ঢাকা, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

বাগদাদের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞার হুমকি ট্রাম্পের

বাগদাদের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞার হুমকি ট্রাম্পের

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বাগদাদের ওপর নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়েছেন। ইরাকি পার্লামেন্টে বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে প্রস্তাব পাস হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই এ হুমকি দিলেন ট্রাম্প। প্রস্তাবটি পাস করার সময় ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মাহাদি মার্কিন সেনাদের ইরাক ছাড়ার আহ্বান জানান।

শুক্রবার বাগদাদে মার্কিন বিমান হামলায় ইরানি কমান্ডার সোলেইমানি নিহত হওয়ার মাত্র একদিন পরেই ইরাকি পার্লামেন্টে বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের প্রস্তাবটি পাস হয়। রোববার পার্লামেন্টর এক বিশেষ অধিবেশনে ওই প্রস্তাবটি পাস হয় বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা।

প্রস্তাবে বলা হয়,‘ইরাকের সামরিক অভিযানের অবসান এবং বিজয় অর্জনের কারণে সরকার আন্তর্জাতিক জোটের সেনাদের প্রতি ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তার অনুরোধ প্রত্যাহার করে নিচ্ছে।’

ওই প্রস্তাবে বিদেশি সেনারা যাতে ইরাকের আকাশ, স্থল এবং জলসীমা ব্যবহার করতে না পারে সে ব্যাপারে একটি নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বানও জানানো হয়েছে।

রোববার ওই প্রস্তাবের ওপর পার্লামেন্টে বিতর্ক শুরুর আগে ইরাকের অস্থায়ী প্রধানমন্ত্রী আদেল আব্দুল মাহদি বলেন, যত দ্রুত সম্ভব মার্কিন সৈন্যদের ইরাক ছেড়ে চলে যাওয়া উচিত।

প্রধানমন্ত্রী মাহদি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশের সাথে সুস্থ এবং সঠিক সম্পর্কের খাতিরে’ইরাকে মার্কিন সামরিক উপস্থিতির সমাপ্তি টানা প্রয়োজন।’

প্রস্তাবটি পাস হওয়ার মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরেই ইরাকের বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। রোববার সন্ধ্যায় ফ্লোরিডায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি হুঙ্কার দিয়ে বলেন, ‘তারা (ইরাক সরকার) যদি আমেরিকান সেনাদের ওই দেশ ছাড়তে বাধ্য করে তাহলে ইরাকের ওপর ‘বড় রকমের নিষেধাজ্ঞা’আরোপ করা হবে।

এর আগে এক টুইট বার্তায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইরানের ৫২টি সাংস্কৃতিক স্থাপনায় আঘাত হানার হুমকি দেন। তিনি বলেন, এমন ৫২টি স্থাপনা চিহ্নিত করা হয়েছে যা অত্যন্ত উচ্চপর্যায়ের এবং ইরানের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। তেহরান যদি মার্কিন জেনারেলদের টার্গেট করে হামলা চালায় তাহলে ওইসব স্থাপনা এবং ইরান নিজেও অত্যন্ত দ্রুত ও কঠিন আঘাতের শিকার হবে। যুক্তরাষ্ট্র আর কোনো হুমকি চায় না।

তিনি বলেন, ‘তাদের আমাদের মানুষ হত্যা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তাদেরকে আমাদের লোকদের উপর নির্যাতন চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তাদের রাস্তার পাশে বোমা মেরে আমাদের লোকজনকে উড়িয়ে দেওয়ারও অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তাহলে আমরা কেন আমাদের তাদের সাংস্কৃতিক স্থাপনাগুলোতে হামলা করবো না? এভাবে তো চলতে পারে না।’

মার্কিন সেনারা ইরাক ছাড়ো, পার্লামেন্টে প্রস্তাব পাস

সূত্র: দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত