ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

এবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিদর্শককে অপসারণ করলেন ট্রাম্প

এবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিদর্শককে অপসারণ করলেন ট্রাম্প
স্টিভ লিনিক

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার মধ্য রাতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিদর্শক (নজরদারি প্রধান) স্টিভ লিনিককে তার পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছেন। এটি মার্কিন সরকারের নজরদারি ব্যক্তিদের অপসারণের সর্বসাম্প্রতিক ঘটনা।

গত ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন সিনেট ট্রাম্পের অভিশংসন প্রস্তাব নাকচ করে দেয়ার পর থেকে এ নিয়ে মোট তিনজনকে পদচ্যুত করলেন ট্রাম্প। এছাড়া তিনি অন্যান্যদের অব্যাহতভাবে সমালোচনা করে চলেছেন।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শুক্রবার রাতে প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলসিকে একটি চিঠিতে লেখেন যে, লিনিকের প্রতি তার এখন আর পূর্ণ আস্থা নেই।

এ নিয়ে পেলসি এক বিবৃতিতে বলেন, শুক্রবার মধ্যরাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিদর্শককে অপসারণ করাটা আসলে দেশপ্রেমিক সরকারি কর্মচারীদের প্রতি প্রেসিডেন্টের বিপজ্জনক প্রতিশোধ নেয়ার প্রবণতাকে বাড়িয়ে তুলেছে।

এই সব দেশপ্রেমিক সরকারি কর্মকর্তারা আমেরিকান জনগণের পক্ষেই কাজ করেন বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করেন পেলসি।

তিনি পদচ্যুত ওই মার্কিন কর্মকর্তার প্রশংসা করে আরো বলেন, মহাপরিদর্শক লিনিক আইন এবং তার শপথ অনুযায়ী আমাদের সংবিধান ও জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার জন্য সম্মানজনক ভাবে কাজ করে যাচ্ছিলেন। আর এজন্যই তাকে শাস্তি পেতে হলো।

ট্রাম্পের এই কর্মকাণ্ডের নিন্দা করেছেন প্রতিনিধি পরিষদের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান এলিয়ট এঙ্গেল-ও।

এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিদর্শকের দপ্তর পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর ওপর তদন্ত শুরু করেছিল। এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ তদন্ত চলাকালে তাকে সরিয়ে দেয়ার অর্থ হচ্ছে প্রতিশোধ গ্রহণ করা এবং এটি একটি বেআইনি কাজ।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, লিনিককে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মহাপরিদর্শক পদে নিয়োগ দিয়েছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অভিশংসন প্রক্রিয়ায় সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছিলেন স্টিভ লিনিক। তবে তার দায়িত্ব কেবলমাত্র কংগ্রেসের কয়েকটি কমিটিকে জানানো এবং প্রেসিডেন্টের আইনজীবি রুডি জুলিয়ানির কাছ থেকে পাওয়া নথিপত্র সদস্যদের মধ্যে বিতরণের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল।

সূত্র: ভয়েস অব আমেরিকা

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত