ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩০ মিনিট আগে
শিরোনাম

আপ বিধায়ককে লক্ষ্য করে গুলি, কর্মী নিহত

আপ বিধায়ককে লক্ষ্য করে গুলি, কর্মী নিহত
হামলায় নিহত আপ কর্মী অশোক মান (চিহ্নিত)

বিধানসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পরই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে দিল্লি। মঙ্গলবার রাতে আম আদমি পার্টির (আপ) বিধায়ক সদস্যকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। অল্পের জন্য ওই বিধায়ক রক্ষা পেয়েছেন। তবে গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন আপ দলের এক কর্মী। গুরুতর আহত হয়েছেন আরো একজন। তাকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

তবে পুলিশ বলছে, এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। ব্যক্তিগত শত্রতার জেরেই বিধায়ক সদস্যের গাড়ি লক্ষ করে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।

ভারতের সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা রাতে মেহরৌলির আপ বিধায়ক নরেশ যাদব মন্দিরে পুজো দিয়ে ফিরছিলেন। অরুণা আসফ আলি মার্গের কাছে আসতেই আচমকাই অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকধারীরা তার কনভয় লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে। লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে বিধায়কের গা ঘেঁষে গুলি বেরিয়ে যায়। তবে গুলিবিদ্ধ হয়ে সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়েন দু’জন আপ কর্মী। তাদের মধ্যে অশোক মান (‌৪৫)‌ নামে এক আপ কর্মী ঘটনাস্থলেই মারা যান। হরেন্দ্র নামে গুলিবিদ্ধ আরেক আপ কর্মীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।

এই ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। দক্ষিণ-পূর্ব দিল্লি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার ইঙ্গিত প্রতাপ সিংহ জানিয়েছেন, হামলাকারী একজনই ছিল। আটক হওয়া ওই ব্যক্তিকে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে যে, নরেশ যাদব নয়, হামলার লক্ষ্য ছিলেন অশোক মান। পুলিশের দাবি, ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরেই এই হামলা। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই।

এর আগে হামলা সম্পর্কে বিধায়ক নরেশ যাদব বলেছেন, ‘‌গুলিবিদ্ধ হয়ে আপ কর্মীর মৃত্যু সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক। প্রায় চার রাউন্ড গুলি চালানো হয়েছে। কে বা কারা গুলি চালাল সে বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। গুলি চালানোর কারণও বুঝতে পারছিনা। আমি নিশ্চিত পুলিশ খতিয়ে দেখলে পরিষ্কার হয়ে যাবে গোটা ঘটনা। তদন্তকারীরা রাস্তার ধারের সিসিটিভি ফুটেজের উপর ভরসা রাখলে নিশ্চয়ই দোষীদের চিহ্নিত করতে পারবে।’‌

বিধায়ককে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন আপের রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিং। রাজধানীর আইনশৃঙ্খলা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দোষীদের গ্রেপ্তারির দাবি জানিয়েছেন রাজ্যসভার ওই সাংসদ।

প্রসঙ্গত, দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে বিরাট জয় পেয়েছে কেজরিওয়ালের দল আম আদমি পার্টি। দিল্লির ৭০ আসনের মধ্যে তারা পেয়েছে মোট ৬২টি আসন। অন্যদিকে মোদির দল বিজেপি পেয়েছে মাত্র ১২ আসন। জয়ের পর আগামী রোববার তৃতীয় দফা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিতে চলেছেন কেজরিওয়াল।

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত