ঢাকা, রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ মিনিট আগে
শিরোনাম

রোহিঙ্গা গণহত্যায় আইসিজেতে গণশুনানি আগামী মাসে

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ২০ জানুয়ারি ২০২২, ১২:০০  
আপডেট :
 ২০ জানুয়ারি ২০২২, ১২:২৪

রোহিঙ্গা গণহত্যায় আইসিজেতে গণশুনানি আগামী মাসে
রোহিঙ্গাদের ওপর হত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন চালায় মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী; বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়া হয়। ছবি: সিএনএন

রাখাইনে রোহিঙ্গা গণহত্যার মামলায় জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকারের তোলা প্রাথমিক আপত্তির ওপর গণশুনানি আগামী মাসে শুরু হবে।

নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগের ‘গ্রেট হল অব জাস্টিস’-এ আগামী ২১, ২৩, ২৫ ও ২৮ ফেব্রুয়ারি এ শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। বুধবার আইসিজে এ তথ্য জানিয়েছে।

মিয়ানমার থেকে প্রকাশিত দ্য ইরাওয়াদ্দি অনলাইন জানায়, কোভিড-১৯ মহামারির কারণে বিশেষ পদ্ধতিতে (হাইব্রিড ফরমেট) এ শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

অর্থাৎ, শুনানিতে কেউ কেউ স্বশরীরে উপস্থিত থাকলেও অনেকে ভিডিও লিংকের মাধ্যমে অংশগ্রহণ করবেন।

২০১৭ সালে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের গণহত্যার জেরে আইসিজেতে এ মামলাটি করে আফ্রিকার দেশ জাম্বিয়া। মামলার শুনানিতে দুই পক্ষের (মিয়ানমার ও জাম্বিয়া) প্রতিনিধিরা সরাসরি অথবা ভিডিও লিংক ব্যবহার করে অংশ নিতে পারবেন।

রোহিঙ্গাদের গ্রামে গ্রামে নির্বিচারে গণহত্যার অভিযোগ এনে গাম্বিয়ার করা এ মামলার বিচারে আইসিজের এখতিয়ার চ্যালেঞ্জ করেছে মিয়ানমারের জান্তা। এবারের গণশুনানি হবে মূলত মিয়ানমারের সেই আপত্তির ওপর।

এর আগে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে অভিযোগকারী গাম্বিয়া এবং অভিযুক্ত মিয়ানমারকে তাদের আইনি যুক্তি দাখিলের জন্য সময় বেঁধে দিয়েছিলো আইসিজে।

হেগের পিস প্যালেসে ২০১৯ সালের ১০ থেকে ১২ ডিসেম্বর এ মামলার ওপর প্রাথমিক শুনানি হয়। তাতে গাম্বিয়ার পক্ষে নেতৃত্ব দেন দেশটির বিচার বিষয়ক মন্ত্রী আবুবকর তামবাদু। অন্যদিকে মিয়ানমারের পক্ষে শুনানি করেন নোবেলজয়ী নেত্রী অং সান সু চি, যিনি এখন মিয়ানমারের জান্তার হাতেই বন্দি।

গত বছরের ১ ফেব্রুয়ারি এক সামরিক অভ্যুত্থানে সু চির দল এনএলডির নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে আবারও সামরিক শাসন ফিরিয়ে আনে দেশটির সেনা নেতৃত্ব।

২০১৭ সালে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে রক্তক্ষয়ী এক অভিযান শুরু করে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। ওই অভিযান চলাকালে তারা রোহিঙ্গাদের ওপর হত্যা, ধর্ষণ ও নির্যাতন চালায়।

মাইলের পর মাইল রোহিঙ্গাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়া হয়। প্রাণভয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা।

বাংলাদেশ জার্নাল/ টিটি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত