ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

হুমায়ূন আহমেদের স্মৃতিতে দুই গান

  বিনোদন প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৩ নভেম্বর ২০১৯, ১৪:০৬

হুমায়ূন আহমেদের স্মৃতিতে দুই গান

কিংবদন্তি কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ যেন পাঠক মুগ্ধ করার জাদুকর। নাটক ও চলচ্চিত্র নির্মাণে তিনি এক ভিন্ন ধারার প্রবর্তক। আজ প্রয়াত এই কথাসাহিত্যিক ও নন্দিত নির্মাতার ৭১তম জন্মদিন। তার জন্মদিনকে ঘিরে ভক্ত-অনুরাগীরা ভাসছেন স্মৃতির সাগরে।

প্রিয় লেখকের নানা উক্তি, ছবি পোস্ট করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন তারা। এ ছাড়া বেশকিছু টিভি চ্যানেলে প্রচার হবে নানারকম অনুষ্ঠান। জন্মদিন উপলক্ষে হুমায়ূন আহমেদের পরিবারের পক্ষ থেকেও নেয়া হয়েছে কিছু উদ্যোগ। লেখকের নিজের হাতে গড়া নুহাশ পল্লীতে তার সমাধিস্থলে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হবে।

এছাড়াও হুমায়ূন আহমেদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে গানওয়ালা প্রকাশ করেছে নতুন দুটি গল্প-গান 'যদি মন কাঁদে' ও 'গনি চাচার গল্প'। এর আগে ‘জোছনার ফুল’ শিরোনামে গল্প-গান প্রকাশের পর শ্রোতা-দর্শদের কাছে তা জনপ্রিয়তা পায়। তারই ধারবাহিকতায় এবার “যদি মন কাঁদে” ও “গনি চাচার গল্প”। গান ও গল্পে কণ্ঠ দিয়েছেন যথাক্রমে অনিন্দিতা রায় ও রাজিবুল ইসলাম।

কাজটি সর্ম্পকে সংগীতশিল্পী অনিন্দিতা রায় বলেন, হুমায়ূন স্যারের প্রায় সব গল্পই পড়া হয়েছে গল্প পড়ার অনুভূতি আর গান-গল্প করার অনুভূতি একেবারেই আলাদা। কাজটা করার পর যখন নিজে শুনেছি তখন মনে হয়েছে গল্পটা আরো গভির ছিলো। পড়ার চাইতে বেশি গভীরে ঢোকা যায় গল্প গান শোনার পর।

রাজিবুল ইসলাম বলেন, হুমায়ূন আহমেদকে বলা হয় গল্পের জাদুকর। জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে হওয়া অভিজ্ঞতা, জীবনদর্শন এবং জীবনোপলব্ধি যে পরবর্তিতে তার সৃষ্টিশীল কাজে রসদ যুগিয়েছে তা তার স্মৃতিচারণমূলক লেখাগুলো পড়লেই বোঝা যায়। শুধু তাই না, এ গল্পগুলো পড়লে প্রায়ই মিল খুঁজে পাওয়া যায় নিজেদের জীবনে ঘটে যাওয়া একই ধরনের অভিজ্ঞতার সাথে। ঠিক তখনই এক অদ্ভুত যোগাযোগ তৈরি হয় লেখকের সঙ্গে। যে লেখক ব্যাক্তিগত জীবনে পরিচিত না, তার সাথে কোথায় যেন এক আত্মার সম্পর্ক তৈরি হয়। পাঠকের সঙ্গে হুমায়ূন আহমদের লেখার সম্পর্কটা এমনই।

বাংলা সাহিত্য, নাটক, চলচ্চিত্র ও গান পালাবদলের কারিগর হুমায়ূন আহমেদ ১৯৭২ সালে প্রকাশিত প্রথম উপন্যাস ‘নন্দিত নরকে’ দিয়ে নিজের জানান দেন। এরপর তিন শতাধিক গ্রন্থ লিখেছেন। আগুনের পরশমনি ছবির দৃশ্যে আসাদুজ্জামান নূর ও শীলা টেলিভিশন নাটকেও চমক দেখিয়েছেন তিনি। বদলে দেন নির্মাণের বাঁক।

১৯৯০-এর গোড়ার দিকে চলচ্চিত্র নির্মাণ শুরু করেন। তার পরিচালনায় প্রথম চলচ্চিত্র ‘আগুনের পরশমণি’ মুক্তি পায় ১৯৯৪ সালে। ২০০০ সালে ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ ও ২০০১ সালে ‘দুই দুয়ারী’ দর্শকের কাছে দারুণ গ্রহণযোগ্যতা পায়। ২০০৩-এ নির্মাণ করেন ‘চন্দ্রকথা’।

বাংলাদেশ জার্নাল/ আইএন

  • সর্বশেষ
  • পঠিত