ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

নয়া রেকর্ড গড়লেন রুশ নভোচারী ক্রিস্টিনা

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ২০:০০

নয়া রেকর্ড গড়লেন রুশ নভোচারী ক্রিস্টিনা

পৃথিবীতে মাত্র এক মাস, বাকি বছরটা শূন্যে ভেসে থেকে নয়া রেকর্ড গড়লেন রুশ নভোচারী ক্রিস্টিনা। রাশিয়ার পাঠানো সয়ুজ ক্যাপসুলে কাজাখস্তানের মাটি ছুঁয়ে আবেগে কেঁদে ফেললেন তিনি। বললেন, ‘আমি বিস্মিত, আনন্দিত।’

আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে কেউ কাটাচ্ছেন ২৮৯ দিন, তো কেউ ৩২৮ দিন। গত বছর সবচেয়ে বেশি সময় মহাশূন্যে ভেসে থাকার রেকর্ড ছিল মার্কিন নভোচর পেগি হুইটসনের। তিনি কাটিয়েছিলেন ২৮৯ দিন। তার চেয়ে অনেক বেশি দিন কাটিয়ে নয়া ইতিহাস গড়লেন ক্রিস্টিনা কোচ। বছরের সিংহভাগ সময়ে ক্রিস্টিনা কাটিয়ে ফেললেন আইএসএসে ৩২৮ দিন।

হিসেব বলছে, ক্রিস্টিনা কোচ মহাশূন্যে যে সময় ধরে ভেসে ছিলেন, তার মধ্যে ৫২৪৮ বার পৃথিবীর নিজের প্রদক্ষিণ এবং পৃথিবী থেকে চাঁদে ২৯১ বার যাতায়াত হয়ে যায়। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে থাকার অভিজ্ঞতা নিয়ে ক্রিস্টিনা বলছেন, আমি ছোটবেলা থেকে যেভাবে আকাশ দেখে এসেছি, তার ভিত্তিতে অনেক স্বপ্ন তৈরি হয়েছিল। সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে এখান। আমার পূর্বসূরীদের দেখানো পথেই হেঁটেছি আমি।

শুধু মহাকাশচারী হিসেবে অভিজ্ঞতা অর্জনই নয়, ISS-এ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজও তাঁকে করতে হয়েছে। খারাপ হয়ে যাওয়া পাওয়ার কন্ট্রোল ইউনিট সারাই করেছেন। তার জন্য অন্তত ৭ ঘণ্টা মহাকাশ স্টেশনের বাইরে কাটাতে হয়েছে। সেসময় অবশ্য সঙ্গী ছিলেন জেসিকা মেয়ার। তাঁরাই প্রথম জুটি, যাঁরা কোনও পুরুষ সঙ্গী ছাড়াই সময় কাটিয়েছেন আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে। একেবারে আত্মনির্ভরশীল হয়ে। সেই অভিজ্ঞতা সম্পর্কে ক্রিস্টিনা বলেন, আমরা যখন শুনলাম যে স্টেশনের বাইরে গিয়ে কাজ করতে হবে, তখন ভয় ভয় করছিল। আমি আর জেসিকা হ্যান্ডরেল ধরে বেরতে গিয়ে শুধু পরস্পরের দিকে তাকিয়ে ছিলাম। সেটা আমাদের জীবনে এক বিশেষ সময় ছিল। সেদিনের অভিজ্ঞতা কখনও ভুলব না।

তবে ক্রিস্টিনা কোচ কিন্তু মার্কিন নভোচর স্কট কেলির রেকর্ড ভাঙতে পারেননি। ২০১৫-১৬ সালে কেলি মহাকাশে কাটিয়েছিলেন ৩৪০ দিন। অর্থাৎ পৃথিবীতে ছিলেন মাত্র ১৫ দিন। ক্রিস্টিনা তার চেয়ে মাত্র ১২ দিন পিছিয়ে থেকেও আরেকটি রেকর্ড গড়েছেন। সয়ুজে চড়ে কাজাখস্তানের ভূমি স্পর্শ করে তিনি বলছেন, ”এই মুহূর্তে আমিই সবচেয়ে সুখী মানুষ। সব স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকেও অনুপ্রাণিতে করতে চাই।

বাংলাদেশ জার্নাল/ এমএম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত