ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

লকডাউন তোলার ক্ষেত্রে ডব্লিউএইচও’র ৬ পরামর্শ

লকডাউন তোলার ক্ষেত্রে ডব্লিউএইচও’র ৬ পরামর্শ

করোনাভাইরাসের মহামারির সংক্রমণ ঠেকাতে গত মার্চ থেকেই লকডাউন ও জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। ইতিমধ্যে কিছু দেশ লকডাউন শিথিল করেছে এবং এটি তুলে নেয়ারও প্রস্তুতি নিচ্ছে বহু দেশ। এ অবস্থায় লকডাউন তুলে নেওয়ার ক্ষেত্রে সবক’টি দেশের উদ্দেশে ছয়টি বিষয় মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সংস্থাটি বলছে,লকডাউন তুলে নেয়ার আগে বিভিন্ন দেশকে এসব শর্ত পূরণ করতে হবে, নচেৎ নয়।

সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় গত বুধবার অনলাইন ব্রিফিংয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস এই ছয় পরামর্শ দেন।

সেগুলো হচ্ছে:

১. নজরদারি জোরদার করতে হবে এবং করোনা রোগীর সংখ্যা কমতে হবে। একই সঙ্গে নিয়ন্ত্রণে থাকতে হবে সংক্রমণের সংখ্যাও।

২. দেশগুলোর স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় করোনা রোগীদের চিহ্নিতকরণ, কনসোলেট, পরীক্ষা ও চিকিৎসা করা এবং রোগীর সংস্পর্শে আসা সব ব্যক্তিকে শনাক্ত করার সক্ষমতা থাকতে হবে।

৩. স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র ও নার্সিং হোমের মতো বিশেষ ব্যবস্থাগুলোতে সংক্রমণ ছড়ানোর ঝুঁকি কমিয়ে আসতে হবে।

৪. কর্মস্থল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং অন্য যেসব জায়গায় অধিক সংখ্যক মানুষের আনাগোনা বা গণ জমায়েতের সম্ভবনা রয়েছে, সেসব স্থানে প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ নিশ্চিত করতে হবে।

৫. বিদেশফেরত ব্যক্তিদের মাধ্যমে করোনা ছড়ানোর ঝুঁকি মোকাবিলার যথাযথ প্রস্তুতি থাকতে হবে।

৬. করোনা উত্তর পৃথিবীতে নতুন সামাজিক পরিস্থিতির সঙ্গে সমাজের সমস্ত মানুষকে খাপ খাইয়ে নেয়ার বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হবে।

এ বিষয়ে বিশ্ব ডব্লিউএইচও প্রধানের অভিমত হচ্ছে, যদি দেশগুলো অন্তর্বর্তী সময়টায় খুব যত্নবান না হয় এবং ধাপে ধাপে বিধিনিষেধ শিথিল না করে, তাহলে মহামারি ফের ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রেয়েছে। আর তেমনটি হলে ফের লকডাউনের পথে হাঁটতে হতে পারে করোনায় আক্রান্ত দেশটিকে।

এসময় আধানোম আরও বলেন, পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলো কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেও ইউরোপের পূর্বাঞ্চল, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, ভূমধ্যসাগরের পূর্বাঞ্চল ও যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিদিনই করোনা সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ছে। এ অবস্থায় সব দেশ একসঙ্গে লকডাউন শিথিল করা যুক্তিযুক্ত হবে না। এক্ষেত্রে প্রতিটা দেশ ও প্রতিটি অঞ্চলের মহামারি মোকাবিলায় নিজস্ব পদ্ধতি থাকা দরকার বলে মনে করেন ডব্লিউএইচও প্রধান

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত