সুনাকের সঙ্গে সমঝোতার পথে জনসন?

ব্রিটিশ পার্লামেন্টের এমপিরা শুক্রবারের মধ্যেই নতুন প্রধানমন্ত্রী বেছে নেবেন। তার আগেই একান্তে বৈঠক করলেন ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে থাকা দুই প্রার্থী, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও সাবেক অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক।

সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে বিবিসি এবং সানডে টাইমস জানিয়েছে, শনিবার রাত ১০ টার দিকে জনসন ক্যারিবিয়ান ছুটি থেকে লন্ডনে ফিরে আসার কিছুক্ষণ পরেই বৈঠকটি হয়েছিল। বৈঠকে দুইজনের মধ্যে কিছু সমঝোতা হয়েছে বলে জানায় সূত্র। নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের পরে তাদের মধ্যে একজন প্রধানমন্ত্রী হবেন। অন্যজনকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হবে। সূত্রের খবর, দুইজনেই চাইছেন দলের এমপিরা যেন একমত হয়ে একজনকেই প্রধানমন্ত্রী হিসাবে বেছে নেন। সেখানে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন ঋষি।

কম্বোডিয়ায় সামরিক ঘাঁটিতে বিস্ফোরণে ২০ সেনা নিহত

সোমবার ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী বেছে নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে। প্রথমে ভোট দিয়ে দলের এমপিরা প্রধানমন্ত্রীকে বেছে নেয়ার চেষ্টা করবেন। সেখানে যদি একমাত্র ব্যক্তি হিসাবে কোনও পদপ্রার্থী ১০০ জনের বেশি এমপির সমর্থন পান, তাহলে তাঁকেই প্রধানমন্ত্রী হিসাবে বেছে নেওয়া হবে। সেই লড়াইয়ে ইতিমধ্যেই বেশ কিছুটা এগিয়ে রয়েছেন ঋষি সুনাক। অন্তত ১২৮ জন এমপি তাকে সমর্থন করবেন বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে এই লড়াইয়ে নতুন মাত্রা এনে দিয়েছে ঋষি-বরিসের বৈঠক। সূত্র জানিয়েছে, দলীয় এমপিদের কথা শুনেই দু’জন মুখোমুখি আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছেন। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, একজন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার লড়াই থেকে নিজেকে সরিয়ে নেবেন। তারপরে সংশ্লিষ্ট নেতাকে ক্যাবিনেটের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হবে। তবে কে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার লড়াইতে থাকবেন, সেই বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। কনজারভেটিভ পার্টির এমপিরাও অনেকেই জানেন না, শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী পদের লড়াইতে কে থাকবেন।

প্রসঙ্গত, জনসন বা সুনাক কেউই এখনও প্রধানমন্ত্রী পদে মনোনয়ন জমা দেননি। এখনও পর্যন্ত একজনই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। তিনি হাউস অফ কমন্সে টোরি পার্টির নেত্রী পেনি মরড্যান্ট। দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তাকে বেশ এগিয়ে রেখেছেন ব্রিটেনবাসী। তবে ঋষি-বরিস সমঝোতার ফলে পেনির দিকে এমপিদের ভোট পড়বে না বলেই মনে করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমআর