ঢাকা, রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন রোববার

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ২৩ জুন ২০১৮, ১৭:২৪

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন রোববার
তুরস্কে রোববার অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। ছবি: রয়টার্স

তুরস্কের পার্লামেন্ট ও প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামীকাল রোববার। শুক্রবার শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় সরকারি ব্যয় কমানো ও অর্থনীতি পুনর্গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোয়ান। আর প্রধান বিরোধী জোটের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী মুহাররম ইনসে বলেছেন, ২০১৬ সালে ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পর জারি করা জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার ও ৪০ লাখ সিরিয় শরণার্থীর প্রত্যাবাসনে কাজ করবেন তিনি।

শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় শুক্রবার দেশের সবচেয়ে বড় শহর ইস্তাম্বুলে প্রচারণা চালিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোয়ান। ক্ষমতাসীন দল জাস্টিস ডেভেলপমেন্ট পার্টি এবং তাদের জোট পিপলস অ্যালায়েন্স আয়োজিত প্রচারণা সভায় দলের নেতা-কর্মীরা এরদোয়ানকে বিশ্বের সবচেয়ে সাহসী ও ক্ষমতাবান প্রেসিডেন্ট হিসেবে আখ্যা দেন। আবারো তাকে নির্বাচিত করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন তারা।

জনতার উদ্দেশ্যে দেয়া বক্তব্যে গণতন্ত্র ও তুরস্ককে রক্ষায় পিপল অ্যালায়েন্সকে ভোট দেয়ার জন্য ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন এরদোয়ান। এসময় তিনি সরকারি ব্যয় কমাতে মন্ত্রী পরিষদের আকার ছোট করার পাশাপাশি অর্থনীতি পুনর্গঠনের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোয়ান বলেন, ২৪ জুন সবাই পিপলস অ্যালয়ান্সের প্রার্থীকে ভোট দেবেন। আপনাদের ভোটই পারে তুরস্কের পুরোনো ক্ষয়ে যাওয়া পদ্ধতির অবসান ঘটাতে।

একইদিন রাজধানী আঙ্কারায় সমাবেশ করেন প্রধান বিরোধী জোট ন্যাশনাল অ্যালায়েন্সের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী মুহাররাম ইনসে। বিরোধী জোট আয়োজিত সভায় শুভ দিনের প্রত্যাশায় নতুন কাউকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসানোর জন্য মত ব্যক্ত করা হয়।

তুরস্কে এ মুহূর্তে গণতন্ত্র খুবই জরুরি। আমরা সিএইচপি প্রার্থীর সমর্থনে এখানে এসেছি। নতুন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য অবশ্যই তুরস্কের জনগণ নতুন নেতৃত্ব বেছে নেবে।

ভোটারদের উদ্দেশ্যে বক্তব্যে মজুরি বাড়ানোর পাশাপাশি ৪০ লাখ সিরিয় শরণার্থীর প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দেন মুহাররম ইনসে। ২০১৭ সালের গণভোটে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা বাড়ানোর তীব্র সমালোচনা করার পাশাপাশি ২০১৬ সাল থেকে চলে আসা জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।

ইনসে বলেন, ২০১৭'র গণভোটে প্রেসিডেন্টের হাতে ব্যাপক ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। এবার জিতলে তিনি নিজের হাতে আরও ক্ষমতা কুক্ষিগত করবেন। প্রধানমন্ত্রীর পদ বিলুপ্ত করা হবে।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী মুহারনম ইনসে আরও বলেন, বাজেট, বিচার ব্যবস্থা, আইনসভা রাষ্ট্রের সব ক্ষমতা একজন ব্যক্তির হাতে। এটা কোনোভাবেই হতে পারে না। সব ক্ষমতা একজন ব্যক্তির হাতে থাকলে বাকিদের কাজ কি থাকবে? পার্লামেন্টের ক্ষমতা খর্ব করারে মাধ্যমে দেশে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠার চেষ্টা আপনারা জীবন থাকতে মেনে নেবেন না।

বিশ্লেষকদের মতে, গ্যাসের দাম বৃদ্ধি, মুদ্রার দরপতনসহ অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারেন ১৬ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা এরদোয়ান।

রোববারের এ নির্বাচনে প্রায় সাত কোটি তুর্কি তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। ৬শ সংসদ সদস্যের পাশাপাশি এদিন, রাষ্ট্র ও সরকার পরিচালনার জন্য একজন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করবেন তারা। ইতোমধ্যে বিশ্বের ৬০টি দেশে থাকা ৩০ লাখ নিবন্ধিত তুর্কি তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসএস

  • সর্বশেষ
  • পঠিত