ঢাকা, রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

ভারতের আরেক এলাকাকে নিজেদের বলে দাবি করলো নেপাল

ভারতের আরেক এলাকাকে নিজেদের বলে দাবি করলো নেপাল
এই সেই বাঁধ যার সংস্কার নিয়ে নতুন করে বিবাদে জড়িয়েছে ভারত ও নেপাল

ভারতের সীমান্ত সংলগ্ন আরও একটি এলাকার ওপর নিজেদের দাবি প্রতিষ্ঠা করতে তৎপর হয়ে উঠেছে নেপাল। ইতিমধ্যে তারা বিহার সরকারকে সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় বাঁধ সংস্কারের কাজ বন্ধ করতে বাধ্য করেছে। কাঠমান্ডু বলছে, যে এলাকায় বিহারের রাজ্য সরকার বাঁধ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে সেটি আসলে তাদের।

এর আগে নেপাল যে নতুন মানচিত্র প্রকাশ করেছে সেখানেও ভারতের কিছু এলাকা (লিপুলেখ, কালাপানি ও লিম্পিয়াধুরা) অন্তর্ভুক্ত রয়েছে বলে দাবি করেছে নয়াদিল্লি। ইতিমধ্যে নেপালের পার্লামেন্ট ওই মানচিত্র সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয়েছে।

এবার নেপালের বাধার মুখে বিহার সরকারের ওয়াটার রিসোর্স ডিপার্টমেন্ট সীমান্তে বাঁধ সংস্কারের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। কাঠমান্ডু বলছে, যে এলাকায় ভারত বাঁধ এই সংস্কার উদ্যোগ নিয়েছিল সেটি তাদের ভূখণ্ড।

বিহারের কর্মকর্তারা জানান, রাজ্যের পূর্ব চামাপার্ন জেলার লাল বাকি নদীর উপর বেড়িবাঁধ নির্মাণ করতে দেয়নি নেপালি কর্তৃপক্ষ। বিহারের দাবি, বহুদিন আগে থেকেই লাল বাকি নদীতে ওই বাঁধ ছিল। হঠাৎ করে সেটার কাজে বাধা দিয়েছে নেপাল।

এ সম্পর্কে ভারতের বন্যা নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রকৌশলী উমা নাথ রাম জানান, প্রায় প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে বাঁধটি মেরামতের দরকার হয়। এবারও বাঁধটি মেরামতের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। তবে নেপাল থেকে আসা কর্মকর্তা ও নিরাপত্তাকর্মীরা এতে বাধা দিয়েছেন।

নেপালের স্থানীয় পর্যায়ে কথা বলে বিষয়টি মীমাংসা করার চেষ্টা করেছিল বিহারের রাজ্য সরকার। কিন্তু তাদের পাত্তা দেয়নি নেপাল।

বিহার সরকার পুরো বিষয়টি ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও দিল্লিতে নেপালি দূতাবাসকে অবহিত করেছে বলেও জানা গেছে।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি চীনের সঙ্গেও সীমান্ত বিরোধে জড়িয়ে ভারত। গত ১৫ জুন সীমান্তে চীন ও ভারতীয় সেনাদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ ভারতীয় সেনা নিহত এবং আরও ৭৬ জন আহত হয়েছে। চীনের পাশাপাশি এবার সীমান্তে নেপালকেও মোকাবিলা করতে হবে ভারতকে। যদিও ভারত মনে করছে, চীনের আশকারা পেয়েই নেপাল ভারতের সঙ্গে বিবাদে জড়ানোর সাহস পেয়েছে। তবে ভারতের এই দাবি জোড়ালোভাবে নাকচ করেছে কাঠমান্ডু।

সূত্র: জি নিউজ

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত