ঢাকা, রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

রাহুলকে ফের কংগ্রেস সভাপতি করার দাবি

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ১২ জুলাই ২০২০, ১৩:৩৩  
আপডেট :
 ১২ জুলাই ২০২০, ১৩:৪২

রাহুলকে ফের কংগ্রেস সভাপতি করার দাবি

রাহুল গান্ধীকে ফের কংগ্রেস সভাপতি পদে ফেরানোর দাবি দলীয় সাংসদদের। আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

শনিবার লোকসভার সাংসদদের সঙ্গে সনিয়া গান্ধীর ভিডিও কনফারেন্সে রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা কালে এই দাবি করেন তারা। এসময় লোকসভার সাংসদ হিসেবে বৈঠকে হাজির ছিলেন রাহুল গান্ধীও।

বৈঠকে কেরলের কে সুরেশ, অ্যান্টো অ্যান্টনি, তামিলনাড়ুর মাণিকম টেগোর, অসমের গৌরব গগৈ, আবদুল খালেক, বিহারের মহম্মদ জাভেদ, ওড়িশার সপ্তগিরি উলাকার মতো সাংসদেরা রাহুল গান্ধীকে বলেন, ‘আপনি কংগ্রেস সভাপতি পদে ফেরে আসুন এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সেই দায়িত্ব নিন।

এদিকে কংগ্রেস সূত্রের ব্যাখ্যা হল রাহুলের সভাপতি পদে ফিরতে অনীহার একটা মূল কারণ হল, তিনি যে ভাবে দল চালাতে চান তা নিয়ে নেতাদের মধ্যে মতান্তর রয়েছে।

যেমন, চিনা অনুপ্রবেশ বা করোনা মোকাবিলা নিয়ে নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক অবস্থান নিয়েছেন রাহুল। কিন্তু কংগ্রেস নেতাদের একাংশ মনে করছেন, এতে উল্টো ফল হবে। কারণ, এতে জাতীয়তাবাদের তাস আরও বেশি করে খেলার সুযোগ পাচ্ছে বিজেপি।

তারা প্রচার করছে, সরকারের সমালোচনা করে রাহুল আসলে চিনেরই সুবিধা করে দিচ্ছেন। রাহুল অব্শ্য নিজের অবস্থান থেকে সরবেন না বলে বৈঠকে স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী চীন নিয়ে মিথ্যে কথা বলছেন। যুক্তি দিচ্ছেন, এটা রাজনৈতিক তরজার বিষয় নয়। কিন্তু কংগ্রেসের দৃঢ় অবস্থান হলো, দেশের সীমান্ত নিয়ে আপস না-করাটাই জাতীয় নিরাপত্তা।

সনিয়ার এই বৈঠকের সময়ই কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ দিগ্বিজয় সিংহ টুইট করেন, ‘আমি ব্যক্তিগত ভাবে জাতীয় রাজনীতি ও উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে রাহুল ও প্রিয়ঙ্কার আক্রমণাত্মক অবস্থানকে সমর্থন করি। যদি কংগ্রেসের কোনও নেতা একে সমর্থন করতে না পারেন, তা হলে তাঁরা কংগ্রেসে রয়েছেন কেন? কেউ মোদি সম্পর্কে নরম সুর নিতে চাইলে তা দলের মধ্যে বা প্রকাশ্যে বলার সাহস দেখান।

দলের তরুণ সাংসদদের মতোই দিগ্বিজয়ের দাবি, রাহুলের উচিত কংগ্রেসের সভাপতি হিসেবে বা লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা হিসেবে দল গঠনের কাজ চালিয়ে যাওয়া। কারণ, কংগ্রেস নেতৃত্বের সামনে আসল চ্যালেঞ্জ হল, বুথ স্তর থেকে এআইসিসি পর্যন্ত আবার সংগঠন তৈরি করা। আর সেখানেই রাহুল-প্রিয়ঙ্কার সক্রিয়তা দরকার।

বাংলাদেশ জার্নাল/ এমএম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত