ইন্দোনেশিয়ায় বিবাহবহির্ভূত শারীরিক সম্পর্ক নিষিদ্ধে আইন পাস
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ০৬ ডিসেম্বর ২০২২, ১৮:৩১ আপডেট : ০৬ ডিসেম্বর ২০২২, ১৮:৩৬
ইন্দোনেশিয়ার পার্লামেন্ট মঙ্গলবার একটি নতুন ফৌজদারি আইন অনুমোদন করেছে, যেখানে বিবাহবহির্ভূত শারীরিক সম্পর্ক নিষিদ্ধ এবং রাজনৈতিক স্বাধীনতাকে সীমাবদ্ধ করা হয়েছে। নতুন আইনটি আগামী তিন বছরের মধ্যে কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, নতুন এ আইনের বিবাহবহির্ভূত শারীরিক সম্পর্ক জড়ালে এক বছর পর্যন্ত জেলের বিধান রাখা হয়েছে। আইনটি দেশটির নাগরিক এবং ইন্দোনেশিয়ায় বেড়াতে আসা বিদেশিদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।
নতুন এ আইনের অধীনে অবিবাহিত দম্পতিদের একসাথে বসবাস করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এর জন্য - এমন একটি কাজ যার জন্য ছয় মাস পর্যন্ত জেল হতে পারে। এ আইনে ব্যভিচারকেও একটি অপরাধ হিসেবে গন্য করা হবে এবং যার জন্য জেল হতে পারে।
এদিকে সমালোচকরা আইনটিকে মানবাধিকারের জন্য একটি বিপর্যয় এবং পর্যটন ও বিনিয়োগের জন্য একটি সম্ভাব্য আঘাত হিসাবে দেখছেন।
২০১৯ বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে ইন্দোনেশিয়ার পার্লামেন্টে এ আইনটি প্রথম উত্থাপন করা হয়। তখন আইনটির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ করা হয়।
চলতি মাসে আইনটি উত্থাপনের ঘোষণায় এর বিরোধিতায় আবারও রাস্তায় নামে মানুষ। সোমবার জাকার্তায় পার্লামেন্টের বাইরে আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে তরুণদের কয়েকটি দল। ধারণা করা হচ্ছে নতুন আইনটিকে আদালতে চ্যালেঞ্জ করা হতে পারে।
এ বিষয়ে পশ্চিম জাভা শহরে বসবাসকারী ২৮ বছর বয়সী মুসলিম নারী আজেং বলেন, গত পাঁচ বছর ধরে তিনি সঙ্গীর সঙ্গে বসবাস করছেন। যা এখন এটি ঝুঁকিতে রয়েছে, কারণ নতুন আইনে অধীনে পরিবারের কেউ একজন পুলিশ রিপোর্ট করার সিদ্ধান্ত নিলে আমরা দুজনই জেলে যেতে পারি। আমি মনে করি বিয়ে ছাড়া একসঙ্গে বসবাস করা বা যৌন সম্পর্কে জড়ানো অপরাধ নয়।
এদিকে অধিকার গোষ্ঠীগুলো বলছে, নতুন আইন অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে নারী, এলজিবিটি এবং জাতিগত সংখ্যালঘুদের প্রভাবিত করে।
অনেক ব্যবসায়ীও এই আইনের বিরোধিতা করেছেন। তাদের দাবি আইনটি পর্যটক এবং বিনিয়োগকে নিরুৎসাহিত করেছে।
বাংলাদেশ জার্নাল/এমআর
