দেশ ছেড়েছেন খোলামেলা পোশাক পরা আফগান পপ তারকা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ২০ আগস্ট ২০২১, ১৩:৩৭ আপডেট : ২০ আগস্ট ২০২১, ১৩:৪৮
আফগানিস্তানে খোলামেলা পোশাক পরে ঘোরাফেরা করতেন। বিভিন্ন অনুষ্ঠান পপ গানে মাতিয়ে রাখতেন। দুই যুগ ধরে আফগানিস্তানে নারী স্বাধীনতার জন্য যারা এগিয়ে এসেছিলেন, তাদের মধ্যে অন্যতম আরিয়ানা সাঈদ।
আফগানিস্তানের জনপ্রিয় এ পপ-তারকা মার্কিন বিমানে দেশ ছেড়েছেন। আফগানিস্তানের দু’টি টেলিভিশন চ্যানেলের সঙ্গেও কাজ করেছেন আরিয়ানা। একটি গানের অনুষ্ঠানে বিচারক হয়েছেন।
আফগানিস্তানের বেশিরভাগ অংশ তালেবানরা দখলে নেয়ার পর থেকেই জীবন বদলে যায় তার। প্রাণ হাতে নিয়ে কোনওক্রমে দেশ ছেড়ে পালিয়ে বেঁচেছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের উদ্ধারকারী বিমানে বসে থাকার ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে অনুগামীদের চিন্তামুক্ত করেছেন। তার আগে পর্যন্ত বিনিদ্র রাতের অভিজ্ঞতা খুব তাড়াতাড়ি সবার সঙ্গে ভাগ করে নেবেন বলেও আশ্বাস দিয়েছেন।
জন্ম আফগানিস্তানের কাবুলে হলেও জীবনের বেশিরভাগ সময় তিনি কখনও সুইজারল্যান্ডে, কখনও লন্ডনে কাটিয়েছেন। সেই থেকেই পশ্চিমা ভাবধারায় বেড়ে ওঠা।
আরিয়ানার মা ছিলের তাজিক জনগোষ্ঠীর মানুষ। দশকের পর দশক ধরে এ তাজিকরাই তালেবানদের বিরুদ্ধে জোরদার প্রতিরোধ গড়ে তুলে আসছে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্তও হিন্দুকুশ পর্বতের নীচে পঞ্জশির উপত্যকায় বসবাসকারী তাজিকদের মাথা নত করাতে পারেনি তালেবান।
আরিয়ানা যখন আট বছরের, তখন মা-বাবার হাত ধরে পাকিস্তানের পেশোয়ারে চলে যান। তারপর সেখান থেকে সুইজারল্যান্ড। সঙ্গীতের প্রতি তার ঝোঁক দেখে ১২ বছর বয়সেই একটি মিউজিক স্কুলে ভর্তি করে দিয়েছিলেন বাবা।
২০১১ সাল পর্যন্ত তিনি আফগানিস্তানে প্রবেশ করেননি। ২০১১ সালে আফগানদের মধ্যে তার ‘আফগান পেশারক’ গানের জনপ্রিয়তা দেখেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন জন্মস্থানে ফিরে যাওয়ার।
সেই থেকে আফগানিস্তানেই। তালিবানের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন পুরো দেশ। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ছুটে গেছেন। ‘আফগানিস্তানের কণ্ঠ’ হিসাবে সমাদৃত হয়েছেন। সাহসিকতার জন্য ‘ব্রেভারি অ্যাওয়ার্ড’ও পেয়েছেন। সূত্র: আনন্দবাজার অনলাইন।
বাংলাদেশ জার্নাল / টি টি