ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

সমালোচক নই, আমি সবার জন্যই কাজ করি: তাহসান

  ইমরুল নূর

প্রকাশ : ৩০ জানুয়ারি ২০২১, ১২:৫৫

সমালোচক নই, আমি সবার জন্যই কাজ করি: তাহসান
তাহসান রহমান খান

একাধারে গায়ক,গীতিকার, সুরকার ও অভিনেতা তাহসান রহমান খান। এসব পরিচয়ের বাইরে চলতি বছর নতুন পরিচয়ে হাজির হতে যাচ্ছেন জনপ্রিয় এই তারকা। প্রথমবারের মত লেখক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছেন তিনি, প্রথমবারের মত লিখেছেন বই যেটার নাম ‘অনুভূতির অভিধান’। চলতি বছরে তৃতীয়বারের মত সেরা করদাতা হিসেবে ট্যাক্সকার্ড ও সম্মাননা পাচ্ছেন এই অভিনেতা। সবকিছু মিলিয়ে নতুন বছরটা বেশ ভালোই যাবে তার। সম্প্রতি বাংলাদেশ জার্নালের বিনোদন বিভাগে কথা বলেন এই তারকা সংগীতশিল্পী। পাঠকদের জন্য তার আলাপের চুম্বকাংশ তুলে ধরা হলো...

বাংলাদেশ জার্নাল: ২০১৯-২০ কর বছরে যোগ্য করদাতা হিসেবে অভিনেতা বিভাগে তৃতীয়বারের মতো ট্যাক্স কার্ড পাচ্ছেন। কর দেওয়াটা কতটুক উপভোগ করেন?

তাহসান: এই নিয়ে তৃতীয়বারের মতো সেরা আয়করদাতা হলাম। কর দেওয়া তো আমার নাগরিক দায়িত্ব। সবটাই সম্ভব হয় ভক্তদের জন্য। গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ড এন্ডোর্সমেন্টের সঙ্গে যুক্ত হয়েছি। গেল বছর করোনার জন্য তেমন কাজ হয়নি। আশা করছি এ বছর আরও কাজ হবে, আরও কর দিতে পারব। যত দিন ভক্তরা আছে, এন্ডোর্সমেন্ট আছে, আয় আছে, কর দেব।’

বাংলাদেশ জার্নাল: ভালোবাসা দিবসকে ঘিরে কাজ সম্পর্কে জানতে চাই...

তাহসান: ভালোবাসা দিবসকে ঘিরে ‘হাফ হানিমুন’ নামের একটি কাজ করলাম মাবরুর রশীদ বান্নাহর পরিচালনায়। এই কাজটির মাধ্যমে প্রায় দেড় বছর পর নুসরাত ইমরোজ তিশার সঙ্গে কাজ করলাম। খুবই সুন্দর একটি গল্পে ভালোবাসার ছক দেখানো হবে। নাটকটির ক্লাইমেক্স সিনটা আমার বেশ পছন্দের। সেটা জানতে হলে দর্শকদের কাজটি দেখতে হবে। এছাড়া রুবেল হাসানের পরিচালনায় একটি কাজ করলাম। এখানে আমার সঙ্গে রয়েছেন তাসনিয়া ফারিণ। সামনে আরও কিছু নাটকে দেখা যাবে, পাশাপাশি বিজ্ঞাপনেও।

বাংলাদেশ জার্নাল: বাংলাদেশ থেকে প্রথমবার কেউ জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) শুভেচ্ছাদূত হয়েছেন, সেই সুযোগটি পেয়েছেন আপনি। এ বিষয়ে জানতে চাই...

তাহসান: এরকম একটা আন্তর্জাতিক সংস্থার সাথে যুক্ত হতে পারাতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগছে। আর এটা যেমন অনেকটা সম্মানের তেমনি দায়িত্বেরও। সংস্থাটির সঙ্গে যুক্ত হওয়া মানেই আমার আরও কিছু দায়িত্ব বেড়ে গেলো। আগামী দুই বছর আমি তাদের যাত্রার সঙ্গী হয়ে থাকবো। আর এই সময়টাতে আমার কাজের এবং দায়িত্বের পূর্ণটাই দেবো। যেকোন নতুন দায়িত্বের জন্য প্রাথমিক অবস্থায় যে জানাশোনার ব্যাপার থাকে, আমি এখন সেই অবস্থানেই আছি। এখন সাড়া পৃথিবীর যে ক্রাইসিস, সেটা নিয়ে এখন জানার চেষ্টা করছি। কিছুদিনের মধ্যেই জনসংযোগের কাজ শুরু করবো। চেষ্টা করবো এই সংস্থাটির মাধ্যমে আমার দেশের সম্মানটুকুও অক্ষুণ্ন রাখতে।

বাংলাদেশ জার্নাল: এদেশে খুব কম তারকাই আছেন যারা একইসঙ্গে অভিনয় ও গানে শীর্ষ জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। সেই বিরলতম নাম তাহসান। এ দুই মাধ্যমে তাহসানের স্বাচ্ছন্দ্য কোথায়?

তাহসান: এভাবে আলাদা করে ভাবিনা কখনো। গান ও অভিনয় দুই জায়গাতেই আমি অনেক স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।

বাংলাদেশ জার্নাল: এখন সবাই ওটিটি প্ল্যাটফর্মের দিকে ঝুঁকছেন। টিভি পর্দা আর ওটিটি কনটেন্টের মধ্যে কী পার্থক্য চোখে পড়ে আপনার?

তাহসান: আমি এতটুকুই বলতে চাই যে, আমি কিন্তু সবার। আমি সবার জন্যই কাজ করি। ওরকম আলাদা করে বা এতকিছু নিয়ে আমি আসলে ভাবিনা। আমি শুধু আমার কাজটা করে যাই।

বাংলাদেশ জার্নাল: অনেকের অভিযোগ, এখন লক্ষ্য শুধু ভিউ। এতে নাকি নাটকের মান থাকছে না। এত কনটেন্ট তৈরি হচ্ছে, যা হারিয়ে যাচ্ছে দ্রুত। এই বিষয়টাকে আপনি কীভাবে দেখেন?

তাহসান: এটা সমালোচকদের কাজ। আমি সমালোচক না। আমি শুধু আমার কাজটা করি।

বাংলাদেশ জার্নাল: একটি নাটক/সিনেমা নির্বাচন বা চুক্তিবদ্ধের আগে কোন বিষয়টাকে প্রাধান্য দেন? তাহসান: গল্প, পরিচালক এবং সহশিল্পী।

বাংলাদেশ জার্নাল: আপনাকে অনেকদিন নতুন গানে পাওয়া যাচ্ছে না। এর কারণ কী?

তাহসান: নতুন গান হয় ঠিকই। আমি খুব ভাবগম্ভীর গান করি। গত বছর দুটো গান করেছি ‘অদৃশ্য পরজীবী’ যেটা করোনাভাইরাস নিয়ে আর একটা করেছি প্রতিবাদী গান; যারা আসলে গানের বোদ্ধা; এটা তাদের জন্য। অনেক বছর তো হিট গান করলাম, এখন আসলে পুরনোদের জন্য কিছু গান করছি। তবে আগের মত এত বেশি গান আসবে না, তবে নতুন গান আসবে।

বাংলাদেশ জার্নাল: বহু পুরনো গান এখনও মানুষের মুখে গুনগুন করে গাইতে শোনা যায়। বলা যায়, প্রায় দুই যুগ বা তারও আগে যেসব গান হয়েছিলো সেগুলো অনেকটা কালজয়ী হয়ে উঠলেও এখনকার সময়ের গানগুলো মানুষের মুখে মুখে ফিরছে না খুব একটা। কিছু একটা ভাইরাল হলে এর রেশ থাকে কয়েকদিন, এরপর আর পাওয়া যায় না। এর কারণ হিসেবে কী বলবেন আপনি?

তাহসান: এটার আসলে অনেক কারণ আছে। সেটা একটা বাক্যে বলা যাবে না। আসছে বইমেলায় আমার একটি বই আসছে যার নাম ‘অনুভূতির অভিধান’; সেখানে এই বিষয়টি নিয়ে একটা অধ্যায়ই থাকবে। সেখানে এর সম্পর্কে বিস্তারিত পাওয়া যাবে। এই সময়টাতে এসে গানে কী পরিবর্তন হয়েছে, কেন আসলে এখনকার গান স্থায়িত্ব পাচ্ছে না, স্থায়িত্ব পায় এমন গান কেন সৃষ্টি হচ্ছে না-এমন সব বিষয় নিয়েই লিখেছি আমি। এটা আসলে শুধু শিল্পীদের কারণেই না, ব্যবসার জন্য না, শ্রোতাদের জন্য না; কিন্তু পুরো চিত্রপটটাই থাকছে এখানে।

বাংলাদেশ জার্নাল: আপনাকে নতুন সিনেমায় কবে পাওয়া যাবে?

তাহসান: কথাবার্তা চলছে। সামনেই হয়তো দেখা যাবে, খুব শিগগিরই।

বাংলাদেশ জার্নাল/আইএন

  • সর্বশেষ
  • পঠিত