ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১০ মিনিট আগে
শিরোনাম

অবশেষে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়লো যুক্তরাজ্য

অবশেষে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়লো যুক্তরাজ্য

নানা ঘটনার পর অবশেষে সফল হলো ব্রেক্সিট। দীর্ঘ ৪৭ বছর পর ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ছেড়ে বেরিয়ে আসলো যুক্তরাজ্য। স্থানীয় সময় শুক্রবার রাত ১১টায় ঐতিহাসিক ঘটনাটি অনুষ্ঠিত হয়। এসময় একদিকে যেমন উদযাপন অনুষ্ঠিত হয় তেমনি বিক্ষোভও করেছে ব্রেক্সিট বিরোধীরা।

বিবিসি জানায়, ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে আসার এক ঘণ্টা আগে সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত এক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, ‘অনেকের জন্য এই মুহূর্তটি বিস্ময়কর আশা জাগানিয়া মূহুর্ত, এমন একটি মুহূর্ত যেটি তারা কখনো আসবে বলে ভাবেনি। আর অনেকেই রয়েছে যারা এক ধরণের ক্ষতি এবং শঙ্কা অনুভব করছেন। তৃতীয় একটি পক্ষও রয়েছে-আর তাদের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি- যারা এটা ভেবে উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন যে পুরো এই রাজনৈতিক গোলযোগ কখনো শেষ হবে না।’

ওই বার্তায় তিনি দেশকে ঐক্যবদ্ধভাবে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, ‘আমরা এই সব অনুভূতিই বুঝি এবং সরকার হিসেবে আমাদের দায়িত্বটাও বুঝি। আমার দায়িত্ব হচ্ছে পুরো দেশকে ঐক্যবদ্ধ করে সবাইকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।’

তিনি বলেন, ‘ইইউ তার সব শক্তিমত্তা এবং প্রশংসনীয় গুণাবলী দিয়ে গত ৫০ বছরে এমনভাবে বিকশিত হয়েছে যা আর এই দেশের জন্য উপযুক্ত নয়।’

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আজ রাতে বলার মতো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হচ্ছে এটাই যে, এটা কোন শেষ নয় বরং শুরু মাত্র। এটি প্রকৃত জাতীয় নবায়ন এবং পরিবর্তনের একটি মুহূর্ত।’

আনুষ্ঠানিকভাবে ইউরোপ ত্যাগের ক্ষণ গণনা চলে এবং পুরো দেশ জুড়ে পাব এবং সামাজিক ক্লাবগুলোতে ব্রেক্সিট পার্টি অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্রেক্সিট উদযাপন করতে পার্লামেন্ট স্কয়ারে জমা হয় শত শত মানুষ। সেসময় তারা দেশাত্মবোধক গান গায় এবং নাইজেল ফারাজের মতো শীর্ষ ব্রেক্সিটপন্থীদের বক্তৃতায় সমর্থন দিয়ে আনন্দ করে।

তবে ব্রিটেনের সবাই এই আনন্দ উল্লাসে শরিক হয়েছিল তা বলা যাবে না। ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের বিরুদ্ধে হোয়াইটহলে বিক্ষোভ করেন ইউরোপীয় ইউনিয়নপন্থীরা। এছাড়া স্কটল্যান্ডে ব্রেক্সিট বিরোধী র‍্যালি হয়। সেখানে মোমবাতি জ্বালিয়ে শোক প্রকাশ করেছেন ব্রেক্সিটের বিরোধীরা।

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত