ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ০১ জানুয়ারি, ১৯৭০
শিরোনাম

‘শুধু মোদি নয়, সব রাজ্যের সঙ্গে সখ্যতা চায় বিএনপি’

‘ভারতের সব রাজ্যের সঙ্গে সখ্যতা চায় বিএনপি’

সামনেই বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সে দেশের রাজনীতিতে ভারত বিরোধী বলে পরিচিত খালেদা জিয়ার দল বিএনপির অতীত ভুলে নয়াদিল্লির কাছাকাছি আসার চেষ্টা করছে। বর্তমানে বিএনপি ভারতকে বন্ধু হিসাবে মনে করে এমন কথাও বার বার শো গিয়েছে। এরই মধ্যে কলকাতায় সফরকালে ভারতের বাংলা পত্রিকা দৈনিক যুগশঙ্খ’র সঙ্গে কথা বলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খন্দকার আহসান হাবিব।

শনিবার এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ‘অতীত ভুলে তারা শুধু মোদি সরকার নয়, পশ্চিমবঙ্গসহ উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রতিটি রাজ্যের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে আগ্রহী বিএনপি।’

আওয়ামী লীগের সঙ্গে ভারতের সখ্যতা থাকলেও বিএনপির সঙ্গে রয়েছে দেশটির বৈরিতার সম্পর্ক। এর কারণ জানতে চাইলে আইনজীবী আহসান হাবিব দৈনিক যুগশঙ্খকে বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে বৈরিতা নেই। কিন্তু আমরা চাই ভারত শুধু একটি দল নয়, সবার সঙ্গে সম্পর্ক রাখুক। আর এটা নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে। আমরা চাই ভারত সবার বন্ধু হোক। আমরা ভারতকে বন্ধু বলেই মনে করি। পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতের সবাইকে বলতে চাই, আপনারা আমাদের বন্ধু, শত্রু নয়।’

খন্দকার আহসান হাবিব বলেন, ‘আমরা ভারতের সকল রাজ্যের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চাই। সেখানে পশ্চিমবঙ্গসহ উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে আরো ভালো সম্পর্ক রাখতে চাই। এই বাংলার মানুষের সঙ্গে আমাদের কোনো ফারাক নেই। বাংলাদেশ থেকে ৮০ শতাংশ মানুষ বিভিন্ন কাজে কলকাতা ও পশ্চিমবঙ্গ আসেন। আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরার ক্ষেত্রেও তাই। আমরা এটা নিয়ে কাজ শুরু করেছি, যাতে ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটে, সম্পর্ককে আরো উচ্চমাত্রায় নেয়া যায়।’

উত্তর-পূর্ব ভারতের আলফাসহ বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলোকে আশ্রয় দিয়েছিল বিএনপি সরকার। এই অভিযোগের উত্তরে তিনি বলেন, ‘এই অভিযোগের সবটা ঠিক নয়। তারপরও আমরা মনে করি, এ বিষয়ে যা অভিযোগ আছে আমাদের ওপর, আগামীতে তা থাকবে না।’

ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজগুলো আর অস্থির হবে না দাবি করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমি দলের পক্ষ থেকে একশ শতাংশ আশ্বাস দিচ্ছি, বিএনপি ক্ষমতায় আসলে উত্তর-পূর্ব ভারত স্থিতিশীল থাকবে।’

তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা যদি আগামী নির্বাচনে ক্ষমতায় আসি, তবে তিস্তা চুক্তির সমাধান হবেই। আমরা আশা করি, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপধ্যায় এই সমস্যার সমাধান করবেনই। তার বাংলাদেশের প্রতি দরদ আছে।’

আসন্ন নির্বাচনে বিএনপি লড়াই করবে একথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা নির্বাচনে যাব। আর আশা করি বিএনপির চেয়ারম্যান খালেদা জিয়াও জেল থেকে ছাড়া পেয়ে আমাদের নেতৃত্ব দেবেন। আর নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হলে ঐক্যফ্রন্ট জয়লাভ করে সরকার গঠন করবে।’

এবারের নির্বাচনে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দু ও অন্যান্য জন গোষ্ঠীর ভোট বিএনপি পাবে বলে দাবি করে তিনি বলেন, ‘আমরা এজন্য কাজ করছি এবং এবার বেশি সংখ্যক সংখ্যালঘু প্রার্থীও বিএনপির হয়ে যাতে দাঁড়ান, তার চেষ্টা চলছে। আমরা ক্ষমতায় এলে স্বাধীনতার পর থেকে প্রতিটি সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিচার হবে, এটা আমাদের প্রতিশ্রুতি।’

সূত্র: যুগশঙ্খ

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত