অন্য দশজনের তুলনায় কম। নিজের মা ছাড়া অন্য কাউকে সে জানে না। মায়ের দেখানো সহজ-সরল সাজানো পথে জীবন সাজাতে চায় সে। আরেকজনকে সে পরম ও একমাত্র বন্ধু হিসেবে চেনে সে হলো জেনি। একসময় সেনাবাহিনীতে যোগ দেয় ফরেস্ট। তারপর বছরের পর বছর চলে যায়। একে একে ঘটনার জন্ম দেয় ফরেস্ট। কিন্তু কোন কিছুই ফরেস্টকে আলোড়িত করে না। আলোড়িত করে কেবল জেনি। একসময় ভালোবাসায় ধরা না দিতে দিতে ভালোবাসারই জয় হয়।

নির্মাণ এবং চিত্রনাট্য

চলচ্চিত্রটির মূল কাহিনী শুরু হয় ১৯৮১ সালের কোন এক সময়ে, কোন এক বাস স্টেশনে। বোকাসোকা ফরেস্ট গাম্প কিভাবে ঘটনাক্রমে তার জীবনকে আমেরিকার ইতিহাসের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে ফেলে, তারই বর্ণনা ছিল গাম্পের কন্ঠে । কোন রকম চেষ্টা ছাড়াই সে ফুটবল তারকা হয়ে যায়, জন এফ কেনেডির সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে দেখা করার সুযোগ পায়, ভিয়েতনাম যুদ্ধে দেশের হয়ে যোগ দেয়, লাভজনক চিংড়ি ব্যবসায় জড়িয়ে পরে, বছরের পর বছর ধরে গ্রামান্তর দৌঁড়ে অংশ নেয়। শুধু তাই নয়, ওয়াটার গেট কেলেঙ্কারিও সে উন্মোচন করে। জন লেননের সাথেও সময় কাটিয়েছিল গাম্প। নিজের সরল ব্যক্তিত্ব ও সাদামাটা জীবনে ফরেস্ট গাম সব সময়ই ছোট্ট বেলার বান্ধবী জেনীকে কাছে চেয়েছিলো। কিন্তু নিরীহ, সরল ফরেস্ট গাম আমেরিকার সব বড় বড় ঘটনার সাক্ষী হয়ে ওঠে। তবুও শেষ পর্যন্ত সে সাধারণই থেকে যায়।

রেটিং: সর্বকালের অন্যতম সেরা ছবির তালিকায় জায়গা করে নেয়া এই চলচ্চিত্রটি ১৯৯৪ সালে মুক্তি পাওয়ার পর আয় করে নেয় ৬৭৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যার নির্মাণব্যয় ছিলো মাত্র ৫৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ৬৭ তম অস্কারে এই চলচ্চিত্র ১৪ টি বিভাগে মনোনয়ন পেয়ে সেরা অভিনেতাসহ জিতে নেয় ৬টি বিভাগে শ্রেষ্ঠ পুরস্কার। IMDB রেটিং: ৮.৮ এই আলোচনা লিখার সময় পর্যন্ত ১০, ৩০, ৯৫৫ জন রেটিং দিয়েছেন।

এ মুভিটি কেন দেখবেন: জীবন হলো একটি চকলেটের বাক্সের মতো। তুমি জানবেও না ভেতরে কী পেতে যাচ্ছ। ১৯৯৪ সালের এই আমেরিকান কমেডি ড্রামা ঘরানার চলচ্চিত্রটি মূলত উইন্সটন গ্রুমের উপন্যাস ‘ফরেস্ট গাম্প’-এর চলচ্চিত্রায়ন করেন রবার্ট জেমেকিস। অ্যালাবামা থেকে আসা এক অতিসাধারণ মানুষ ফরেস্ট গাম্প ছিলেন একজন প্রতিবন্ধী। কিন্তু নিজের অদম্য মানসিকতা দিয়ে এই মানুষটিই একসময় হয়ে উঠে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের অন্যতম একজন। চলচ্চিত্র ইতিহাসের অন্যতম অনুপ্রেরণাদায়ক এই চলচ্চিত্র মুহূর্তেই পাল্টে দিতে পারে জীবন নিয়ে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিকে।

দ্য শশাঙ্ক রিডেম্পশন

এক অদ্ভুত দৃঢ় আর মানুষের ইনার স্পিরিটের গল্প। যে গল্পের স্বাদ মানুষ আগে পায়নি। গল্পের নায়ক ‘অ্যান্ডি’ সিস্টেমের অন্যায়ের শিকার ছিল, সে মাথা নত না করে সেই সিস্টেমকে চ্যালেঞ্জ করেছে। বার বার মার খেয়েছে, আবার উঠে দাঁড়িয়েছে। ১৯ বছর লড়াই করেছে। সে অনুভব করেছে। আশা করেছে। অ্যান্ডি ডুফ্রেইন, একজন তরুণ ব্যাংকার ১৯৪৬ সালে শশাঙ্ক প্রিজনে প্রবেশ করেন স্ত্রী হত্যার দায় মাথায় নিয়ে। স্ত্রী হত্যার অভিযোগে তিনি কতটা নির্দোষ এটা ফুটে না উঠলেও যেটা সবার চোখে পড়ে সেটা হলো- তার নম্র আচরণ আর পরিচ্ছন্ন চিন্তাভাবনা। সেখানেই তার পরিচয় আর বন্ধুত্ব হয় কিশোর বয়সে রাগের মাথায় খুন করা অ্যাফ্রো-আমেরিকান ‘রেড’। ভদ্র চেহারার ঠগ উইলিয়াম স্যাডলার, জেলখানার বৃদ্ধ লাইব্রেরিয়ান জেমস হোয়াইটমোরের সাথে। জেলখানার প্রথম ২ বছর খুবই খারাপ কাটে অ্যান্ডির। গার্ডদের অনবরত উত্যক্ত করা, যৌন নির্যাতন, অমানুষিক নির্যাতন সব কিছুই মুখ বুজে সহ্য করতে হয়েছে তাকে। পরিস্থিতি কিছুটা উন্নত হয় যখন তার ব্যাংকিং স্কিল কাজে লাগিয়ে গোপন টাকার পাহাড় জমাতে থাকে। কয়েক বছর পর তাকে জেলের লাইব্রেরির দায়িত্ব দেয়া হয়। এখানেও অ্যান্ডি তার লেগে থাকার পরিচয় দেয় ৬ বছর প্রতি সপ্তাহে কর্তৃপক্ষের কাছে বই চেয়ে একটি করে চিঠি লিখে। শেষ পর্যন্ত সে বই আদায় করেই ছাড়ে। শুধু তাই না, ১৯৬৩ সালে সে ঐ লাইব্রেরিকে পুরো নিউ ইংল্যান্ডের সেরা প্রিজন লাইব্রেরিতে পরিণত করে।

নির্মাণ এবং চিত্রনাট্য

দ্য শশাঙ্ক রিডেম্পশন মুভিটি পরিচালনা করেছেন ফ্রান্সের মুভি ডিরেক্টর ফ্র্যাংক ড্যারাবন্ট। দ্য শশাঙ্ক রিডেম্পশন এর প্রযোজনা করেছে নিকি মারভিন। একই সাথে গল্পের লেখক ছিলেন স্টিফেন কিং। দ্য শশাঙ্ক রিডেম্পশন মুভিটি নির্মান করা হয়েছে স্টিফেন কিং এর লেখা রিতা হাইওর্থ এন্ড শশাঙ্ক রিডেম্পশন ( Rita Hayworth and Shawshank Redemption) এর উপর বেস করে। ২ ঘন্টা ২২ মিনিটের এই মুভিটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৪ অক্টোবর ১৯৯৩ সালে। ‘দ্য শশাঙ্ক রিডেম্পশন’ মুভি হচ্ছে নন-ব্লকবাস্টার, নন-অ্যাকশন, নন ফ্যান্টাসির, কিন্তু এক অদ্ভুত দৃঢ় আর মানুষের ইনার স্পিরিটের গল্প। যে গল্পের স্বাদ মানুষ আগে পায়নি। গল্পের নায়ক ‘অ্যান্ডি’ সিস্টেমের অন্যায়ের শিকার ছিল, সে মাথা নত না করে সেই সিস্টেমকে চ্যালেঞ্জ করেছে। বার বার মার খেয়েছে, আবার উঠে দাঁড়িয়েছে।

রেটিং: ইন্টারনেট মুভি ডাটাবেজে ৯.৩ রেটিং প্রাপ্ত মুভিটিতে প্রায় দুই মিলিয়ন এর মতো ভোট পড়ে। ২৫ মিলিয়ন বাজেটের দ্য শশাঙ্ক রিডেম্পশন মুভিটি বক্স অফিসে ৫৮.৩ মিলিয়ন আয় করে। ইন্টারনেট মুভি ডাটাবেজের এখন পর্যন্ত প্রথম স্থানে রয়েছে দ্য শশাঙ্ক রিডেম্পশন।

এ মুভিটি কেন দেখবেন: সিনেমার কাহিনী, চরিত্র, কথোপকথন, ধারাভাষ্য, পরিচালনা ও সমন্বয় সবকিছুই অসাধারণ হয়েছে। সবদিকের এমন অনবদ্য মিশ্রণ খুব কম সিনেমাতেই হয়। হতাশা বা অসফলতা সর্বোপরি খারাপ লাগার কারণ যাই হোক না কেন সিনেমাটি দেখলে মনে হবে এই গল্প যেন আমার জীবনের গল্পেরই আরেক রূপ! অনুভব হবে আপনারই এক সত্তা অভিনয় করেছে সিনেমাতে। ডুফ্রেইন চরিত্রে টিম রবিন্স এবং রেড চরিত্রে মর্গান ফ্রীমানের অভিনয় ছাড়াও এক সিনেমায় আপনারই এক অদৃশ্য সত্তা অভিনয় করে বসে আছে। আর সে হলো ‘আশা।

দ্য পিয়ানিস্ট

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে এক ইহুদি পিয়ানোবাদকের চোখে দেখা যুদ্ধের বিভীষিকা দ্য পিয়ানিস্ট চলচ্চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এই ছবিটি খুব স্পষ্ট করে দেখিয়েছে অপরিবর্তনীয় বিশ্ববাস্তবতা; যেখানে যুদ্ধবাজদের যুদ্ধব্যবসায় জনমানুষের মাংসের কারবার চলে অবিরত। এই গল্পের পিয়ানিস্ট একজন স্মিতবাক শিল্পী যে শিল্পের মাঝেই আত্মপরিচয় খুঁজে পেয়েছে। তার কাছে খুব অচেনা এই যুদ্ধের ব্যাকরণ। এই যুদ্ধে সে একে একে হারিয়ে ফেলে তার পরিবারের সব সদস্যকে। কিন্তু এই বিষাদ-যমুনায় তার পিয়ানো বাজানোর আকাংক্ষা বেঁচে থাকে। যুদ্ধবাজদের সব দম্ভ-অপমান-নির্যাতনের মাঝেও সে শিল্পীসত্বাটিকে বাঁচিয়ে রাখে। তাই তার পরিবার-পরিজন-প্রতিবেশীরা একে একে হারিয়ে যেতে থাকলেও সে বেঁচে থাকার লড়াই চালিয়ে যেতে থাকে। সাধ্যমত সবাইকে সাহায্য করতেও চেষ্টা করে।

যুদ্ধবাজেরা যখন ইহুদি বসতি এলাকায় প্রাচীর তুলে দিয়ে তাদের হত্যার জন্য ধীরে ধীরে ঘিরে ফেলতে থাকে; তখন এই পিয়ানোবাদক এই দেয়ালের অর্থ বুঝতে পারেনা। তার কাছে দেয়াল এক অজানা সংস্কৃতি।ক্ষমতাসীন সংখ্যাগুরুর ক্ষমতাহীন সংখ্যালঘুর প্রতি যে বর্বর আচরণের নিখুঁত ছবি এই চলচ্চিত্রে তুলে ধরা হয়েছে; সেখানে পৃথিবীর যে কোনো দেশে ঘটে যাওয়া ও চলমান গণহত্যার প্রতিচ্ছবি খুঁজে পাওয়া যায়।

নির্মাণ এবং চিত্রনাট্য

দ্য পিয়ানিস্ট রোমান পোলানস্কি পরিচালিত একাডেমি পুরস্কার বিজয়ী চলচ্চিত্র। পোল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি ও ব্রিটেনের যৌথ প্রযোজনায় নির্মীত এই ছবিটি ২০০২ সালে মুক্তি পেয়েছিল। ছবির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন অ্যাড্রিয়েন ব্রডি। পোল্যান্ডের ইহুদি পিয়ানো বাদক Wladyslaw Szpilman -এর একই নামের আত্মজীবনী গ্রন্থ থেকে ছবিটি করা হয়েছেরোমান পোলানস্কি পরিচালিত অস্কারজয়ী চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায় ২০০২ সালে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে নির্মিত এই চলচ্চিত্রে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেন অ্যাড্রিয়েন ব্রডি।

রেটিং: The Pianist -এই সিনেমাটি ২০০২ সালে অটোবায়োগ্রাফিক্যাল বই দ্য পিয়ানিস্ট থেকে গল্প সংগ্রহ করে, বায়োগ্রাফি/ড্রামা/হিস্টোরি জেনর নিয়ে নির্মাণ করেছেন পরিচালক Roman Polanski। সিনেমাটিতে একজন ইহুদি পিয়ানো বাদকের জীবনের কিছু অংশ তুলে ধরা হয়েছে। ১৫০মিনিটের এই সিনেমাটিতে প্রায় ছয়টি ভাষার ব্যাবহার করা হয়েছে। তবে বাংলা অথবা ইংরেজি সাব টাইটেল ব্যাবহার করে সিনেমাটি দেখা যাবে। সিনেমার প্রেক্ষাপট শুরু হয় ১৯৩৯ সালের সেপ্টেম্বরের কোন এক সময় থেকে। দেশ-বিদেশের অসংখ্য পুরস্কারের সাথে এই সিনেমাটি ৭৫তম একাডেমি অ্যাওয়ার্ড জিতেছে এবং অবস্থান করছে আইএমডিবির টপ ২৫০ মুভি লিস্টের ৪৪ নম্বর অবস্থানে ইন্টারনেট মুভি ডাটাবেজে ৬.৮/১০ রেটিং।

এ মুভিটি কেন দেখবেন: দ্য পিয়ানিস্ট ছবিতে প্রত্যাশার দিক কী একেবারেই নেই! সংখ্যাগুরু মানুষ মানেই কী নষ্ট মানুষ; সে প্রশ্নের উত্তরও রয়েছে। বিদ্বেষহীন সুন্দর-শিল্পময় সমতা সমাজ নির্মাণে যারা আত্মপ্রত্যয়ী; সেরকম কিছু জার্মান পিয়ানিস্টকে বেঁচে থাকার লড়াইয়ে সাধ্যমতো সাহায্য করে। এক জায়গায় আশ্রয় নিয়ে প্রতিবেশী এক বিদ্বেষী জার্মান নারীর হুমকি-ধামকি তাকে শুনতে হয়। এইসব হীনমন্য ঘৃণা পুষে বেঁচে থাকা মানসিকভাবে অসুস্থ উপমানব কিংবা উপমানবীর সংখ্যা আজকের সমাজে হয়তো আরো বেড়েছে পৃথিবীর সব জায়গায়। দ্য পিয়ানিস্ট ছবির প্রথম দৃশ্যে পিয়ানিস্টকে একটি রেডিও স্টেশানে পিয়ানো বাজাতে দেখা যায়। ছবির শেষ দৃশ্যেও সে রেডিও স্টেশানে পিয়ানো বাজাতে থাকে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাতসি গণহত্যায় ইহুদিরা মারা যায়; উচ্ছেদ হয়ে যায়; আবার ইঙ্গ-মার্কিন-ফ্রান্স যৌথ বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে নাতসিরা হেরে যায়; শুধু জীবনযুদ্ধে হারেনা পিয়ানো এবং পিয়ানিস্ট।

লাইফ ইজ বিউটিফুল

‘জন্ম মানে মৃত্যুর প্রতি অমোঘ যাত্রা, জন্মদিন মানে একটি সিঁড়ি অতিক্রম’ –রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ’র পঙ্কতিটুকু কমবেশি সবারই জানা। তেমনি ইতালিয়ান সিনেমা ‘লাইফ ইজ বিউটিফুল’ও কমবেশি সবার দেখা। জীবন সুন্দর, নির্মমও বটে। নির্মমতাকে পাশ কাটিয়ে সৌন্দর্য্যকে উপভোগ করতে হয়। সেই সুযোগটুকুও যদি না থাকে কল্পনায় একটা জগৎ সৃষ্টি করে হলেও ভালো থাকতে হয়। ১৯৩৯, ইতালির কোন এক রাস্তায় দুই আরোহী বন্ধুকে নিয়ে ছুটে চলছে একটি জিপ। গাড়ির চালক বন্ধুটি একজন কবি, আপন মনে আউড়ে যাচ্ছেন কবিতা। কবিতার শেষলাইনে গাড়ি ব্রেক ফেল হবার কথা বলতেই কাকতালীয়ভাবে সত্যিই ওদের গাড়িও ব্রেক ফেল করে! কখনো কখনো কাকতালের ফাঁকতালে জীবনের গল্পের নতুন অধ্যায় তৈরি হয়।

নির্মাণ এবং চিত্রনাট্য

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের উপর অনেক সিনেমা তৈরী হয়েছে তার মাঝে দেখা হয়েছে খুব কমই তথাপি যতগুলি সিনেমা আমি আজ পর্যন্ত দেখেছি তার মধ্যে সবচাইতে সেরা হচ্ছে “লাইফ ইজ বিউটিফুল” সিনেমাটি। ২০ শে ডিসেম্বর ১৯৯৭ সালে ইতালিতে মুক্তি পাওয়া এই সিনেমাটি দেখার পর যে কেউ বলতে বাধ্য হবেন যে এটা একটা মাস্টারপিস মুভি।মুভিটির অরিজিনাল টাইটেল হল “লা ভিটা ই বেলা”। বেস্ট এক্টর,বেস্ট মিউজিক,বেস্ট ফরেন ল্যাঙ্গুয়েজ ফিল্ম হিসাবে অস্কার পাওয়া এই মুভিটি তাহলে দেখেই ফেলুন।অস্কার ছাড়াও আরো অনেক পুরষ্কার কিন্তু পেয়েছে মুভিটি তার লিস্ট অনেক লম্বা।

রেটিং: Life Is Beautiful-১৯৯৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ইতালিয়ান কমেডি ড্রামা ফিল্ম।রবার্তো বেনিনি পরিচালিত ও অভিনিত চমৎকার ছবি।রবার্তো বেনিনি অভিনয় করেছেন কেন্দ্রিয় গুইডো অরিফিস চরিত্রে।এই ছবির প্রাণ গুইডো একটা বইয়ের স্টলের মালিক।ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে তাকে স্বপরিবারে নাজি কনসেন্ট্রেশন কেম্পে বন্দিত্ব বরণ করতে হয়।তার ছেলে যশুয়াকে তিনি আগলে রাখেন অত্যন্ত সুকৌশলে।ছেলের বন্দীজীবনকে লোভনীয় গেইমে পরিণত করেন কিভাবে ছবিটি দেখলেই তা উপলব্ধি করা সম্ভব হবে।Roberto Benigni স্মরণীয় পারফরমেন্সের জন্য ৭১ তম একাডেমি এওয়ার্ড লাভ করেন।অন্য দুটি কেটাগরিতেও এই ছবি একাডেমি এওয়ার্ড জয় করে। ছবিটির রেটিং ছিল ৮.৫/১০।

এ মুভিটি কেন দেখবেন: ১৯৩৯ সাল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ কালীন ঘটনার পটভূমিতে নির্মিত।গুইডো অরিফিস একজন আমুদে এবং ক্যারিশমেটিক তরুণ জিউস যিনি নগরীতে চাকুরী খুজছেন।তিনি এক স্কুল শিক্ষিকার ডোরার প্রেমে পড়লেন।প্রথম দর্শনেই প্রেম! তারপর দূর্দান্ত ক্যারিশমায় নায়িকার হৃদয় চুরি। জটিল প্রেম কাহিনি।ডোরা একজন ধনাঢ্য এরোগেন্ট সিভিল সার্ভেন্টের মাংগীতা ।একে বারে ঘোড়ায় চড়ে বরকে,নায়িকার মাকে নাজেহাল করে বিয়ের মঞ্চ থেকে গুইডো একপ্রকার ছিনিয়ে নেন প্রিয়তমা ডোরাকে। তারা বিয়ে করে এবং তাদের ঘরে জন্ম নেয় যশোয়া।

অক্টোবর স্কাই

ধরুন আপনার জন্ম এমন এক জায়গায় যেখানকার মানুষের প্রধান পেশা হচ্ছে কয়লা খনিতে কয়লা খনন করা এবং আপনার বাবাও কয়লা খনিতে কাজ করা একজন শ্রমিক। এর বাইরে কোন কিছু করা এখানে অসম্ভব বলে ধরা হয়। কিন্তু আপনি সবার থেকে আলাদা চিন্তা করেন। আপনি জীবনে বড় কিছু হতে চান! দুনিয়াতে নিজের সাফল্যের পদচিহ্ন আঁকতে চান সব বাধা আর উপহাস অতিক্রম করে। এমনই এক সত্য ঘটনা অবলম্বনে বানানো হয়েছে ‘October Sky’ সিনেমাটি। ১৯৫৭ সালের অক্টোবার মাসে পৃথিবীর প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ ‘স্পুটনিক’ লঞ্চ হওয়ার পর তা আকাশে বিচরণ করতে দেখে ‘কোলউড’ গ্রামের "‘হোমার হিকাম’ নামে এক স্বপ্নবিলাসী কিশোরের ইচ্ছা জাগে রকেট বানানো শেখার। যেন একদিন সেও এমন একটা কৃত্রিম উপগ্রহ তৈরি করতে পারে। সে তার স্বপ্নপূরণে কাজ শুরু করে তার বন্ধুবান্ধব এবং স্কুলের এক ম্যাডামের সহায়তায়। কিন্তু পদে পদে হিকাম তার গ্রামবাসী এবং তার পরিবারের ঠাট্টা-বিদ্রুপের শিকার হয়। তার স্বপ্নপূরণের পথে সবথেকে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায় তার বাবা। কেননা তার বাবার ধারণা এইসব ছেলেমানুষি। তার ইচ্ছা তার ছেলেও তার মত কয়লা খনিতে কাজ করুক বড় হয়ে। কিন্তু হিকামের ছিল অন্য ইচ্ছা। সে তার বন্ধুদের নিয়ে কাজ চালিয়ে যেতে থাকে তার স্বপ্নপূরণে।

নির্মাণ এবং চিত্রনাট্য

১৯৫৭ সালে ওয়েস্ট ভারজিনিয়া, কলউড নামক স্থানে নির্মিত এ ছবি। কয়লা উত্তোলন এই শহরের প্রধান জীবিকা। জন হিকমেন কয়লা উত্তোলন কারখানার পরিচালক। সে তার কাজকে ভালবাসে এবং আশা করে তার দুই ছেলে জিম এবং হোমার এক দিন তার সাথে কাজ করবে। কিন্তু জিম যখন কলেজ থেকে স্কলারশিপ পায় , তখন বাবার আশা পুরনের জন্য হোমার ই রয়ে জায়, তার মা আরো বেশি আশা করে। ১৯৯৯ সালের এই বায়োগ্রাফিক সিনেমাটি তৈরি করা হয় ‘হোমার এইচ হিকম্যান জুনিয়র’ নামের একজন নাসা ইঞ্জিনিয়ারের কৈশোরকালের কিছু ঘটনা নিয়ে।

রেটিং: অক্টোবরে, সোভিয়াত ইউনিয়ন তাদের স্পুটনিক মহাকাশে পাঠায় এবং এ খবর কলউডে বেপক সারা ফেলে। রাতের আকাশে তারা স্পুটনিক দেখার জন্য বাইরে ভির করে। আর এ থেকেই হোমার নিজের রকেট বানানোর সপ্ন দেখে। তার পরিবার এবং ক্লাস মেট রা মনে করে সে পাগল হয়ে গেছে। তার সহপাঠি কুয়েন্টিন তার সাথে জোগদান করে। আর দুই বন্ধু তাদের সাথে জোগদান করে। চার জন পূর্ণ উদ্যমে কাজ করে রকেট এর পেছনে । বিজ্ঞান শিক্ষিকা মিস রিলে তাদের সপ্ন বাস্তবায়নে সাহাজ্য করে । এভাবেই ঘটনা এগিয়ে চলে। নানা বাধা বিপওি পেরিয়ে একদিন সে রকট তৈরি করে এবং এ খবর সারা যুক্তরাষ্ট্রে ছরিয়ে পরে। ছবিটির রেটিং ছিল ৭.৮/১০।

এ মুভিটি কেন দেখবেন: কিছু মুভি আছে যার প্রশংসা করার কোন ভাষা থাকেনা। বলতে গিয়ে স্তব্ধ হয়ে যেতে হয়। ভাবতে হয় কিছুক্ষণ; উল্টা পাল্টা বলে ফেললাম নাতো। কষ্ট পাবে নাতো মুভিটা। এমনি একটা মুভি October Sky, ভালো লাগার কোমল স্পর্শ বুলিয়ে দিয়ে যায় মুভিটা তা সে যতবারই দেখা হোক না কেন। অসাধারণ একটা মুভি। উফ আমি যতই চেষ্টা করি না কেন মুভিটার প্রশংসা করেও শেষ করতে পারবনা আবার চুপ করেও থাকতে পারছিনা।

এসব ছাড়াও দ্য পারফিউম, রকি, ব্রেভহার্ট, পীসফুল ওয়ারিয়র, থ্রি ইডিয়টস, কাস্ট অ্যাওয়ে, আ বিউটিফুল মাইন্ড, টুয়েলভ ইয়ারস স্লেভ, দ্য আইরিশম্যান, সেভিং প্রাইভেট রায়ান প্রভৃতি সিনেমাও আপনাকে সামনে এগিয়ে যেতে উৎসাহিত করবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এইচকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত