ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

আদিয়ালা জেল থেকে ছাড়া পেলেন নওয়াজ-মরিয়ম

কারামুক্ত নওয়াজ-মরিয়ম-সফদার

পাকিস্তানের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ, তার মেয়ে মরিয়াম নওয়াজ এবং মেয়েজামাতা অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন মুহাম্মাদ সফদার বুধবার রাতে আদিয়ালা জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। ইসলামাবাদ হাইকোর্ট ওই তিনজনের বিরুদ্ধে অ্যাকাউন্টিবিলিটি কোর্টের দেয়া দুর্নীতি মামলায় দণ্ড স্থগিত করার কয়েক ঘন্টা পরই তারা মুক্তি পান।

এর আগে দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত এই তিনজনই গত আড়াই মাস ধরে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে আটক ছিলেন।

নওয়াজ, মরিয়ম ও তারা জামাতা সফদারকে অভ্যর্থনা জানাতে বুধবার সন্ধ্যায় আদিয়ালা কারাগারে হাজির হন নওয়াজের ভাই ও পিএমএল-এন দলের প্রেসিডেন্ট শাহবাজ শরিফ এবং দলের সিনিয়র নেতারা। এসময় কারাগারের বাইরে জড়ো হয়েছিলেন দলের অনেক কর্মী-সমর্থক। নওয়াজকে বহনকারী গাড়িটি কারাগার থেকে বের হলে তারা গোলাপের পাপড়ি ছিটিয়ে তাদের বরণ করেন। এসময় দলের পতাকা হাতে নানা শ্লোগান দিতেও দেখা যায় অনেককে। ধীরে ধীরে চলতে শুরু করে নওয়াজ, কুলসুম ও সরফরাজকে বহনকারী গাড়িটি। তখন রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে দলের কর্মী সমর্থকদের উল্লাস প্রকাশ করতে থাকেন।

কারাগার থেকে বের হওয়ার পর নওয়াজ পরিবার নূর খান বিমানঘাঁটি থেকে একটি ব্যক্তিগত উড়োজাহাজে করে লাহোর রওয়ানা হন। তারা বুধবার রাতেই লাহোর পৌঁছান। তাদের স্বাগত জানাতে শহরের হজ টার্মিনালের বাইরে উপস্থিত হয়েছিল প্রচুর কর্মী সমর্থকরা। পরে কর্মী ও সমর্থক বেষ্টিত নওয়াজ লাহোরে তাদের পারিবারিক বাসভবন জাতি উমরায় প্রবেশ করেন।

এর আগে বুধবার সকালেই নওয়াজ, মরিয়ম ও মুহাম্মাদ সফদারের সাজা স্থগিত করে তাদের মুক্তির নির্দেশ দেয় পাকিস্তানের উচ্চ আদালত। নওয়াজ শরিফের আপিলের শুনানি শেষে ইসলামাবাদের হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। বিচারকরা তাদের রায়ে বলেন, তিনজনের বিরুদ্ধে অ্যাকাউন্টিবিলিটি কোর্টের দেয়া কারাদণ্ড স্থগিত রাখা হলো।

গত ৬ জুলাই নওয়াজ শরিফকে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পত্তি অর্জনের দায়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয় অ্যাকাউন্টিবিলিটি কোর্ট। এছাড়া তার মেয়ে মরিয়ম নওয়াজকে সাত বছর ও মরিয়মের স্বামী মোহাম্মদ সফদারকে এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।

রায়ের সময় স্ত্রী কুলসুম নওয়াজের চিকিৎসার জন্য লন্ডনে ছিলেন নওয়াজ ও তার মেয়ে মরিয়ম। রায়ের এক সপ্তাহের মাথায় গত ১৩ জুলাই নওয়াজ ও তার মেয়ে লন্ডন থেকে ফিরলে বিমানবন্দরেই তাদের গ্রেপ্তার করে পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো। সে সময় সফদার দেশে ছিলেন। তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

নওয়াজ, মরিয়ম ও সফদার কারাগারে থাকা অবস্থাতেই মারা যান নওয়াজের স্ত্রী কুসলুম। তার জানাজায় যোগ দেয়ার জন্য গত ১২ সেপ্টেম্বর প্যারোলে মুক্তি দেয়া হয়েছিল নওয়াজ শরিফ ও তার মেয়েকে।

সূত্র: ডন

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত