ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কবলে মিয়ানমারের সেনাপ্রধান

মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কবলে মিয়ানমারের সেনাপ্রধান

মিয়ানমারে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর পাশবিক নির্যাতন চালানোর অপরাধে দেশটির সেনাবাহিনীর প্রধান মিন অং হ্লেইয়ের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্র সফরে যেতে পারবেন না। রোহিঙ্গা গণহত্যার দায়ে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর আরো তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

এই ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে মিয়ানমার সরকারের কোনো প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।

মঙ্গলবার মিয়ানমার সেনাবাহিনীর শীর্ষ এই চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা অন্য তিন কর্মকর্তা হলেন সেনাপ্রধান হ্লেইংয়ের সহযোগী সোয়ে ইন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল থ্যান ওও এবং অং অং।

এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছেন, আমরা উদ্বিগ্ন যে, মিয়ানমার সরকার মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নিপীড়নের ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে এখনও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। সারা দেশেই এখনো মিয়ানমার সেনাবাহিনী মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নিপীড়ন চালিয়ে আসছে।

২০১৭ সালে রাখাইনে জাতিগত নিধন অভিযানের সময় ইন দিন গ্রামে রোহিঙ্গা গণহত্যার ঘটনায় বেশ কয়েকজন সেনাসদস্যকে গ্রেফতার করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। সম্প্রতি গ্রেপ্তারকৃত এক সেনাসদস্যকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন সেনাপ্রধান মিন অং হ্লেইং।

মিয়ানমার সেনাবাহিনী দায়ীদের বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নিচ্ছে না মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই ঘটনাকে তার উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেছেন। পম্পেও বলেছেন, এই অপরাধীদের মাত্র এক মাস বন্দি রাখার পর সেনাবাহিনীর প্রধান মুক্তি দিয়েছেন। কিন্তু ইন দিন গ্রামের গণহত্যার ঘটনা বিশ্ববাসীকে জানানোর দায়ে দুই সাংবাদিককে ৫০০ দিনের বেশি কারাগারে কাটাতে হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর রাখাইন অঞ্চলের সংখ্যালঘু রোহিঙ্ড়া মুসলিমদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে মিয়ানমার সেনারা। তারা নীরিহ গ্রামবাসীদের ওপর হত্যা, খুন, গণধর্ষণ, ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগসহ নানা ধরনের নির্যাতন চালায়। প্রাণ বাঁচাতে তখন লাখ লাখ রোহিঙ্গা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। সবমিলিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্যাম্পে এখনও ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী অবস্থান করছে। তাদের দেশে ফিরিয়ে নিতে কার্যত কোনো উদ্যোগ নেয়নি মিয়ানমার সরকার।

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত