ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৫৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

কমোডে অজগর, যৌনাঙ্গে ১৫টি সেলাই (ভিডিও)

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ১২ নভেম্বর ২০১৮, ০০:২২

কমোডে অজগর, যৌনাঙ্গে ১৫টি সেলাই (ভিডিও)

অফিসের শৌচাগারে ঢুকে ওয়াশরুমের কমোডে বসেছেন তারদসক কেওয়াপংপন। আচমকাই ভিতর থেকে কী যেন লাফিয়ে উঠে কামড়ে ধরল যৌনাঙ্গ! সঙ্গে সঙ্গে লাফ দিয়ে উঠে পড়লেন তিনি। কিন্তু তখনও যে কামড়ে ধরে ঝুলে আছে সেই ভয়ঙ্কর প্রাণী। কোনওরকমে ছাড়িয়ে নিলেন বটে, তবে রক্তে ভেসে গেল গোটা শৌচাগার। চিৎকার শুনে সহকর্মীরা ছুটে এলেন শৌচাগারে। কমোডে উঁকি দিতেই হাড় হিম হয়ে গেল সবার। এ যে জলজ্যান্ত অজগর। কমোডের ভিতরে তখনও মুখ বের করে নড়াচড়া করছে।

দু’মাস আগেও দেখেছিলেন। অফিসের সবাইকে তখন বলেছিলেন। কিন্তু কেউ গুরুত্ব দেওয়া দূরে থাক, সবাই হাসি-মস্করা করেছিলেন। এমনকি অফিসের বসও সুযোগ পেলেই খোঁটা দিতেন। অবশেষে সেই ঘটনাই সত্যি হল।

এমনই ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটেছে তাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাঙ্ককে। সেখানকার একটি বেসরকারি ৪৫ বছর বয়সী কর্মী তারদসক কেওয়াপংপনের যৌনাঙ্গে কামড়ে দেয় ওই অজগর। সঙ্গে সঙ্গে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তার যৌনাঙ্গে ১৫টি সেলাই পড়েছে। এখনও আতঙ্ক কাটিয়ে উঠতে পারেননি তিনি।

অন্যদিকে কেওয়াপংপনের সহকর্মীরা তখনও অজগরকে বাগে আনার চেষ্টায়। অনেক চেষ্টা করার পর কমোড থেকে বের করা যায় সাপটিকে। তার পর একটি লাঠি এগিয়ে দিতেই অজগর পেঁচিয়ে ধরে সেই লাঠি। ওই ভাবেই তাকে বাইরে বার করে আনলেন কর্মীরা। পরে বন দফতরে খবর পাঠানো হলে তারা এসে অজগরটিকে নিয়ে যায়।

কেওয়াপংপন পরে বলেন, ‘যৌনাঙ্গ কামড়ে ধরা সাপটি ছাড়িয়ে নেওয়ার পর রক্তে ভেসে যায় গোটা বাথরুম। কোনওরকমে যে দরজাটা খুলে দিতে পেরেছিলাম, তাই প্রাণে বেঁচে গিয়েছি। না হলে যে কী হত, ভাবতেই এখনও গায়ে কাঁটা দিচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘মাস দুয়েক আগেও কমোডে সাপ দেখেছিলাম। বিষয়টি বস-সহ অফিসের সবাইকেই জানাই। কিন্তু সবাই আমাকে নিয়ে হাসাহাসি করত। বাধ্য হয়ে অন্য বাথরুম ব্যবহার করতে শুরু করি। কিন্তু দুটো বাথরুমই যে পাইপলাইনে যুক্ত ছিল। তা ভাবিনি।’

বন দফতরের কর্মীদের প্রাথমিক অনুমান, খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে চলে আসে সাপটি। কোনওভাবে সে কমোডে ঢুকে পড়ে। সেখান থেকে হয়তো আর বেরোতে পারেনি। পাইপ লাইনের ভিতরেই আটকে ছিল মাস দুয়েক। ফলে প্রচণ্ড ক্ষুধার্ত ছিল। সেই কারণেই ওই ঘটনা ঘটেছে।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত