যৌনতার বিনিময়ে বাড়ি ভাড়া
যুক্তরাজ্যের বেশ কিছু বাড়িওয়ালা যৌনতার বিনিময়ে বাসা ভাড়া দিতে চাইছেন। কেবল বাসা নয়, ভাড়াটিয়াদের জন্য বিনামূল্যের ইউটিলিটি আর ওয়াইফাই সুবিধাও দিচ্ছেন ওইসব বাড়িওয়ালারা। এ খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি।
বিবিসি বলছে, তারা অনলাইনে দেয়া এরকম বেশ কয়েকটি বিজ্ঞাপনের খোঁজ পেয়েছে এবং ছদ্মবেশে কয়েকজন বিজ্ঞাপনদাতার সাক্ষাৎকারও নিয়েছে। বাড়িভাড়া নিতে গিয়ে কিভাবে নারীরা যৌন হয়রানি ও অপব্যবহারের শিকার হচ্ছেন, বিবিসির প্রতিবেদনে সেটাই তুলে ধরা হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের বিচার বিভাগ বলছে, এটা পুরোপুরি অবৈধ। এ রকম বিজ্ঞাপন দেয়াটাও বেআইনি এবং এই অপরাধে সাত বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। কিন্তু তারপরেও এরকম ঘটনা ঘটছে।
বিবিসির ইনসাইড আওয়ার ওয়েস্ট প্রোগ্রামের সংবাদদাতা যে দুই বাড়িওয়ালার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন, তারা দুজনই ব্রিস্টলে থাকেন। বিজ্ঞাপনে তারা বাড়ি ভাড়া মওকুফের পাশাপাশি বিল দেয়া, এমনকি অন্যান্য খরচ দেয়ারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। শর্ত একটাই, সপ্তাহে অন্তত একদিন তাদের সঙ্গে বিছানায় যেতে হবে।
বাড়ি ভাড়া নিতে ইচ্ছুক এমন একজন নারী হিসাবে তাদের সঙ্গে একটি বারে দেখা করেন বিবিসির সংবাদদাতা।
মাইক নামের একজন বাড়ি মালিক ওই ছদ্মবেশী সাংবাদিককে বলেন, তিনি দুই বেডরুমের একটি চমৎকার বাড়ি পেতে পারেন, যেখানে সব কিছুই থাকবে। যতদিন তিনি ‘বন্ধুত্বে সুবিধার সম্পর্ক’ বজায় রাখবেন। এই সুবিধা বলতে তিনি বোঝান, সপ্তাহে অন্তত একদিন তার সঙ্গে সেক্স করতে রাজি থাকা।
তবে এই প্রোগ্রামের কথা জানার পর মাইক দাবি করেন, তিনি একজন বাড়িওয়ালার অভিনয় করেছিলেন। কেননা তিনি যুক্তরাজ্যে মেয়েদের হয়রানির ওপর গবেষণা করছেন।
টম নামের আরেকজন মালিক (৬০) বিবিসির ছদ্মবেশী নারী সাংবাদিককে বলেন, তিনি যদি তার ফ্লাটে উঠে আসেন, তাহলে ভাড়া তো দিতেই হবে না। সেই সঙ্গে গ্যাস, বিদ্যুৎ এবং ওয়াইফাই সুবিধা পাবেন।
তবে যখন তাকে জানানো হয় যে, বিবিসির ক্যামেরায় এসব রেকর্ড করা হয়েছে, তিনি কোন জবাব দিতে রাজি হননি।
অনলাইনে এরকম আরো অনেক বিজ্ঞাপন দেখা গেছে। একটি বিজ্ঞাপনের ভাসা ছিল এরকম: ‘হাই, আমি ৩৫ বছরের একজন পুরুষ। আমার নিজের বাড়ি আছে যেখানে বাড়তি একটি রুম আছে। আমি একজন নারী ভাড়াটিয়া চাই, তার সেবার ওপর ভাড়া নাও লাগতে পারে। একটি ছবি এবং আপনার সম্পর্কে কিছু তথ্যসহ যোগাযোগ করুন।’
যুক্তরাজ্যের বিচার বিভাগ বলছে, এটা পুরোপুরি অবৈধ। এ রকম বিজ্ঞাপন দেয়াটাও আইন বিরোধী যার জন্য সাত বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। কিন্তু এরকম বিজ্ঞাপন দেয়ার জন্য এখন পর্যন্ত কাউকে বিচারের আওতায় আনা হয়নি।
সূত্র: বিবিসি বাংলা
এমএ/
