ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

যেভাবে ১০ কোটি টাকার মালিক দিনমজুর রাজন

যেভাবে ১০ কোটি টাকার মালিক দিনমজুর রাজন
প্রতীকী ছবি

ভারতে কেরালা রাজ্যের একজন দরিদ্র দিনমজুর পোরুন্নান রাজন। গলা পর্যন্ত ঋণে ডুবে ছিলেন। এই অবস্থা থেকে বাঁচতে একসময় আত্মহত্যা করারও চিন্তা করেছিলেন এই লোক। কিন্তু রাতারাতি বদলে গেছে তার ভাগ্য। এখন তিনি কোটি কোটি টাকার মালিক। সূত্র: এনডিটিভি

বেশ কিছুদিন আগের কথা। আর্থিক কারণে প্রচণ্ড কষ্টে আছেন রাজন। ইতিমধ্যে ব্যাংক থেকে তিনবার লোন নিয়েছেন। তাতেও অবস্থার কোনও রকমফের হয়নি। আবারও তার লোন নেয়ার জন্য দেন দরবার করছেন। এবার লোন নিবেন বাড়ির মেরামত আর মেয়ের বিয়ের জন্য। তো সেদিনও লোন নেয়ার চেষ্টা হিসাবে ব্যাংকে যাচ্ছিলেন প্রৌঢ় রাজন। এসময় কী মনে করে পথে কেটে ফেললেন ক্রিসমাস-নিউ ইয়ার বাম্পার লটারি টিকেট।

সে সময় তিনি ঘুণাক্ষরেও জানতেন না, তার ‘হঠাৎ নেওয়া এই সিদ্ধান্ত’ জীবন বদলে দেবে। গত সোমবার এই লটারির টিকেট ড্র হয়েছে। সেখানে প্রথম পুরস্কার হিসেবে ১২ কোটি টাকা জিতেছেন ‘অভাগা’ রাজন। এই ফলাফলে দারুণ খুশি ওই প্রৌঢ়। তার একটাই কথা, ‘এবার আমি সব লোন শোধ করে দেবো। আর ছোট মেয়েকে ভালোভাবে পড়াতে পারবো।’

বাকি টাকা থেকে মেয়ের বিয়ে দিবেন এবং বাড়ি মেরামত করবেন তিনি। এরপর সব টাকা ব্যাঙ্কে জমা রাখবেন। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে এমনই জানিয়েছেন রাতরাতি কোটিপতি বনে যাওয়া রাজন।

দুই সন্তান-সহ চার জনের পরিবার পোরুন্নানের। ভাঙা বাড়ি সংস্কার করতে এযাবৎকাল তিনি বহুবার ব্যাংকগুলোতে দেন দরবার করেছেন। পাশাপাশি বিবাহযোগ্য হয়ে উঠছে মেয়ে, এই ভাবনাও মনে জাঁকিয়ে বসেছিল রাজনের। তাই আরও টাকা লোন পেতে ব্যাঙ্কের দরবার করা শুরু করেন তিনি। এমনই এক শীতের দুপুরে হঠাৎ করে ৩০০ টাকার সেই বাম্পার টিকিট কিনে ফেলেছিলেন রাজন। তার আয় অনুপাতে টিকিটমূল্য এতটাই বেশি ছিল যে, বাড়িতে কাউকে জানাননি সেই সিদ্ধান্ত। তবে এখন ‘লাকি’ স্বামী ও বাবার সান্নিধ্য পেয়ে খুশি তার স্ত্রী ও সন্তানরাও।

জানা গেছে, লটারিতে জেতা ১০ কোটির মধ্যে ৭.২ কোটি টাকা হাতে পাবেন ওই দিনমজুর। বাকি টাকা কর, জিএসটি আর ১০% হারে কমিশন কাটবে লটারি এজেন্সি।

এখানেই শেষ নয়, আরও টাকা পাচ্ছেন রাজন। কেননা এই বাম্পারের লটারির দ্বিতীয় পুরস্কার ৫ কোটি টাকা ১০ জন বিজেতার মধ্যে ভাগ হবে। আর তৃতীয় পুরস্কার ১ কোটি, যা ১০ লক্ষ টাকা হিসেবে ১০ জনের মধ্যে ভাগ হবে।

পরিবারের সঙ্গে সুখী রাজন

এমএ/

এম/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত