ঢাকা, রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

ব্রিটিশ নাগরিকত্ব চেয়ে তারেকের স্ত্রী-কন্যার আবেদন!

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১৬:২০  
আপডেট :
 ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১৬:৫৪

ব্রিটিশ নাগরিকত্ব চেয়ে তারেকের স্ত্রী-কন্যার আবেদন!
লুকইস্ট এর প্রতিবেদন

লন্ডনে অবস্থান করা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমান এবং মেয়ে জাইমা রহমান ব্রিটিশ নাগরিকত্ব চেয়ে আবেদন করেছেন বলে খবর প্রকাশ হয়েছে।

আন্তর্জাতিকভাবে নামকরা ব্রিটিশ ট্যাক্স অ্যাটর্নি নাইজেল পপলওয়েলের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার ভারতের অনলাইন নিউজ পোর্টাল লুকইস্ট একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তারেক রহমান তার আইনি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ‘বার্জেস সালমনের’ মাধ্যমে নিজে তার স্ত্রী-কন্যার জন্য আলাদা আলাদা দরখাস্ত করিয়েছেন। তবে তারেক রহমান ব্রিটিশ নাগরিকত্ব চেয়ে কোনো দরখাস্ত করেছেন কি না, এ ব্যাপারে কিছু জানায়নি পত্রিকাটি। পত্রিকাটির খবর অনুযায়ী দুটি দরখাস্তের মাধ্যমে এই আবেদন করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, বিভিন্ন দেশে জোবাইদা এবং জামিমা রহমানের প্রায় ৭৭০ কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে। এখন যদি ব্রিটিশ সরকার তাদেরকে সেদেশে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ দেয় তাহলে ব্রিটেনের অর্থনীতি অত্যন্ত লাভবান হবে।

আইনি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান বার্জেস সালমনের একটি সোর্স লুকইস্টকে জানিয়েছে, গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর যুক্তরাজ্যের ভিসা এবং ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্টের বরাবর নাগরিকত্ব চেয়ে করা দরখাস্ত দুটি পেশ করা হয়েছে।

ব্রিটিশ আইন অনুযায়ী, কেউ যদি সে দেশে ১০ বছর বৈধভাবে অবস্থান করে তাহলে নাগরিকত্ব চেয়ে আবেদন করতে পারেন। অনেক বাংলাদেশি এই ব্রিটিশ আইনের সুযোগ নিয়ে এখন সেদেশের নাগরিক হিসেবে বসবাস করার চেষ্টা করছেন। তবে কারো বিরুদ্ধে যদি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকে তাহলে তিনি এই সুবিধা পাবেন না।

তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমান পেশায় একজন চিকিৎসক। তবে তিনি লন্ডনে একজন গৃহবধূ হিসেবে বসবাস করছেন। অন্যদিকে কন্যা জাইমা রহমান লন্ডনের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয়ে পড়াশুনা করছেন। দুজনেই সম্পদের বিবরণীতে উত্তরাধিকার এবং বিনিয়োগের মুনাফাকে উৎস হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

আইনজীবী নাইজেল পপলওয়েল বলেছেন, তারা অবগত হয়েছেন যে, সাতটি দেশে জোবাইদা এবং জামিমার নামে ৭ মিলিয়ন ব্রিটিশ পাউন্ড মূল্যের বিনিয়োগ রয়েছে। তিনি বিশ্বাস করেন, ব্রিটিশ সরকার যদি তাদের অ্যাপ্লিকেশনগুলি স্বীকার করে তবে অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক হবে যুক্তরাজ্য।

এদিকে এই সংবাদে তারেক রহমান বা তার পরিবারের কারও বক্তব্যও দেয়া হয়নি। বিএনপির পক্ষ থেকেও কোনো বক্তব্য আসেনি এই সংবাদের বিষয়ে।

উল্লেখ, সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ঘুষ গ্রহণের মামলায় গ্রেপ্তার তারেক রহমান ২০০৮ সালে প্যারোলে মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার জন্য লন্ডন যান। পরে তার স্ত্রী-কন্যাও সেখানে যান।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তারেক রহমানকে ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং দুই কোটি টাকা জরিমানা করেন আদালত। এর আগে ২০১৬ সালে বিদেশে অর্থপাচার মামলায় তার ৭ বছরের কারাদণ্ড এবং ২০ কোটি টাকা জরিমানার আদেশ দেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ।

তারেক রহমান ও তার মেয়ে জাইমা

জেডএইচ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত