ঢাকা, রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১০ মিনিট আগে
শিরোনাম

নেপালের তদন্ত রিপোর্টের দাবি

পাইলটের কারণেই বিধ্বস্ত হয় ইউএস-বাংলার বিমান

পাইলটের কারণেই বিধ্বস্ত হয় ইউএস-বাংলার বিমান

গত বছরের মার্চে ইউএস বাংলার যে বিমানটি নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হয়েছিল তার কারণ জানিয়েছে নেপালের এ সংক্রান্ত তদন্ত কমিটি। এতে বলা হয়েছে, নিষেধাজ্ঞা অগ্রাহ্য করে বিমানের ককপিটে ধূমপান করছিলেন পাইলট। আর এ কারণেই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। ওই দুর্ঘটনায় সবমিলিয়ে বিমানের ৫১ জন আরোহী নিহত হয়েছিল।

তবে এ সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে ইউএস-বাংলা কর্তৃপক্ষ বা বাংলাদেশের কোনো প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।

রোববার নেপালের সংস্কৃতি, পর্যটন ও বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়ের কাছে ওই দুর্ঘটনা সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে তদন্ত কমিটি। এতে বলা হয়েছে, ইউ-এস বাংলা এয়ারলাইন্স কোম্পানির নিয়ম হচ্ছে আন্তর্জাতিক বা অভ্যন্তরীণ কোনো ফ্লাইটেই ধূমপান করা যাবে না। কিন্তু ওই নিয়ম অগ্রাহ্য করে ককপিটে বসেই ধূমপান করছিলেন পাইলট। আর এই কারণেই বিধ্বস্ত হয়েছে ইউএস-বাংলার ফ্লাইটটি।

এর আগেও ইউএস-বাংলার বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় বাংলাদেশি পাইলটের আচরণকে দায়ী করা হয়েছিলো নেপালের ফাঁস হওয়া এক সরকারি তদন্তের খসড়া রিপোর্টে। নেপালের প্রভাবশালী ইংরেজী দৈনিক কাঠমান্ডু পোস্ট এবং বার্তা সংস্থা এএএফপি এই খসড়া রিপোর্টের বিস্তারিত প্রকাশ করেছিলো।

রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিলো, ইউএস-বাংলার ঐ ফ্লাইটের পাইলট সেদিন ‘বেশ আবেগতাড়িত ও মানসিক চাপের মধ্যে ছিলেন এবং কাঁদছিলেন।’ তিনি সেদিন বিমানের ককপিটে দায়িত্বরত অবস্থায় ধূমপানও করছিলেন বলে এতে উল্লেখ করা হয়।

তবে তখন ওই প্রতিবেদনকে 'ভিত্তিহীন' বলে উল্লেখ করেছিলেন কমিশনের সদস্য ও বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশন অথরিটির এয়ারক্রাফট অ্যাকসিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন গ্রুপ- এর প্রধানসালাউদ্দিন এম রহমতউল্লাহ।

উল্লেখ্য, ক্যাপ্টেন আবিদ সুলতান ছিলেন সেদিনের ঐ ফ্লাইটের পাইলটের দায়িত্বে। তার সঙ্গে কো-পাইলট হিসেবে ছিলেন প্রিথুলা রশিদ। দুর্ঘটনায় তারা দুজনসহ বিমানের মোট ৫১ জন যাত্রী এবং ক্রু নিহত হন। ২০ জন প্রাণে বেঁচে গেলেও তাদের অনেকের আঘাত ছিল গুরুতর।

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত