ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

পুত্রসন্তানের বাবা হলেন জাপানের সেই পরিবেশমন্ত্রী

পুত্রসন্তানের বাবা হলেন জাপানের সেই পরিবেশমন্ত্রী

অবশেষে পুত্রসন্তানের বাবা হলেন জাপানের আলোচিত পরিবেশমন্ত্রী শিনজিরো কোইজুমি। এটি কোইজুমি-তাকিগাওয়া দম্পতির প্রথম সন্তান। শুক্রবার পরিবেশ মন্ত্রীর ছেলে হওয়ার খবর দিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম রয়টার্স।

এর আগে সন্তানের জন্ম উপলক্ষে মোট দু সপ্তাহের ছুটি নেয়ার ঘোষণা দিয়ে দেশ জুড়ে সমালোচিত হয়েছিলেন ওই মন্ত্রী। কেননা জাপানে পুরুষদের জন্য এ ধরনের ছুটি নেয়ার চল নেই। যদিও সন্তান জন্ম উপলক্ষে সে দেশের নারী-পুরুষ উভয়েই এক বছর ছুটি নিতে পারেন।

পিতৃত্বকালীন ছুটিতে যাচ্ছেন পরিবেশমন্ত্রী

শুক্রবার মা হয়েছেন কোইজুমির স্ত্রী ফরাসি বংশোদ্ভূত জাপানি সংবাদ উপস্থাপক ক্রিস্টেল তাকিগাওয়া (৪২)। সকালে হাসপাতাল থেকে ফেরার পর নিজের মুখেই সাংবাদিকদের সুখবরটি দেন মন্ত্রী কোইজুমি। উচ্ছ্বসিত কোইজুমি বলে উঠেন, ‘ওহ, আমার ছেলে হয়েছে।’

এসময় আবেগাপ্লুত কোইজুমি আরো বলেন,‘নিরাপদে একজন স্বাস্থ্যকর ছেলের বাবা হতে পেরে আমি আসলেই খুব আনন্দিত। এই আনন্দ মুখে প্রকাশ করার নয়। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূ্র্ণ বিষয় হচ্ছে, মা ও ছেলে দুজনেই সুস্থ আছে। আহ, কী শান্তি!’

হাসপাতালে সন্তান ভূমিষ্ট হওয়ার সময়ও সারাটা সময় স্ত্রীর পাশে থেকে তাকে সাহস জুগিয়ে গেছেন কোইজুমি।

এর আগে গত বুধবার ছুটিতে যাওয়া নিয়ে ৩৮ বছর বয়সী কোইজুমি সাংবাদিকদের বলেন, ‘বুধবার এই ছুটি সম্পর্কে সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাচ্চা হওয়ার পরের তিন মাসে আমি মোট দুই সপ্তাহের ছুটি নিতে চাই। কেননা এ সময় মায়ের ওপর সন্তান লালনপালনে অনেক বেশি চাপ পড়ে। ছুটি নেয়ার কারণে আমি আমার প্রাতিষ্ঠানিক সব কাজকর্ম সেরে ফেলছি।’ তবে ছুটিকালীন সময়েও পার্লামেন্ট অধিবেশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ পাবলিক কর্মকাণ্ডগুলোতে অংশ নেবেন বলে জানিয়েছেন পরিবেশমন্ত্রী।

আর তার পিতৃত্বকালীন ছুটি নিয়ে নানা সমালোচনার জবাবে তিনি বলেন, ‘পুরানো ধ্যান ধারণা ও কূপমণ্ডুকতার কারণে জাপানের সমাজে নানা কুসংস্কার ছড়িয়ে আছে। কিন্তু আমি এসবের ধার ধারি না।’

প্রসঙ্গত, জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জুনিচিরো কোইজুমির দ্বিতীয় সন্তান শিনজিরো কোইজুমি। কোইজুমির বাবা যখন তার স্ত্রীকে তালাক দেন তখন তার মা গর্ভবতী ছিলেন। বিবাহ বিচ্ছেদের পর তাদের তৃতীয় ছেলের জন্ম দেন তার স্ত্রী। যদিও এরপর আর বিয়ে করেননি জুনিচিরো কোইজুমি। কেননা তিনি মনে করতেন, প্রত্যেক মানুষের জীবনে একবারই বিয়ে করা উচিত।

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন জুনিচিরো কোইজুমি। তাই তার ছেলে শিনজিরো কোইজুমিকে জাপানের রাজনীতিতে উদীয়মান তারকা হিসেবেই দেখা হচ্ছে।

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত