ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

করোনা মহামারির মধ্যেই বন্যায় বিধ্বস্ত ইরান

করোনা মহামারির মধ্যেই বন্যায় বিধ্বস্ত ইরান

ভয়াবহ করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণ ইরান সরকার যখন হিমসিম খাচ্ছে তখন দেশটিতে আঘাত হেনেছে বন্যা। গত কয়েকদিন ধরে প্রবল বর্ষণের কারণে দেশের বিভিন্ন এলাকায় আকষ্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম পার্স টুডে।

দেশের প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট ইসহাক জাহাঙ্গিরি বন্যা মোকাবেলায় দুর্গত প্রদেশগুলোর উদ্ধার ও ত্রাণ সংস্থাগুলোকে পূর্ণ প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।

ইরানের যেসব প্রদেশে বন্যা দেখা দিয়েছে সেগুলো হচ্ছে-পূর্ব আজারবাইজান, বুশেহর, চাহারমাহাল-বাখতিয়ারি, দক্ষিণ খোরাসান, খোরাসান রাজাভি, উত্তর খোরাসান, খুজিস্তান, সেমনান, সিস্তান-বালুচিস্তান, ফার্স, কাজভিন, কোম, কেরমান, কুহকিলুয়েহ-বুয়েরআহমান, গুলিস্তান, গিলান, মাজান্দারান, মধ্যপ্রদেশ ও হরমুজগান।

ভাইস প্রেসিডেন্ট ইসহাক জাহাঙ্গিরি দুর্গত কয়েকটি প্রদেশের গভর্নরকে টেলিফোন করে প্রয়োজনীয় উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা চালানোর পাশাপাশি দুর্গতদের সেবায় সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোকে সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। এ ছাড়া, পানিতে তলিয়ে যাওয়া এলাকাগুলোর ফসল ও অবকাঠামোর ক্ষতি সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ারও নির্দেশ দেন ইরানের ভাইস প্রেসিডেন্ট।

এদিকে, ইরানের রেডক্রিসেট সোসাইসির ত্রাণ ও উদ্ধার কমিটির প্রধান কর্মকর্তা মুর্তজা সালিমি জানিয়েছেন, তার কর্মীরা বন্যা দুর্গত ১৯টি প্রদেশে ব্যাপক উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেছে।

সারাদেশের ৬১টি শহর ও গ্রাম এবং ৯টি পাহাড়ি এলাকায় ১০০টি উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মধ্যে জরুরি খাদ্য, ওষুধ ও ত্রাণ বিতরণ চলছে বলেও জানিয়েছেন রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির এই কর্মকর্তা।

এদিকে, ইরানের সড়ক ও নগর উন্নয়নমন্ত্রী মোহাম্মাদ ইসলামি বলেছেন, বন্যা দুর্গত এলাকাগুলোর রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বন্যার পানিতে আটকে পড়া মানুষদের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাগুলো মেরামতের কাজ দ্রুতগতিতে চলছে বলেও জানান তিনি।

ইরানে যখন ব্যাপকভাবে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে এবং আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসা ও নতুন করে ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ চলছে তখন হঠাৎ করেই দেশটিতে দেখা দিল বন্যা। এবার বন্যার কারণে সেখানে করোনা প্রতিরোধ কার্ক্রম ব্যাহত হতে পরে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত